শরীর ফিট রাখার ১০ টি উপায় শীর্ষক আজকের প্রবন্ধে আপনাকে স্বাগতম। শরীর ফিট রাখার প্রথম শর্তই হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলা। সাথে সাথে করতে হবে সঠিক নিয়মে শারীরিক ব্যায়াম। শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ মানুষকেই শারীরিকভাবে ফিট মানুষ বলা যায়। তাই একই সাথে স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম ও মনের আনন্দের দিকেই নজর দিতে হয়। স্বাস্থ্যেই সকল সুখের মূল। নিজেকে সুখি ও সুস্থ রাখতে আমাদের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। শরীর সুস্থ থাকলেই আমরা বিভিন্ন ধরণের অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি পেতে পারি। শরীরকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত এবং পরিপূর্ণ জীবন যাপন করার করার জন্য প্রয়োজন একটি সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা এবং শারীরিক ক্রিয়াকৌশল। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনব্যবস্থা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একইসাথে দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে করে থাকে।
শারীরিকভাবে ফিট বলতে কি বুঝি?
শারীরিক সক্ষমতা বা ফিজিক্যাল ফিটনেস হল সুস্থ ও ভালো থাকার একটি অবস্থা । আরও পরিস্কার করে বললে, এটি হল বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলা, দাপ্তরিক বা ব্যবসায়িক ও দৈনন্দিন কাজকর্ম করার ক্ষমতা। সাধারণত শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করা হয় সঠিক পুষ্টিগুন সম্বৃদ্ধ খাবার গ্রহন, সহনীয় পর্যায়ের প্রয়োজনীয় শারীরিক ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষ মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত কিভাবে শারীরিকভাবে ফিট থাকা যায় তার উপায় জানা।
শরীর ফিট রাখার ১০ টি উপায়
সুস্থ দেহ সুস্থ মন। যার শরীর ভালো তার মনেও আনন্দ। তাই সুস্থ শরীরের কোন বিকল্প নেই। আর এই সুস্থতা এমনি এমনি আসে না। যার জন্য প্রয়োজন নিয়ম মেনে জীবন পরিচালনা করা ও পরিমিত খাদ্য গ্রহন করা। নিচে শরীর সুস্থ ও শরীর ফিট রাখার ১০ টি উপায় সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
১। সুষম খাদ্য খাওয়া
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একটি সুষম খাদ্য খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন সুষম খাদ্যে সমস্ত খাদ্যের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুন সঠিক পরিমানে অন্তর্ভুক্ত থাকে। শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সবই একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি পরিত্যাগ করাও গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্য শরীর গঠন থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহন করা।
২। সবজি জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, সবজি জাতীয় খাবার বেশি করে খেলে মানুষ অনেক বেশি সুস্থ থাকতে পারে। আমেরিকার গবেষণায় দেখা যায় যে, সপ্তাহে ৩০ রকমের সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে সবজি অনেক সহজলভ্য। তাই প্রতিনিয়ত সবজি খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। রঙিন শাক সবজিতে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এজন্যই ডাক্তাররা রঙিন সবজি বেশি করে খেতে বলেন। নিয়মিত সবজি খেলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমনি আবার মনও ভালো থাকে। পুঁইশাক, লাল শাক, পালং শাক সহ নানা প্রকারের সবজি পাওয়া যায় আমাদের দেশে।
৩। পর্যাপ্ত পানি পান করা
গবেষণায় দেখা যায় যে, আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের অন্যতম কারণ হলো পানি কম পান করা। নিয়মিত আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পান করা খুবই জরুরী। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পানি আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে থাকে। ডাক্তাররা শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি আমাদের শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি পান করা উচিত।
৪। নিয়মিত ব্যায়াম করা
শারীরিক সুস্থতার অন্যতম একটা মাধ্যম হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরকে অনেক সুস্থ রাখা যায়। ২০২০ সালের গবেষণায় দেখা যায় যে ইউটিউব এবং গুগোল এ সার্চ করার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টপিক ছিল ব্যায়াম করা এবং কিভাবে শরীর সুস্থ রাখা যায় এই তথ্য। অনলাইনের মাধ্যমেও বর্তমানে শারীরিক ব্যায়াম এর ট্রেনিং করা যায়। অনেক সময় ব্যায়াম করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি হাতে থাকে না। যন্ত্রপাতি এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম করা যায়। ডাক্তাররা মনে করেন যে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম আমাদের শরীর যেমন সুস্থ রাখে তেমনি আমাদের মনকেও করে প্রফুল্ল।
৫। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
প্রয়োজনীয় ঘুম শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেক জরুরি একটা বিষয়। ঘুম পরবর্তী কাজের জন্য শক্তি সঞ্চয় করে। আমরা প্রায় সময় কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকি যখন ঘুমানোর প্রতি খেয়াল রাখি না। গবেষকরা মনে করেন যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে ঘুমানো আমাদের শরীর ভালো রাখার জন্য অনেকাংশে দায়ী। আমেরিকার একদল গবেষক বলেন, আমাদের শারীরিক অসুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানো অন্যতম কারণ। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা এবং সকালের কিছু সময় শারীরিক ব্যায়াম করা শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা বেশিরভাগ সময় রাত্রে জেগে থাকি এবং দিনের বেলায় ঘুমানোর চেষ্টা করি যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
৬। ঘরের রান্না গ্রহন করুন এবং বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন
আমরা সকলেই নিজ নিজ কাজে খুব ব্যস্ত। তারপরেও চেষ্টা করুন সহজ সিম্পল খাবার রান্না করে খেতে। তাতে টাকাও সাশ্রয় হবে আবার শরীরের জন্য উপকারীও হবে। প্রয়োজনে ছুটির দিনে নির্দিষ্ট সময় করে সপ্তাহের খাবার মেনু ঠিক করে নিন এবং রান্না করে ফেলুন। তাতে আপনার সুবিধে হবে এবং আপনাকে বাহিরের খাবার গ্রহন করতে হবে না। এই পরিকল্পনাগুলো আপনাকে বাহিরের বা দোকানের অতিরিক্ত ফ্যাট, চিনি এবং নুনযুক্ত খাবার এড়াতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর রাখবে।
৭। ভোরে ঘুম উঠা ও হাটুন
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাইরে হাঁটা কিংবা দৌড়ানো হচ্ছে শরীর ফিট রাখার অন্যতম নিয়ামক। সকালের হাঁটা কিংবা দৌড়ানো হচ্ছে সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম। এই ব্যায়ামগুলার জন্য শরীরের বেশিরভাগ পেশি নাড়াচড়ার সুযোগ পায়। এছাড়াও সকালের সতেজ বাতাসে গা ভাসিয়ে চলার আনন্দই আলাদা এবং মনও হয় ফুরফুরে। দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটা এবং সিঁড়ি বেঁয়ে উঠা। আর ঘরের কাজকর্ম করলে তো খুবই ভালো হয়। এভাবে ধীরে ধীরে হাঁটার সময় বাড়াতে হবে। সকালের বাতাস থাকে পরিস্কার ও দূষনমুক্ত যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
৮। চিনি ও তেল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত তো দূরের কথা চিনি খাওয়াই ঠিক না। যদি একদি একটা মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় কেক খাওয়া হয় তাহলে অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ ক্যালোরি বেড়ে যায়। এবার হয় আপনাকে ব্যায়াম করে এই এনার্জিটুকু খরচ করতে হবে আর না হলে শরীরে তা মেদ হিসেবে জমে যাবে। চিনি, ময়দা, ভাত সব কিছুই শরীর খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে গ্লকোজে পরিণত করে থাকে। এই জাতীয় খাবার যত বেশি খাবেন রক্তে চিনির মাত্রা তত বাড়তে থাকবে। ভাজাপুড়ার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা রক্তে চিনি এবং ফ্যাটের মাত্রা বেড়ে যাবে। তাই অন্তত যাঁদের ডায়াবেটিস ধরা আছে বা বর্ডারলাইনে আছে অথবা যাদের ওজন বেশি তাঁদের এ সব থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়।
৯। মন খুলে হাসা
প্রচলিত কথা, যে মানুষ হাসে বেশি সে নাকি বেশিদিন বাঁচে। হাসলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়। ডাক্তাররা বলেন হাসি এক ধরনের ঔষধ আর নিয়মিত হাসা এক প্রকার ঔষধের মত কাজ করে। আমরা অনেকেই কর্মব্যস্ত থাকি যার কারনে সুন্দর এই ঔষধটার ব্যবহার বেশি করা হয় না। বাইরের দেশের মানুষরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের খেলাধূলা বা মজার সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন ফানি জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে শুধু হাসার জন্য। বিশেষ করে তারা নিজেদেরকে আলাদা করে সময় দিয়ে থাকে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। অনেক গবেষকরা বলেন বয়স যত বেশি হতে থাকবে তত নিয়মিত ছোটদের সাথে খেলাধূলা করা উচিত এতে করে মন অনেক ভালো থাকে। মন খুলে হাসলে আমাদের হৃদপিন্ডও ভালো বা সুস্থ থাকে।
১০। নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া
আমরা বেশিরভাগ সময় পরিবার ও কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি। যেখানে নিজের মনের ইচ্ছাটুকু প্রকাশ করার সুযোগ ক্ষীন। যার ফলে নিজের মনের উপর চাপ বাড়তে থাকে। একধরনের অনুকরনীয় জীবন যাপনের দিকে ধাবিত হতে থাকে জীবন যা একজন মানুষের স্বাস্থের ও মনের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে। তাই নিজের আনন্দ বা সন্তুষ্টির জন্য মাঝে মধ্যেই সময় বের করে নিজেকে সময় দেওয়া বা নিজের ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করা উচিত। অনেক সময় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেয়া যায় তাদের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের উপর বাবা-মায়ের চাওয়াকে চাপিয়ে দেওয়া হয় যা হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়। তখন দেয়া যায় সেই বাচ্চা কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে পারে না। তাই সুস্থ্য ও সুন্দর জীবনের জন্য নিজের ইচ্ছাঅনুযায়ী চলা উচিত।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
শরীর ফিট রাখার ১০ টি উপায় এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।
ফিট থাকার জন্য কোন ব্যায়াম ভালো?
শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য ছোট ছোট ব্যায়মাই যথেষ্ঠ। দ্রুত হাঁটা, সাঁতার কাটা, জগিং, সাইকেল চালানো, নাচ বা স্টেপ অ্যারোবিকসের মতো ব্যায়ামগুলো করার চেষ্টা করুন। এই ছোট ছোট পরিশ্রমের ব্যায়ামগুলো আপনার শরীর সুস্থ্য ও ফিট রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
পুরুষের শক্তি কমে যায় কত বছর বয়সে?
মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে পেশীর ভর, শক্তি এবং কার্যকারিতায় কমতে থাকে। এই পরিবর্তনগুলি সাধারনত ৩০ এর দশকের প্রথম দিকে শুরু হয় এবং প্রতি দশকে ৩% থেকে ৫% হারে বাড়তে থাকে। তবে আশারবানী হল যে, শক্তি প্রশিক্ষণ (ব্যায়াম) আপনাকে যে কোনও বয়সে পেশীর ভর বা সক্ষমতা বজায় রাখতে এবং পুনর্নির্মাণ করতে সাহায্য করে।
উপসংহার
শরীরকে সুস্থ রাখতে ছোট ছোট অনেক নিয়মই পালন করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো, সুষম খাদ্য গ্রহন, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়ানো, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা এবং নিয়মিত চেক-আপ করার মাধ্যমে আপনি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সারাজীবন সুস্বাস্থ্যের গোপণ চাবিকাঠি হল ‘লাইফস্টাইল মেডিসিন’। যা খুবই সহজ। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এই স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে আপনি কি সুখে বা ভালো থাকবেন? আপনার শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে কোন কিছুতেই আপনি ভালো থাকতে পারেন না। তাই সবার আগে চাই সুস্থ শরীর। তাই ভালো থাকার বা শরীর ফিট রাখার জন্য শরীর ফিট রাখার ১০ টি উপায় কমপক্ষে জানতেই হবে। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে পড়তে পারেন।
“শরীর ফিট রাখার ১০ টি উপায়” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।