Skip to content
Home » ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

Causes of frequent urination

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার যারা এই ধরনের সমস্যায় পড়েছেন তাদের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। একজন সুস্থ মানুষ দৈনিক ৬ থেকে ৭ বার পর্যন্ত প্রস্রাব করতে পারে ৷ খুব বেশি পানি খেলে আবার  ৮ থেকে ৯ বার পর্যন্ত হতে পারে৷ তবে এর বেশি হলে এটাকে ঘন ঘন প্রসাব এর সমস্যা বলতে পারি৷ সোজা কথা কেউ ২ লিটার পানি খেলে ২৪ ঘন্টার ভিতর ৭ থেতে ৮  বারের বেশি প্রস্রাব করলে তার শারিরীক কোন সমস্যা আছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এটাকে আমরা ঘন ঘন প্রস্রাব এর সমস্যা বলতে পারি ।

একজন সুস্থ মানুষ দিনে ৪ থেকে ৫বার প্রস্রাব করে তা হলে এটা স্বাভাবিক। যার মূত্রথলি আছে তার ধারণক্ষমতা ২৫০ সিসি। এই পরিমাণ জমে গেলে প্রস্রাব করার অনুভূতি তৈরি হয়। এর পরে যত প্রস্রাব জমতে থাকবে তত বেশি প্রস্রাব অনুভূতি তৈরি হবে। কিন্তু যদি ৭ বারের বেশি প্রস্রাব করতে হচ্ছে তা হলে এটি ঘন ঘন প্রস্রাব হিসেবে ধরা নেওয়া হবে। শরীরের বর্জ্য কিডনি ও মূত্রতন্ত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে বাহিরে আসে। এই কার্যটিতে ব্যাঘাত ঘটলে জীবন বিষিয়ে উঠবে। প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দিলে নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। একজন স্বাভাবিক মানুষ দিনে ৪ থেকে ৫ বার প্রস্রাব করে থাকেন।  কারও কারও আবার ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হয়। 

ঘন ঘন প্রস্রাব কি?

খুব সহজ করে যদি বলি তাহলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব করা হলে অর্থাৎ গড়ে সারাদিন ৭ থেকে ৮ বারের বেশি প্রস্রাব হলে তখন তাকে ঘন ঘন প্রস্রাব বলে। প্রতি ঘন্টায় কিংবা ৩০ মিনিট পর পর যদি আপনাকে ওয়াসরুমে যেতে হয় তাহলে সেটি অবশ্যই ঘন ঘন প্রস্রাব হিসাবে বিবেচিত হবে। যেকোন বয়সে এবং যে কারোই হতে পারে এটি। তবে ৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। আমরা যদি অতিরিক্ত পানি বা তরলজাতীয় খাবার খাই তবে প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হওয়া স্বাভাবিক। একজন সুস্থ মানুষ দিনে ৪ থেকে ৫ বার যদি প্রস্রাব করে তা হলে এটা স্বাভাবিক। বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারনত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয় থেকে আটবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

আমাদের অনেকের মাঝে মাঝে ঘন ঘন প্রসব হয়। আমরা এই সময় নানা ধরণের দুশ্চিন্তায় থাকি। আবার অনেকেই মনে করি, ডায়াবেটিকস হলো না তো? তাই আমরা আজকে জানবো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকারগুলো। নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ সমূহ

ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব হওয়া কোন রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গ মাত্র। এর কারণে শরীরে জলের ভারসাম্যহীনতা, জলশূন্যতা, সোডিয়ামের ভারসাম্যহীনতার মত সমস্যা হতে পারে। তাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডায়াবিটিস বা অন্যান্য সমস্যা আছে কি না তা পরীক্ষা করে নেওয়া খুবই জরুরি। বিভিন্ন কারনে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। তবে তার মধ্যে আমরা সচরাসচ যে কারনটি দেখে থাকি তাহলো বেশি করে পানি খাওয়া। আমরা অনেক সময় না বুঝে প্রচুর পানি খেয়ে থাকি। এই অতিরিক্ত পানি পানই এই সমস্যার জন্য প্রায় ৯০ ভাগ দায়ী। নিচে সংক্ষেপে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কিছু যুক্তিযুক্ত কারন উল্লেখ করা হলো যা আপনাদের অনেকেরে উপকারে আসতে পারে।

১। মূত্রনালির সংক্রমণ

মূত্রনালি,কিডনি ও মূত্রাশয় ইত্যাদি মূত্রতন্ত্রের অংশ হিসেবে পরিচিত। যখন এই অংশগুলোর যে কোনোটিতে সংক্রমণ ঘটে ঠিক তখন তাকে মূত্রনালির সংক্রমণ বলা হয়। এর মধ্যে আছে ব্যথা, জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ও ফেনা হওয়া।

২। প্রোস্টেট সংক্রমণ

পুরুষরা যদি বারবার প্রস্রাবের তাগিদ অনুভব করেন তাহলে শুধু তা ডায়াবেটিস নয় বরং প্রোস্টেট সংক্রমণ বা প্রোস্টেট বড় হওয়ার কারণও হতে পারে। এই গ্রন্থি শুধু পুরুষদের মধ্যে থাকে যা মূত্রাশয়ের নীচে থাকে ও বীর্য উৎপন্ন করে থাকে।

৩। মূত্রাশয়ের সমস্যা

মূত্রাশয়ের সমস্যা হলে প্রচণ্ড ব্যথা হয় পেটের নিচের অংশে। একই সঙ্গে চাপও অনুভূত হয়। এতে বারবার প্রস্রাব হতে পারে ও প্রতিবার প্রস্রাবের পর ব্যথা হয়।

৪। মানসিক চাপ

জানলে অবাক হবেন মানসিক চাপ বা উদ্বেগও কিন্তু ঘনঘন প্রস্রাবের প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ যখনই পেটের পেশী টানটান থাকে ঠিক তখনই এর উৎপাদন বেড়ে যায়। আর পেশীগুলো চাপের মধ্যে শক্ত হয়ে যায় কোনো আঘাত বা বিপদ থেকে রক্ষা পেতে।

৫। মূত্রাশয় ক্যানসার

আবার ঘনঘন প্রস্রাবের সমস্যা মূত্রাশয় ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে। যদিও এটি খুবই একটি বিরল ঘটনা তবে উপেক্ষা করা যায় না। এ রোগে হঠাৎ প্রস্রাবের চাপ ও প্রস্রাবের সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া হতে পারে। আপনার যদি ওভারঅ্যাক্টিভ মূত্রাশয় থাকে তাহলেও আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। এতে প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের চাপ থেকে যায়। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যাকে ডায়াবেটিস ভেবে ভুল করা যাবে না। বরং যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ‍যিনি আপনাকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে সঠিক প্রতিকার ও ওষুধের পরামর্শ দিতে পারেন।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রতিকার সমূহ

ঘরোয়া কিছু নিয়ম আছে যা আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রবনতাকে কমিয়ে দিতে পারে। নিচে কিছু প্রতিকার তুলে ধরা হলো।

১। তুলসী 

তুলসি বিভিন্ন ছত্রাক, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে। এটি আয়ুর্বেদ সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় । মূত্রনালীর সংক্রমণ যা প্রায়শই ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ হয়ে থাকে। কয়েকটি তুলসী পাতা গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে মধু দিয়ে মেখে খেতে পারেন। 

২। জিরা

জিরা একটি সুগন্ধি ভেষজ খাদ্য। এটি বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত অবস্থার বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি সমীক্ষা অনুসারে জিরার অপরিহার্য তেল মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণ হিসাবে পরিচিত একটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। ফলস্বরূপ এটি মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণে ঘন ঘন প্রস্রাবের উপশম করতে সাহায্য করে থাকে। যদি জিরা পানি ফুটিয়ে সেবন করা হয় তবে এটি ঘন ঘন প্রস্রাব বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।   

৩। আমলা 

আমলায় উচ্চ ভিটামিন সি রয়েছে এবং এটি রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ভাল কাজ করে যা ঘন ঘন প্রস্রাবের পরিমান কমিয়ে দেয়। অযথা প্রস্রাব এর প্রবাহকে উদ্দীপিত না করে প্রস্রাব এর পরিমান কমিয়ে করার ক্ষমতার রাখে। এটি মূত্রতন্ত্রের জন্য বিশেষভাবে সুবিধাজনক। আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হলে শুধু আমলা থেকে রস তৈরি করলে তা বাড়িতে চিকিৎসা করতে সাহায্য করতে পারে। 

৪। একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা 

শরীরের অতিরিক্ত ওজন মূত্রাশয়ের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি পায়। ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়াম এই চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন যেমন একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান। যদি আপনার একটি নিরাপদ, দীর্ঘমেয়াদী ওজন কমানোর কৌশল তৈরি করতে পারেন তাহলে সহজেই এই ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পারেন।

৫। Kegel ব্যায়াম 

পেলভিক ফ্লোর পেশী মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরিহার্য। কেগেল ব্যায়াম ব্যবহার করে শক্তিশালী করা যেতে পারে। নিয়মিত কেগেল ব্যায়াম করা প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি এবং জরুরীতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার যোনিতে পেশীগুলি এমনভাবে চেপে ধরুন যেন আপনি কেগেল ব্যায়াম করার জন্য প্রস্রাব বন্ধ করার চেষ্টা করছেন

৬। সম্পূরক অংশ 

এটা সুপরিচিত যে ম্যাগনেসিয়ামের পেশী শিথিল করার ক্ষমতা রয়েছে। কিছু ব্যক্তি ম্যাগনেসিয়াম সম্পূরক গ্রহণের মাধ্যমে অতিরিক্ত সক্রিয় মূত্রাশয়ের লক্ষণগুলির উন্নতির কথা জানিয়েছেন। আপনার পরামর্শ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী আপনার রুটিনে কোনো সম্পূরক যোগ করার আগে।

৭। মূত্রাশয় প্রশিক্ষণ

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া অন্যতম লক্ষণ যা মূত্রাশয় পুনরায় প্রশিক্ষণ সাহায্য করতে পারে। মূত্রাশয় প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হল আপনার প্রস্রাব করার প্রয়োজনীয়তাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং আপনার টয়লেট পরিদর্শনের সময় নির্ধারণ করতে হয় তা শেখানো। এই কৌশলটি যখন আপনি যাওয়ার তাগিদ অনুভব করেন তখন অল্প সময়ের জন্য প্রস্রাব বন্ধ রাখার সাথে জড়িত। ধীরে ধীরে আপনি বিশ্রামাগারে ভ্রমণের মধ্যে সময় বাড়াতে পারেন। কেগেল ব্যায়ামের সাথে মূত্রাশয় প্রশিক্ষণকে একত্রিত করারও সুপারিশ করা হয়।

৮। বাথরুমের অভ্যাস

আপনার বাথরুমের অভ্যাস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। বিশ্রামাগারে প্রতিটি ভ্রমণের সময় আপনার মূত্রাশয় সম্পূর্ণ খালি করুন এবং সময় নিন। তাড়াহুড়ো অসম্পূর্ণ খালি হতে পারে যা প্রস্রাবের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৯। পেলভিক ফ্লোর ফিজিক্যাল থেরাপি 

পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম পেটের পেশী শক্তিশালী করে। সম্ভাব্য প্রস্রাব ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ শারীরিক থেরাপিস্ট মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য পেলভিক ফ্লোর পেশী সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধান করতে পারেন।

১০। আপনার ওষুধ পরিচালনা করুন 

পলিফার্মাসি থেকে প্রস্রাবের উপসর্গ বা মূত্রাশয়ের অবস্থার অবনতি হতে পারে যা প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে সাধারণত বেশি দেখা যায়। এর অর্থ হল একাধিক ওষুধ গ্রহণকারী ব্যক্তিরা মূত্রাশয় ধরে রাখা বা ঘন ঘন প্রস্রাবের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। যে ওষুধগুলি এই প্রভাবগুলির কারণ হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে মাদকদ্রব্য, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস,মূত্রবর্ধক, উপশমকারী এবং অ্যান্টিকোলিনার্জিক। ডোজ পরিবর্তন, বন্ধ বা হ্রাস করে একাধিক ওষুধের ব্যবহার পরিচালনা করা অপরিহার্য।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেই সেই সকল সমস্ত সকল প্রশ্ন ও উত্তর।

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত?

সাধারনত ঘন ঘন প্রস্রাব হলে ডাক্তাররা ক্লোরোমাইসেটিন ৫০০ এম জি ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে ঘন ঘন প্রস্রাব ঔষধের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতি বেশি কাজ করে থাকে।

কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত?

বিশেষজ্ঞদের মতে সাধারনত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছয় থেকে আটবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার পানির মাত্রা যদি পর্যাপ্ত হয় তবে চার থেকে ১০ বার প্রস্রাব হওয়াকে স্বাভাবিক বলা যেতে পারে। ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কখন সমস্যা হিসেবে ধরা হয় যখন হঠাৎ করেই প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূত্রথলির অতিরিক্ত সক্রিয়তাজনীত সমস্যা দায়ী হয়ে থাকে।

উপসংহার

একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দৈনিক সাধারণত ২ দশমিক ৫ থেকে তিন লিটার পানি বা পানীয় পান করে থাকেন। কিডনির কাজ করার ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকলে পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার খুব বড় তারতম্য না হলে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫০০ সিসি প্রস্রাব কিডনি তৈরি করে থাকে।  আমাদের শরীর থেকে কিছু কিছু পানি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে, কিছু পানি  ঘাম আকারে, কিছু পানি মলের সঙ্গে বের হয়ে যায়।  যেহেতু আমাদের প্রস্রাবের থলির স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৩০০ সিসি তাই স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টায় চার থেকে পাঁচবার প্রস্রাব করে থাকে।

সাধারণত দিনে চারবার আর রাতে একবার। তবে নানাবিধ স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক কারণে বারবার প্রস্রাবের প্রবণতা দেখা দিতে পারে। আবার কমেও যেতে পারে। যদি আমরা অতিরিক্ত পানি বা তরলজাতীয় খাবার খাই তবে প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হওয়া স্বাভাবিক। বারবার প্রস্রাব হয় সাধারনত ডায়াবেটিসের কারণে। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার তাই আমাদের সবারি জানা উচিত। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না এ সম্পর্কে পড়তে পারেন। 

“ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *