Skip to content
Home » বায়ু দূষণের ১০টি কারণ

বায়ু দূষণের ১০টি কারণ

10 Causes Of Air Pollution

বায়ু দূষণের ১০টি কারণ জেনে আপনার আগত স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী শক্তিশালী করতে পারেন। আমাদের স্কুলের পরীক্ষায় প্রায়শই বায়ু দূষণের দশটি কারণ এই সম্পর্কে লিখতে বলা হয়। তাছাড়াও চাকরির পরীক্ষায় কিংবা বিভিন্ন চাকরির ভাইভাতে “বায়ু দূষণের ১০টি কারণ সম্পর্কে বলুন” এই প্রশ্নটি অনেকবার এসেছে। তাই আপনি পানি দূষণের কারণগুলো জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি বায়ু দূষণের কারণ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বাক্য নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

বায়ু দূষণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য

প্রাকৃতিক কারণে ও মানুষের কার্যকলাপের ফলে বায়ু দূষণ হয়। বায়ু দূষণ হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে এমন সব পদার্থের উপস্থিতির কারণে হওয়া বায়ুর দূষণ যা মানুষ এবং অন্যান্য জীবের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বিভিন্ন ধরনের বায়ূ দূষক গ্যাস রয়েছে। যেমন- অ্যামোনিয়া, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং ক্লোরোফ্লুরোকার্বন ইত্যাদি। বায়ুদূষণের ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি হতে পারে। মানুষের শরীরে অ্যালার্জি থেকে শুরু করে এমনকি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বায়ু দূষণ প্রাণী এবং খাদ্যফসলের মতই অন্যান্য জীবন্ত প্রাণীরও ক্ষতি করতে পারে। মানুষের ক্রিয়া কলাপের ফলে এবং প্রাকৃতিক কারণে বায়ু দূষিত হয়। বায়ু দূষণ প্রধানত দুই প্রকার প্রাকৃতিক কারণ ও মানব সংঘটিত কারণ।

বায়ু দূষণের ১০টি কারণ

আমাদের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রায়শই বায়ু দূষণের দশটি কারণ লিখতে বলা হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি অনেকবার এসেছে। তাই আপনি নিচে বায়ু দূষণের ১০টি কারণ পড়ে বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী শক্তিশালী করতে পারেন।

  1. যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় থাকে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ প্রভৃতি গ্যাস বের হয়ে বায়ু দূষণ ঘটায়।
  2. শহারাঞ্চলে পরিত্যক্ত বর্জ্য পদার্থসমূহ আবর্জনামুক্ত করার জন্য পোড়ানো হয়। এ থেকে নির্গত ধোঁয়াতেও কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাস থাকে যা বাতাসকে দূষিত করে।
  3. অপরিকল্পিতভাবে গাছপালা কাটার ফলে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে বাতাসকে দূষিত করে।
  4. ইট ভাটায় কাঠ ও কয়লা পোড়ানোর ফলে প্রচুর ধোঁয়া নির্গত হয় যা বায়ুর সাথে মিশে বায়ুকে দূষিত করে।
  5. কৃষি ক্ষেত্রে জমির আগাছা, কীটনাশক, জৈব ফসফেট এবং ক্লোরিনযুক্ত হাইড্রোকার্বন প্রত্যক্ষভাবে বায়ুর সাথে মিশে বায়ু দূষণ ঘটাতে পারে।
  6. বিভিন্ন ধরনের জৈব ও অজৈব পদার্থের পচনের ফলে যে গ্যাস সৃষ্টি হয় তা বায়ুকে দূষিত করে।
  7. আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বায়ূ দূষণ হতে পারে।
  8. ভূ-অভ্যন্তর থেকে উত্তোলিত জ্বালানি যেমন-পেট্রোল,ডিজেল, কেরোসিন তেল ইত্যাদি পোড়ানোর কারণে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কণা বাতাসে মিশে বায়ু দূষণ ঘটায়।
  9. তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণের ফলে বায়ু দূষণ হয়।
  10. অত্যাধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ভীষণভাবে বায়ু দূষণ হতে পারে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

বায়ু দূষণের ১০টি কারণ এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। তবে চলুন জেনে নেই সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও উত্তর।

বায়ু দূষণ কাকে বলে?

বায়ুমণ্ডলের মধ্যে যখন দূষিত ধোঁয়া, রাসায়নিক পদার্থ, ধূলিকণা গ্যাস, গন্ধ, বাষ্প প্রভৃতি অনিষ্টকর উপাদানের সমাবেশ ঘটে এবং যার ফলে মানুষ , জীবজন্তু ও উদ্ভিদ জগতের ক্ষতি সাধিত হয় , তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে।

বায়ু দূষণের প্রভাব কি?

প্রাণী ও মানবদেহে বায়ু দূষণের প্রভাব রয়েছে। বায়ু দূষণের প্রভাবগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • দীর্ঘ সময় ধরে বায়ু দূষণের ফলে সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের সংস্পর্শে থাকলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিকের গঠন বদলে যেতে পারে। এমনকি আলঝেইমার হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।
  • বায়ু দূষণের ফলে মানুষের স্নায়বিক বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
  • দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাছাড়াও কাশি, অ্যাজমা ও ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে।
  • বায়ু দূষণের ফলে মেয়েদের প্রজননক্ষমতা কমে যেতে পারে।

উপসংহার

প্রাকৃতিক ও মানুষের কার্যকলাপের ফলেই মূলত বায়ু দূষণ হয়। তাই আমাদের প্রত্যকের বায়ু দূষণ রোধ করা প্রয়োজন। পানি দূষণের ১০টি কারণ ও এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগতে পারে। তাই আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় কিংবা স্কুলের পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করতে চাইলে আপনি পানি দূষণের ১০টি কারণ এই পোস্টটি পড়তে পারেন।

“বায়ু দূষণের ১০টি কারণ” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *