সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না অবশ্যই তা মেনে চলতে হবে। সিজার একটি নারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অপারেশন । বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার বিকল্পে সিজারের সাহায্যে নবজাতকের জন্ম দিয়ে থাকে। তবে সিজার পরবর্তী সময়ে সঠিক যত্ন কিভাবে নিতে হয় সে ব্যাপারে অনেকের তেমন স্পষ্ট ধারণা নেই। সন্তান প্রসবের আগে ও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। সিজারের পর প্রথম ৬ সপ্তাহ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কমপক্ষে ৩ দিন পর গোসল করতে হবে। গোসলের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন সেলাইয়ের জায়গা না ভেজে । সেলাইয়ের যায়গায় বার বার ভিজলে সেলাই তাড়াতাড়ি শুকানোর সম্ভাবনা কমে যায় । যদি সেলাইয়ের যায়গায় উঁচু হয়ে ওঠে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে ক্রিম লাগাতে হবে। পরবর্তী ১ বছর পর্যন্ত কোনো ভারী কাজ করা যাবে না। তবে স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করা যাবে। ঘুমানোর সময় বাম দিকে সোয়া এবং পরবর্তী ৬ মাস সেই নিয়ম অনুযায়ী শুতে হবে। সিজারের পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ নারীর পা ফুলে যায়।
সিজার কি?
সিজার বা সি-সেকশন হলো নারীদের তলপেট ও জরায়ুর দেয়াল কেটে বাচ্চা প্রসব করার একটি আধুনিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি। অনেক ক্ষেত্রে মা এবং বাচ্চার স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সিজার করা সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম। আর তাই বর্তমান সময়ে নিরাপত্তার জন্যই সিজার এতো জনবহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানি না এই সিজারের ক্ষতিকর বা খারাপ দিকগুলো। এতে মায়ের যেমন জীবনের ঝুঁকি রয়েছে তেমনি বাচ্চার জন্য রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তাই একেবারে ঠেকে না গেলে বা কোন উপায় না থাকলে সিজারে যাওয়া উচিত নয়। এতে যেমন মা ও বাচ্চা দুইজনেই ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে পারে তেমনি আর্থিক ক্ষতিও কমানো যায়। যেহেতু সিজার একটি বড় অপারেশন তাই সিজারের ক্ষত সারানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রয়োজন মত ঘুম এবং বিশ্রাম প্রয়োজন। এ সময় কোন প্রকার ব্যায়াম করা যাবে না। ঠান্ডা বা এলার্জি থাকলে আগেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কারণ ঠান্ডা জনিত সমস্যার কারণে বারবার হাঁচি বা কাশি হলে সেলাইয়ের জায়গায় ব্যথা হতে পারে।
সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না?
সিজারের পর খাবার তালিকায় মায়ের ডায়েট এমন হওয়া উচিত যাতে তা তার শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং শিশুর ভালো বিকাশে সহায়তা করে। সিজার প্রসবের পর মায়ের জন্য একটি সুষম খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি কেবল দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে না বরং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুকে সঠিক পুষ্টিও সরবরাহ করে থাকে। সিজার ডেলিভারির পরে আপনার চর্বিযুক্ত এবং জাঙ্ক ফুড অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ সিজারের পরে আপনার শারীরিক কার্যকলাপ কমে যায় যার কারণে আপনার ওজন বেড়ে যায়। এসময় এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না যা শরীরের জন্য ক্ষতি হয় এবং ক্ষত শুকিয়ে উঠতে সময় নেয়। নিচে সংক্ষেপে সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না তা আলোচনা করা হলো।
১। টক ও মসলাজাত খাবার
অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সিজারিয়ান মায়ের এ ধরনের খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই উত্তম ।টক খেতে কার না ভালো লাগে। তবে অতিরিক্ত টক খেলে এটি ঔষধ এর কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে । অতিরিক্ত টক খেলে ওজন অধিক পরিমাণে কমে যাওয়া, পেটে আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সহ অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া রক্তের গতিকে বৃদ্ধি করে উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় । তাই এ সময় টক জাতীয় খাবার হতে বিরত থাকতে হবে।
২। ফাস্ট ফুড
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দৌড়ানো এই দুনিয়ায় খুব শক্ত করেই শিকড় গেড়েছে ফাস্টফুড। আধুনিক জীবনে ফাস্টফুডের কদর খুব বেশি। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড গ্রহনে স্বল্পমেয়াদী এবং ভয়ঙ্কর দীর্ঘমেয়াদী নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এই খাবারের প্রচুর পরিমানে চর্বি রয়েছে। সিজারিয়ান মায়ের জন্য এই সময়ে ফাস্টফুড অস্বাস্থ্যকর। তাই ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ।
৩। ভারী খাবার এবং ভাজা-পোড়া
সিজার পরবর্তী সময়ে কোমল পানীয় এবং নরম খাবার থেকে শুরু করে খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। সিজার পরবর্তী 40 দিন হজম শক্তি কম থাকার কারণে নরম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত ।এ সময় শক্ত খাবার বা ভাজাপোড়া খাবার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় ।তাই ভাজা-পোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ভাজা-পোড়া খাবার শুধু অপ্রয়োজনীয় ওজন বাড়ার ঝুঁকি বাড়ায় না, বরং এই খাবার সাধারণত মশলা, সস, প্রক্রিয়াজাত মাংস যুক্ত থাকে।এমনকি এটি গ্যস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই উপাদানগুলির কোনটিই আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। যদি আপনি সম্প্রতি একটি সিজারিয়ান সেকশন করে থাকেন, তাহলে এগুলি পরিত্যাগ করুন।
৪। চা-কফি
চা-কফিতে আছে কাফেইন নামক উপাদান। এই উপাদান যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি ক্ষতিকরও।তাই অতিরিক্ত ক্যাফেইন পানে ব্যাক্তি মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চা-কফি মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট নিউরনকে বিপরীত মুখী করে মানুষকে ঘুম থেকে বিরত রাখে ।যা মানসিক স্বাস্থ্যের বিঘ্ন ঘটায় ।প্রসূতি মায়ের চা কফি খাওয়ার ফলে বাচ্চা মায়ের দুধ গ্রহণের ফলে কাফেইন উপাদান বাচ্চার মস্তিষ্কে একইভাবে বিচরণ করবে ।ফলে বাচ্চার মস্তিষ্ক এবং ঘুম বিচ্ছিন্নতার ফলে বাচ্চা অসুস্থ হতে পারে।তাই এ সময়ে অতিরিক্ত চা কফি পান রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায় । যা একজন প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।
৫। কাঁঠাল
সি-সেকশনের পরে প্রাথমিক সপ্তাহগুলিতে কাঁঠাল খাওয়া এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়। কাঁঠাল খাওয়ার ফলে পেট খারাপের মতো হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে, যা সি-সেকশনের সাথে যুক্ত। এতে করে অস্বস্তি লাগতে পারে এবং এটি ব্যথাকে আরও তীব্র করে তোলে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, প্রসবের পরে কাঁঠাল অম্লতা সৃষ্টি করতে পারে। কাঁঠাল খাওয়া আপনার নবজাতকের মধ্যে কোলিকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। অতএব, প্রসবের পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাঁঠাল খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৬। ঠান্ডা খাবার
যাদের সি-সেকশন কিছুদিন আগেই হয়েছে তারা ঠাণ্ডা খাবার এড়িয়ে যাওয়াই উচিত, কারণ এগুলো আপনার রক্ত প্রবাহকে ব্যাহত করতে পারে। এক্ষেত্রে ঠান্ডা খাবার সর্দি বা কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। অতএব, সিজারের পরে, ঠাণ্ডা দই, আইসক্রিম, আইস কিউব-লোডেড পানীয় ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
৭। কম রান্না করা খাবার
ঠিক যেমন গর্ভাবস্থায়, আপনাকে অবশ্যই কাঁচা খাবার খাওয়ার অভ্যাসকে দূর করতে হবে, তেমনি সিজারের পর ও আপনাকে কম রান্না করা খাবার বাদ দেওয়া উচিত। যেমন কম রান্না করা ডিম এবং কাঁচা মাংস, বদহজম এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যা সি-সেকশনের দাগ নিরাময়ে আরো দেরী করে।
৮। ডিম এবং দুধ
যদিও দুধ এবং ডিমকে পুষ্টিকর খাবারের অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে এগুলো সব সিজারিয়ান মায়ের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। কিছু মহিলাদের জন্য, ঠান্ডা দুধ পেটে ব্যথা হতে পারে এবং উষ্ণ দুধ অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে। আপনি যদি নতুন মা হন তবে আপনার জন্য দুধ হজম করাও কঠিন হতে পারে।
৯। সবজি জাতীয় খাবার
আবার অবার যেসব খাবারে আপনার পেট ফাঁপার সম্ভাবনা বা প্রবণতা রয়েছে সেই খাবারগুলো পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ফুলকপি, ব্রকলি, ডাল, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি ও ঢেঁড়সের মতো খাবারে এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে বা হয়। তাই এই জাতীয় সবজি অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
১০। অ্যালকোহল
এসময় সম্পূর্ণভাবে অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। অ্যালকোহল এড়ানো উচিত কারণ এটি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষমতাকে কম করে দেয় অর্থাৎ মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এবং শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করে থাকে।
১১। যে খাবার পেটে গ্যাস তৈরি করে
পেটে গ্যাস তৈরি করে এমন খাবার থেকে এসময় দূরে থাকা উচিত। প্রসবের দিন থেকে কমপক্ষে ৪০ দিন পর্যন্ত ছোলা, চাওয়ালি, রাজমা, অরহর ডাল, চানা, বেসন, আচার, সবুজ কড়াইশুঁটি, শুকনো মটরের মতো খাবারগুলি থেকে দূরে থাকা উচিত। কার্বনেটেড পানীয় এবং সাইট্রাস রস খাওয়া উচিত নয় কারণ এই খাবারগুলো গ্যাস তৈরি করতে পারে।
১২। হজমে সমস্যা হয় এমন খাবার
আমাদের খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার থাকে যা খাবার হজম হতে অনেক বেশি সময় লাগে। অথবা খাওয়ার পরে আবারন পেট ফাঁপার আশংকাও থাকে। এতে পেটে অস্বস্তি হতে পারে বা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সিজারের পর সাময়িকভাবে এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। তাই সিজারের পর দ্রুত সুস্থ্য হওয়ার জন্য খাদ্য তালিকার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।
সিজারের পর ব্যথা কত দিন থাকে?
সিজারের দ্বারা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর একজন মায়ের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে সাধারণত প্রায় ১৫ মাস সময় লাগতে পারে। তবে এই সময়টা আবার সব মায়েদের জন্য এক হয় না। সুস্থতা নিশ্চিত করে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রসূতি মায়েদের নিয়মিত চেকআপে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সিজারের কতদিন পরে সেলাই শুকায়?
সিজারের সময় শরীরের সাথে মিশে যায় না এমন সুতা দিয়ে পেটকাটা সেলাই করলে তা সাধারণত অপারেশনের ৫ থেকে ৭ দিন পর খুলে ফেলা যায়। তবে শারীরিক অবস্থা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এটা সবার ক্ষেত্রে এক নাও হতে পারে।
উপসংহার
সিজার প্রসবের পরের সময়টা প্রত্যেক মায়ের জন্য খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং একটি সময়। এসময় দ্রুত সুস্থতার জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সিজার করার পর খাবার তালিকা তে অবশ্যই একটি ভাল পুষ্টিকর খাদ্য আপনাকে এবং আপনার শিশুকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। এই সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই পর্যাপ্ত বিশ্রাম , ঘুম এবং হালকা ব্যায়াম করা উচিত। বাচ্চার জন্ম দিয়া একসময় যেমন সুন্দর অনুভূতি ঠিক তেমনই একটি নারীর জন্যে সবচেয়ে কষ্টকর অনুভূতিও বটে। বিভিন্ন জটিলতা থাকলেই কেবল সিজারের মাধ্যমে বাচ্চার জন্ম হয়। যা নরমাল ডেলিভারির চেয়ে প্রসবের সময় কম কষ্টকর মনে হলেও আসলে সিজার অনেক কষ্টদায়ক একটি ব্যাপার।
সিজার করলে নারীর শরীর থেকে অনেক রক্তক্ষন হয় তাই সিজারের পর খাবার তালিকার দিকে একটু বেশি নজর রাখতে হবে। কারন একজন মা সুস্থ থাকলেই বাচ্চা সুস্থ থাকবে। সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না তাই এসময় খুব কঠোরভাবে মেনে চলা উচিত। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে শরীর ফিট রাখার ১০ টি উপায় সম্পর্কে পড়তে পারেন।
“সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।