কুড়িগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত তার খুঁটিনাটি আজকের পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। সুতরাং আপনি যদি কুড়িগ্রাম বিখ্যাত হওয়ার সঠিক কারণ না জেনে থাকেন তবে এই পোস্টটি কিন্তু আপনার জন্যই। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্জলের মোটামুটি দ্রারিদ্রপ্রবণ জেলা কুড়িগ্রাম সম্পর্কে সঠিক ও জ্ঞানগর্ভ তথ্যের জন্য পুরো পোস্টটি অত্যন্ত মনোযোগসহ পড়ে নিন। শুরুতেই কুড়িগ্রাম জেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক-
কুড়িগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
কোন জেলা বিখ্যাত হওয়ার পেছনের গল্প কি জানেন? সেই জেলার অর্থনৈতিক অবস্থা, খাবারের দশা, জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অবদান ও দর্শনীয় স্থানের কথা সবার আগে উল্লেখযোগ্য। এগুলোর উপর ভিত্তি করেই মূলত কোন জেলা বিখ্যাত হয়ে থাকে। তাহলে কুড়িগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত জেনে নেওয়া যাক-
কুড়িগ্রাম জেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য
কুড়িগ্রাম জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। কুড়িগ্রাম জেলার অবস্থান ২৫°২৩´ থেকে ২৬°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৭´ থেকে ৮৯°৫৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। জেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, দক্ষিণে গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলা, পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য, পশ্চিমে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। কুড়িগ্রাম জেলার মোট আয়তন ২২৪৫.০৪ বর্গকিলোমিটার (৮৬৩.৬৯ বর্গমাইল)। আদমশুমারি অনুযায়ী কুড়িগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ২০৬৯২৭৩; তাদের মধ্যে পুরুষ ১০১০৪৪২ জন, মহিলা ১০৫৮৮৩১ জন। কুড়িগ্রাম জেলার প্রধান নদ-নদীগুলো হলো: ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা। উল্লেখযোগ্য স্থান চান্দামারী মসজিদ, চিলমারী বন্দর, তিস্তা ব্যারাজ, ধরলা ব্যারাজ, ব্রহ্মপুত্র নদ, যমুনা নদ, দুধকুমার নদ, রৌমারী বন, হিমালয়ী পাহাড়। কুড়িগ্রাম জেলার প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হলো কৃষি। কুড়িগ্রাম জেলায় শিক্ষার হার ৪২.৫%। জেলায় ৯টি সরকারি কলেজ, ৫৮টি বেসরকারি কলেজ, ১৭০টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬০০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪০০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় ২টি সরকারি হাসপাতাল, ৫টি বেসরকারি হাসপাতাল, ৫০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।
কুড়িগ্রাম এর বিখ্যাত সব খাবার
কুড়িগ্রাম জেলার খাবার এই জেলার নিজস্ব স্বাদের জন্য বিখ্যাত। জেলার প্রধান খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে-
সিদল ভর্তা
এটি একটি জনপ্রিয় শুঁটকির ভর্তা যা কুড়িগ্রামে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এ ধরনের শুঁটকি সাধারণত তিস্তা নদীর পানিতে পাওয়া যায়।
তিস্তার বৈরাতি মাছ
তিস্তা নদীর বৈরাতি মাছ কুড়িগ্রামের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। এটি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর মাছ যা সাধারণত ভর্তা, ভাজা বা সিদ্ধ করে খাওয়া হয়।
ক্ষীর মোহন
ক্ষীর মোহন হচ্ছে জনপ্রিয় মিষ্টি যা কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় তৈরি করা হয়। এটি একটি নরম ও মিষ্টি মিষ্টান্ন যা সাধারণত দুধ, চিনি, নারকেল ও ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়।
হাড়িভাঙ্গা আম
কুড়িগ্রাম জেলার হাড়িভাঙ্গা আম বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত আম। এটি মিষ্টি ও সুস্বাদু আম যা সাধারণত জুলাই থেকে আগস্ট মাসে পাওয়া যায়।
তামাক
কুড়িগ্রাম জেলা তামাকের জন্যও বিখ্যাত। জেলার উলিপুর উপজেলায় তামাক চাষের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
ইলিশ মাছ
ইলিশ মাছ কুড়িগ্রামের একটি জনপ্রিয় খাবার। এটি সাধারণত ইলিশ মাছের চচ্চড়ি, ইলিশ মাছের ভর্তা, বা ইলিশ মাছের ঝোল করে খাওয়া হয়।
কাঁঠাল
কুড়িগ্রাম জেলা কাঁঠালের জন্যও বিখ্যাত। জেলার উলিপুর উপজেলায় কাঁঠাল চাষের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
আখ
কাঁঠালের মতই কুড়িগ্রাম জেলা আখের জন্যও বিখ্যাত। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আখ চাষ করা হয়।
কুড়িগ্রাম এর জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গ
এই জেলার অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছেন যারা বিভিন্ন সময় জেলার মানোন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। চলুন কুড়িগ্রামের জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গের একটি তালিকা দেখে নেওয়া যাক-
সৈয়দ শামসুল হক
সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন একজন বাঙালি কবি, লেখক, নাট্যকার, সুরকার, এবং সংগীতজ্ঞ। তিনি বাংলা সাহিত্যের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক হিসেবে বিবেচিত।সৈয়দ শামসুল হক তার লেখার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন ও সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।
তারামন বিবি
তারামন বিবি হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছোটবেলা থেকেই অনেক সাহসী ও বুদ্ধিমতী ছিলেন। তাঁর সাহসিকতার অনেক গল্প আছে। একবার তিনি একাই পাকিস্তানি বাহিনীর একটি ক্যাম্পে আক্রমণ চালান এবং অনেক পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করেন। কি সাংঘাতিক মানুষ রে বাবা!
আমজাদ হোসেন তালুকদার
কুড়িগ্রাম জেলার একজন রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নেতা। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ, এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। সেই সাথে, কুড়িগ্রাম-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
আব্দুর রহমান
আব্দুর রহমান একজন অসামান্য বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের একজন অমর শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আর তার এই মহান আত্মত্যাগের জন্য তিনি মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বালাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শোভন একজন তরুণ ও উদ্যমী রাজনীতিবিদ। তিনি কুড়িগ্রামের উন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।
আহমেদ নাজমীন সুলতানা
আহমেদ নাজমীন সুলতানা হচ্ছেন, একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষা প্রশাসক। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যও বটে। আহমেদ নাজমীন সুলতানা একজন মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে জনপ্রিয়। কেননা, বাংলা শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ভুলে যাওয়ার মত নয়!
আককাছ আলী সরকার
আককাছ আলী সরকার হচ্ছেন, একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক, সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক জীবনের শুরুলগ্নে তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত। কুড়িগ্রাম-৩ আসন থেকে নির্বাচিত ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুড়িগ্রাম জেলার এই মহান নেতা। আক্কাছ আলী সরকার একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ।
ভূপতি ভূষণ বর্মা
ভূপতি ভূষণ বর্মা একজন বাংলাদেশী ভাওয়াইয়া সংগীতশিল্পী। তিনি ভাওয়াইয়া গানে অসামান্য অবদানের জন্য ভাওয়াইয়া ভাস্কর নামেও পরিচিত। তিনি শুধু বাংলাদেশেই নয় পশ্চিম বাংলায় ও ব্যাপক জনপ্রিয় শিল্পী। ভূপতি ভূষণ বর্মা একজন সফল শিল্পী এবং তিনি তাঁর গানের মাধ্যমে বাংলা লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
কুড়িগ্রাম এর দর্শনীয় স্থানসমূহ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা অন্যতম। এই জেলার নজরকাড়া সব জায়গা আমাদের মনে অনাবিল আনন্দ বয়ে আনে। এখন আমরা এক নজরে কুড়িগ্রাম জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানবো
চান্দামারী মসজিদ
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় অবস্থিত এই মসজিদটি মোঘল আমলে নির্মিত। মসজিদটি তিন গম্বুজ ও তিন মিহরাব বিশিষ্ট। দেখতে অত্যন্ত সুন্দর আর কারুকার্যময় এই মসজিদ।
চিলমারী বন্দর
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় অবস্থিত এই বন্দরটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর। কুড়িগ্রাম জেলায় কখনো গেলে এই বন্দরটি দেখতে ভুলবেন না কেমন!
তিস্তা ব্যারাজ
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় অবস্থিত এই ব্যারাজটি তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত। ব্যারাজটি তিস্তা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করে এবং কৃষি ও মৎস্য চাষের জন্য পানি সরবরাহ করে।
ধরলা ব্যারাজ
ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় অবস্থিত এই ব্যারাজটি ধরলা নদীর ওপর নির্মিত। ব্যারাজটি ধরলা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করে এবং কৃষি ও মৎস্য চাষের জন্য পানি সরবরাহ করে।
দুধকুমার নদ
কুড়িগ্রাম জেলার দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত এই নদীটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী। নদীটিতে নৌকা ভ্রমণ এর মধ্য দিয়ে বিনোদন নিয়ে থাকেন এখানে আসা অসংখ্য পর্যটক।
রৌমারী বন
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় অবস্থিত রৌমারি বন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন। এই বনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও বন্যপ্রাণী রয়েছে।
হিমালয়ী পাহাড়
বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তের কাছে কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় অবস্থিত এই পাহাড়টি দেখতে অত্যন্ত চমৎকার। পাহাড়টি থেকে ভারতের হিমালয় পর্বতমালার দৃশ্য অবধি দেখা যায়।
পাঙ্গা জমিদার বাড়ি
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি উনিশ শতকে নির্মিত অতি প্রাচীন একটি বাড়ি।
ধামশ্রেণী মন্দির
জনপ্রিয় জেলা কুড়িগ্রাম এর উলিপুর উপজেলায় অবস্থিত এই মন্দিরটিতে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে।
জালার পীরের দরগাহ
দরগাহটি শাহ জালাল (রহ.) এর অন্যতম খলিফা শাহ বাহাউদ্দিন (রহ.) এর। এটি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় অবস্থিত। এখানে হাজার হাজার ভক্ত প্রতিনিয়তই গিয়ে থাকেন।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ
রংপুর বিভাগের অন্তর্গত কুড়িগ্রাম জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি জনপ্রিয় জেলা। কুড়িগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত আপনারা ইতোমধ্যেই তা জেনে গেছেন। সেই সাথে, কুড়িগ্রাম জেলার বিখ্যাত সব খাবার, জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গ এবং দর্শনীয় স্থান সম্পর্কেও একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সম্পর্কে জানা যাক-
কুড়িগ্রাম জেলার আয়তন কত?
কুড়িগ্রাম জেলার আয়তন ২২৪৫.০৪ বর্গ কিলোমিটার।
কুড়িগ্রাম জেলার জনসংখ্যা কত?
আদমশুমারি অনুযায়ী কুড়িগ্রাম জেলার জনসংখ্যা ২০৬৯২৭৩ জন।
উপসংহার
বাংলাদেশে সৌন্দর্যের এক অপরূপ উদাহরণ। এখানে ৬৪ জেলার মধ্যে সৌন্দর্যের দিক থেকে কোন জেলা আগে আবার কোন জেলা তুলনামূলক কম জনপ্রিয়। এসব কিন্তু নির্ভর করে ব্যক্তি মনের চাহিদা এবং সেই জেলার সার্বিক অবস্থার উপর। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে খুলনা কিসের জন্য বিখ্যাত এ সম্পর্কে পড়তে পারেন।
‘কুড়িগ্রাম জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত‘ তা হয়তো এতক্ষনে স্পষ্টরূপে বুঝে গেছেন। আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে দয়া করে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামণা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।