ঠাকুরগাঁও কিসের জন্য বিখ্যাত একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আপনার জানা উচিত নয় কি? বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্রসিদ্ধ একটি জেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও। এখানে রয়েছে শত শত দর্শনীয় স্থান, রয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ এবং বিখ্যাত সব খাবার যা আপনাকে বিনোদন দিতে, জ্ঞান সীমা বাড়াতে এবং আপনার রুচির পরিবর্তন ঘটাতে বিশেষভাবে সহায়তা করতে পারে। তাহলে বেশি কথা না বলে বরং আমরা মূল আলোচনায় ফিরে যেতে পারি।
ঠাকুরগাঁও কিসের জন্য বিখ্যাত
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, শত শত জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, জেলার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা শত শত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত সব খাবার এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন; এই জেলা বিখ্যাত হওয়ার অন্যতম কারণ। বিস্তারিতরূপে, ঠাকুরগাঁও কিসের জন্য বিখ্যাত তা নিচে দেখুন।
ঠাকুরগাঁও জেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য
ঠাকুরগাঁও জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। জেলাটি ১,৮০৯.৫২ বর্গকিমি (৬৯৮.৬৬ বর্গমাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। আদমশুমারী অনুসারে, জেলাটির জনসংখ্যা ৯৩,২১৩ জন। ঠাকুরগাঁও জেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, পূর্বে পঞ্চগড় জেলা, দক্ষিণে দিনাজপুর জেলা এবং পশ্চিমে পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত। জেলার প্রধান নদীগুলো হলো টাঙ্গন, নাগর, কুলিক, তিরনাই এবং পাথরাই। ঠাকুরগাঁও জেলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জনপদ। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই জনবসতি ছিল। জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে প্রাচীনকালের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। এই জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। এখানে ধান, গম, পাট, সরিষা, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি প্রধান ফসল চাষ হয়। জেলাটিতে বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানাও রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও এর বিখ্যাত সব খাবার
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের এই জেলা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত। ঠাকুরগাঁওয়ের রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এই জেলার খাবারও বেশ সুস্বাদু ও জনপ্রিয়। চলুন কিছু বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জেনে নিই।
কালাই রুটি
কালাই রুটি ঠাকুরগাঁওয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত খাবার। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এই রুটি ঠাকুরগাঁওয়ের মথুরাপুর বাজারে পাওয়া যায়। কালাই রুটি তৈরি করা হয় কালাই ধানের আটা দিয়ে। এই রুটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
হাঁসের মাংস
ঠাকুরগাঁওয়ের হাসের মাংসও বেশ জনপ্রিয়। এই জেলায় হাসের খামার বেশ প্রচলিত। ঠাকুরগাঁওয়ের হাসের মাংসের স্বাদ বেশ টাটকা ও সুস্বাদু। সেখানে গেলে এটা খাবেন কিন্তু!
মাছ
ঠাকুরগাঁওয়ের নদীতে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। তাই এই জেলায় মাছের পদ বেশ জনপ্রিয়। ঠাকুরগাঁওয়ের বিখ্যাত মাছের পদগুলির মধ্যে রয়েছে কাতলা মাছের ঝোল, রুই মাছের কালিয়া, ইলিশ মাছের মালাইকারি, কই মাছের চচ্চড়ি ইত্যাদি।
আখের গুড়
ঠাকুরগাঁওয়ের আখের গুড়ও বেশ সুস্বাদু। এই গুড় তৈরি করা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের উৎকৃষ্ট মানের আখ দিয়ে। আখের গুড় দিয়ে তৈরি নানা রকমের খাবার ও মিষ্টান্ন ঠাকুরগাঁওয়ের একটি বিশেষ আকর্ষণ। কি! জিভে জল আসছে বুঝি!
আঁচার
আখের গুড়ের মত ঠাকুরগাঁওয়ের আচারও বেশ বিখ্যাত। এই জেলায় নানা রকমের আচার তৈরি করা হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের বিখ্যাত আচারগুলির মধ্যে রয়েছে বরই, রসুন, তেঁতুল ইত্যাদি।
ঠাকুরগাঁও এর জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গ
ঠাকুরগাঁও জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। এ জেলাটি তার প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। ঠাকুরগাঁও জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রয়েছেন-
- রাজা গণেশ (১০ম শতাব্দী) – ঠাকুরগাঁও জেলার ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। তিনি মালদুয়ার পরগণার একজন জমিদার ছিলেন।
- নরেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ – তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব এবং সেই সাথে অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
- রাজা টংকনাথ চৌধুরী – তিনি হচ্ছেন মালদুয়ার পরগণার একজন প্রসিদ্ধ জমিদার।
- নুরুল হক চৌধুরী – বাংলাদেশী আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সমাজ হিতৈষী জনদরদী ব্যক্তি ছিলেন।
- মির্জা রুহুল আমিন – বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ।
- সুবেদার আহমেদ হোসেন – বাংলাদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা। জন্ম চট্টগ্রাম হলেও চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বাস করেন ঠাকুরগাঁও।
- মো. দবিরুল ইসলাম – বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ।
- শিশির ভট্টাচার্য্য (জন্ম: ১৯৬০) – বাংলাদেশের একজন চিত্রশিল্পী ও কার্টুনিস্ট।
- মো. ইয়াসিন আলী (জন্ম: ১৯৬১) – বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ।
- লিটু আনাম (জন্ম: ১৯৭০) – বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেতা।
- সেলিনা জাহান লিটা (জন্ম: ১৯৭০) – বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ।
ঠাকুরগাঁও এর দর্শনীয় স্থানসমূহ
ঠাকুরগাঁও বাংলাদেশের একটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা। এই জেলা তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং প্রসিদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। জেলার দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে-
বালিয়া মসজিদ
জিনের মসজিদ নামে খ্যাত বালিয়া মসজিদটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামে অবস্থিত। এটি ১৭ শতকে নির্মাণ করা হয় এবং এর স্থাপত্যশৈলীটি মুঘল স্থাপত্যের একটি অনন্য নিদর্শন।
হরিপুর রাজবাড়ি
এই রাজবাড়িটি ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি ১৮ শতকে নির্মাণ করা হয় এবং এর স্থাপত্যশৈলীটি হিন্দু-মুসলিম স্থাপত্যের একটি সমন্বয়। মোট তিন একর ২৭ শতক জমির উপর নির্মিত এই স্থাপত্য শৈলী সত্যিই চমৎকার। এটি নির্মাণ করেন হরিপুরের জমিদার মহোদয়। আনন্দঘন মুহূর্ত পাড়ি দেওয়ার জন্য এখানে রয়েছে বিনোদনের নাচমহল ও নাগ মহল, বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য রয়েছে কাচারি এবং উপাসনার জন্য রয়েছে উপাসনালয়। কতইনা সুন্দর ছিল তাদের প্ল্যান বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই।
মালদুয়ার দুর্গ
এই দুর্গটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবস্থিত। এটি ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন।
সাপটি বুরুজ
এই স্থাপত্যটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবস্থিত। এটি একটি ছোট্ট মসজিদ যা তার অদ্ভুত আকৃতির জন্য পরিচিত।
বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ
বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন আমগাছ। এই গাছটিকে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় আমগাছ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই গাছটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো বলে ধারণা করা হয়। গাছটির উচ্চতা প্রায় ৮০ ফুট এবং শাখা-প্রশাখা প্রায় ২.৫ বিঘা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। গাছের ডালপালা মাটির দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি
রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি ১৯১৫ সালে নির্মিত হয়। রাজবাড়িটি প্রায় ১০ একর জমির উপর অবস্থিত। রাজবাড়ির প্রধান ভবনটি লাল রঙের এবং এর নকশায় আধুনিকতার পাশাপাশি ভিক্টোরিয়ান অলঙ্করণের ছাপ সুস্পষ্ট। রাজবাড়ির ভিতরে রয়েছে বিশাল আয়তক্ষেত্রাকার হলঘর, অতিথি কক্ষ, অফিস কক্ষ, এবং অন্যান্য আবাসিক ও প্রশাসনিক কক্ষ। রাজবাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে কাছারি বাড়ি, পূর্বে দুইটি পুকুর এবং রাজবাড়ি থেকে ২০০ মিটার দক্ষিণে রামচন্দ্র (জয়কালী) মন্দির অবস্থিত। রাজবাড়িটি বর্তমানে অবহেলিত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। এর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন।
জগদল রাজবাড়ি
জগদল রাজবাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে জগদল নামক স্থানে অবস্থিত। ধারণা করা হয়, আনুমানিক ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে জগদলের রাজকুমার শ্রী বীরেন্দ্র কুমার নাগর ও তীরনই নদী মোহনায় এই রাজবাড়িটি তৈরী করেন। রাজবাড়িটির প্রধান ভবনটি একতলা বিশিষ্ট এবং এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ মিটার এবং প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার। ভবনটির সামনে ও পিছনে বিশাল বাগান রয়েছে। বাগানের মাঝখানে একটি সুদৃশ্য পুকুর রয়েছে। রাজবাড়ির ভিতরে রয়েছে বিশাল হলঘর, অতিথি কক্ষ, অফিস কক্ষ, এবং অন্যান্য আবাসিক ও প্রশাসনিক কক্ষ। রাজবাড়ির পশ্চিম পাশে একটি ছোট মন্দির রয়েছে।
নেকমরদ মাজার
এই মাজারটি রানীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত। এটি ১৫ শতকে নির্মিত হয়েছিল এবং এখানে বুড়িমার, কবিরাজ মামুন শাহ এবং মানিক শাহের সমাধি রয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে: জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ, গড় ভবানীপুর, গড়খাঁড়ি, কোরমখান গড়, গড়গ্রাম দুর্গ, গড়েয়া ইসকন মন্দির, গোবিন্দনগর মন্দির, গোরক্ষনাথ মন্দির, ঢোলরহাট মন্দির ও ভেমটিয়া শিবমন্দির অন্যতম।
ঠাকুরগাঁও একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করার জন্য এখানে আসেন।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ
ঠাকুরগাঁও জেলার ঐতিহ্য নিশ্চয় আপনার ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের প্রায় শেষ সীমান্তে অবস্থিত এই জেলা অনন্য সব দর্শনীয় স্থানে ভরপুর। ঠাকুরগাঁও কিসের জন্য বিখ্যাত এ সম্পর্কে জানার পরও নিশ্চয় আরও কিছু প্রশ্ন হয়তো আপনার মনে উঁকি দিচ্ছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল প্রশ্ন এবং উত্তরসমূহ-
ঠাকুরগাঁও জেলা এর নামকরণ কিভাবে করা হয়?
ঠাকুরগাঁও জেলার নামকরণ করা হয়েছিল ঠাকুর ঈশান চন্দ্রের নামানুসারে। ঠাকুর ঈশান চন্দ্র ছিলেন একজন ধনী জমিদার এবং তিনি এই জেলার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ঠাকুরগাঁও জেলার আয়তন কত?
ঠাকুরগাঁও জেলার আয়তন প্রায় ১,৮০৯.৫২ বর্গকিমি। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
ঠাকুরগাঁও জেলার জনসংখ্যা কত?
ঠাকুরগাঁও জেলার জনসংখ্যা ৯৩,২১৩ জন। এটি বাংলাদেশের ৮ম জনবহুল জেলা।
ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান নদী কোনটি?
ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান নদী হল ব্রহ্মপুত্র। এছাড়াও, জেলায় তিস্তা, ধরলা, তুরা, খরনা, আত্রাই, ঝিনাই নদী প্রবাহিত হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান ফসল এর নাম কি?
ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান ফসল হল ধান, গম, পাট, আলু, ভুট্টা, সরিষা, ইত্যাদি। এছাড়াও, জেলায় আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, আনারস, ইত্যাদি ফলের চাষ হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান শিল্প গুলো কি কি?
ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান শিল্প হল কৃষিভিত্তিক শিল্প, পোশাকশিল্প অন্যতম।
উপসংহার
বৈচিত্র্যময় এই বাংলাদেশের অন্যতম সৌন্দর্যময় জেলা ঠাকুরগাঁও কিসের জন্য বিখ্যাত তার বিস্তারিত ইতোমধ্যে আমরা তুলে ধরেছি। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে কুড়িগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত এ সম্পর্কে পড়তে পারেন।
‘ঠাকুরগাঁও কিসের জন্য বিখ্যাত ‘পোস্টটি আশা করছি আপনার অত্যন্ত উপকারে আসবে। মনে রাখবেন আমরা যতদিন বেঁচে আছি, জ্ঞান অন্বেষণ করা আমাদের জন্য ফরজ। সুতরাং নিজের গতিকে কখনো দমিয়ে রাখবেন না। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।