Skip to content
Home » শিশু অধিকার গুলো কি কি?

শিশু অধিকার গুলো কি কি?

Childrens rights

শিশু অধিকার গুলো কি কি সকলের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। শিশুরা যেহেতু বয়সে ছোট, তাদের দাবি আদায়ের ক্ষমতা যেহেতু কম, তাদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগও কম, অন্নবস্ত্র সবকিছু পরিমাণে তাদের কম লাগে বলে সাধারনত তাদের  অধিকারগুলোকে বেশি একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ইউনিসেফের ভাষ্যমতে, শিশুদের ভোটাধিকার না থাকায় তারা এমন মানুষদের ওপর নির্ভর করে, যারা তাদের অধিকারকে সম্মান করা, সংরক্ষণ করা ও পূরণ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

এই মানুষগুলো তাদের মতো করে ভাবতে পারছে কিনা— সেটা নিশ্চিত করা গেলেই কেবল শিশু অধিকার নিশ্চিত হবে। আমাদের দেশেও শিশুকে আলাদা পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। শিশুর সমস্যা সবচেয়ে ভালো চিহ্নিত করতে পারবে শিশুরা নিজেরাই। তাদের সাথে কথা । তারা বিষয়গুলো কীভাবে পেলে খুশি হবে, তা জানার চেষ্টা করতে হবে। এটাই হচ্ছেন শিশুর সবচেয়ে বড় অধিকার। শিশু বিষয়ক কোনও কাজে শিশুদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। এটা মারাত্বক বিপজ্জনক বিষয়।

শিশু অধিকার বলতে কী বুঝো?

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (সাধারণত সংক্ষেপে সিআরসি বা ইউএনসিআরসি) একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি যা শিশুদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নাগরিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার নির্ধারণ করে থাকে। ১৯৫৯ সালে শিশু অধিকারের ঘোষণাটি ২০ নভেম্বর ২০০৭ এ সর্বজনীনভাবে গৃহীত হয়েছিল। প্রতিটি দেশ তার নাগরিকদের উন্নতির জন্য এই সাধারণ অধিকারগুলি প্রদান করে থাকে। শিশুরা সেই সমস্ত অধিকারের অধিকারী, ভোট দেওয়া ছাড়া যা তার বয়সের একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য সংরক্ষিত। শিশু অধিকারের মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য, উন্নয়ন, জীবন, পরিচয়, খাদ্য, শিক্ষা ও বিনোদন, পারিবারিক পরিবেশ, অবহেলা, অপব্যবহার, অপব্যবহার, নাম ও জাতীয়তা, পরিবার ও শিশুদের অবৈধ পাচার ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার।

শিশু অধিকার গুলো কি কি?

শিশুদের বিশেষ মানবাধিকারের মধ্যে রয়েছে, অন্যান্য অধিকারের মধ্যে একটি নামের অধিকার, শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে তার মত প্রকাশের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার, চিন্তার স্বাধীনতার অধিকার, বিবেক এবং ধর্মের অধিকার, স্বাস্থ্যসেবার অধিকার, অর্থনৈতিক ও যৌন শোষণ থেকে সুরক্ষার অধিকার এবং শিক্ষার অধিকার । শিশুরা যেহেতু ছোট, তারা তাদের প্রয়োজনের কথা ঠিক বলতে পারে না। তার উপর যাদের উপর তারা নির্ভরশীল তারা যদি সচেতন না হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রেই কেবল শিশুর অধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাই শিশুদের অধিকার নিয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। শিশু অধিকার গুলো কি কি তা আমাদের বড়দের ভালোভাবে জানতে হবে ও মানতে হবে।

১। একটি নামের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার

শিশুর মৌলিক অধিকার কয়টি ও কি কি সেটা জানার প্রথম মাধ্যম হচ্ছে পরিবার। মা-বাবার ভালবাসা পাওয়া শিশুর জন্মগত অধিকার। একটি শিশু জন্মের পরে তার একটি অর্থ বিষিষ্ট নাম তার একটি ন্যজ্য অধিকার। ভালভাবে বেঁচে থাকার অধিকার তার ‍রয়েছে। মা বাবার ভালবাসা পাবার অধিকার একটি শিশুর আছে। বিভিন্ন কারণে মা-বাবার মাঝে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে থাকে। এতে শিশুর জন্য এ ভালবাসা হয়ে ওঠে অনিশ্চিত, বঞ্চিত হয় ভালোবাসার অধিকার থেকে। বিচ্ছেদের পর বেড়ে উঠতে হয় মা কিংবা বাবার একক ভালবাসায়। অনেকক্ষেত্রে উভয়ের ভালবাসা থেকেই বঞ্চিত হতে হয় শিশুকে। এ ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্য বা তৃতীয় পক্ষের দায়িত্বে বেড়েউঠে সেই শিশু। স্বজনহীনতায় শিকার হয় লাঞ্ছনার, নির্দয় এক পরিবেশই হয়ে উঠে শিশুটির একমাত্র ঠিকানা। 

২। চিন্তার স্বাধীনতার অধিকার

প্রতিটা মা বাবার উচিৎ তার সন্তানকে তার মত করে চিন্তা করতে ও মত প্রকাশ করতে সাহায্য করা। শিশুর মৌলিক অধিকার কয়টি ও কি কি সে সর্ম্পকে আমাদের আগে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে হবে। একটি শিশু যতই ছোট হোক তার পরেও সে কিন্তু তার নিযের মত করে ভাবতে ভালবাসে, চলতে ভালোবাসে। শিশু সুলভ আচরনকে অবশ্যই আমাদের গুরুত্ত দিতে হবে। যখন ছোট থেকেই একটি শিশুর মতামত কে গুরুত্ত দেওয়া হবে তখন থেকেই সেই শিশুর মধ্যে গডে উঠবে এক নতুন লিডারশিপ বা নেতৃত্ব। জাতি পাবে এক সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা।

৩। শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে তার মত প্রকাশের অধিকার

শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে তার মত প্রকাশের অধিকার একটি শিশুর মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পরে। শিশু বয়স থেকেই যদি একটি শিশুর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তাহলে সে বড় হয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। তা না হলে সে মানসিকভাবে ছোট হয়ে যাবে। 

৪। বিবেক এবং ধর্মের অধিকার

আমরা শিশুকে যে নামেই চিহ্নিত করি না কেন একটি শিশুর জন্মের মাধ্যমেই পৃথিবীতে তার অধিকার সৃষ্টি হয়ে যায়। এর মাধ্যমেই একসময়ের শিশু থেকে পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে এবং পরিচালন করে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা। তাই তো কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছেন, এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে নব স্থান। শিশুর মৌলিক অধিকার কয়টি ও কি কি এর মধ্যে বিবেক ও ধর্ম অতপ্রত ভাবে জড়িত হয়ে আছে। সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় একজন শিশু যদি পরিপূর্ণ অধিকার ভোগ করতে পারে, তবেই আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সকল ক্ষেত্রেই পরিপূর্ণতা পাবে। ধর্মের ক্ষেত্রেও কিছু মৌলিক অধিকার রয়েছে শিশুদের।

৫। শিক্ষার অধিকার

প্রতিটি শিশুরই রয়েছে শিক্ষা গ্রহনের অধিকার। শিক্ষা প্রতিটি মানুষের ন্যায্য একটি মৌলিক অধিকার। শিক্ষিত জাতি একটি দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করে। তাই রাষ্ট্রের উচিত প্রতিটি শিশুর শিক্ষা নিশ্চিত করা। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। তাই শিক্ষা লাভের জন্য যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করবে সরকার। 

৬। স্বাস্থ্যসেবার অধিকার

এটা মনে রাখতে হবে প্রত্যেক শিশুকে শিক্ষা,খেলাধুলা ও উপযুক্ত জীবনযাত্রার বাড়াতে হবে। তারা শারীরিক, মানসিক দিক দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে বেড়ে, যাতে তাদের মেধার যথাযথ বিকাশ ঘটে সেদিকে নজর দিতে হবে। তার বিকাশের অন্তরায় যা কিছু সব বর্জনীয় । সামাজিক , অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক অধিকার, মৌলিক মানুষের চাহিদা যেমন খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং লাভজনক কর্মসংস্থান পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলির সাথে সম্পর্কিত অধিকার। এভাবে বলতে পারি যে শিশুর মৌলিক অধিকার কয়টি ও কি কি? পর্যাপ্ত বাসস্তান, খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যের, কাজের অধিকার, শিক্ষার অধিকার, কর্মক্ষেত্রে অধিকার এই সব কিছুতে শিশুরাও অন্তর্ভুক্ত।

৭। অর্থনৈতিক ও যৌন শোষণ থেকে সুরক্ষার অধিকার

শিশুর মৌলিক অধিকার কয়টি ও কি কি তা সঠিক ভাবে বিশ্লেষন করার জন্য চাইল্ড সেনসিটিভ সোস্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদী উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী, শিশু ও যুবসম্প্রদায় কার্যকর সামাজিক সুরক্ষা নীতিসমূহের দাবি। উপযুক্ত সেবাপ্রাপ্তির মাধ্যমে অবহেলা, নির্যাতন, শোষণ ও পাচার বিলোপ সাধনে সক্ষম করা। সামাজিক সুরক্ষামূলক কার্যক্রমে দরিদ্র এবং নির্যাতিত পরিবারের নারী, শিশু ও যুবসম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জাতির উন্নতি সাধনের মাধ্যমে সহিংসতা, নির্যাতন এবং শোষণের প্রকোপ কমিয়ে আনা। 

৮। সুরক্ষা বা নিরাপত্তা বিষয়ক অধিকার

শিশুদেরকে বিভিন্ন কাজে যেমন,শারীরিকভাবে মারধর,শিশু শ্রম,মানসিক নিপীড়ন কাজ করানোর পরে বেতন না দেওয়া বা ঝুঁকিপূর্ণ বা বাণিজ্যিক কাজে নিয়োগ, অপহরণ করা,পাচার করা, বৈষম্যের শিকার হওয়া, বিক্রি করা, যৌন হয়রানি করা, ধর্ষণ করা, হত্যা করার মত জঘন্য অবস্থা থেকে শিশুদের রক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে এই ধারাগুলতে। শিশু অধিকার সনদের ৫৪ টি ধারার মধ্যে ২৪ টি ধারা সরাসরি শিশুর সুরক্ষা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে । বাংলাদেশে শিশুর মৌলিক অধিকার কয়টি ও কি কি তার ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের মাধ্যমে কতগুলো ধারা তৈরি হচ্ছে, ২, ৩, ৬-৮, ১০, ১১, ১৬, ১৯-২৩, ২৫, ৩০, ৩২-৩৯, ৪০ নম্বর ধারাসমূহের মধ্যে এ সর্ম্পকিত অধিকারের কথা বলা হয়েছে ।

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে উল্লেখিত শিশু অধিকার সমূহ

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ৩টি পরিচ্ছেদের মোট ৫৪ টি ধারা আছে। এই শিশু অধিকার সনদে যেসকল শিশু অধিকারের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে নিম্নলিখিত অধিকারগুলো সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য।

১। প্রতিটি শিশুরই বেঁচে থাকার ও বিকাশের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সর্বাধিক নিশ্চয়তা পাবার অধিকার তার রয়েছে। 

২। জাতীয়তা, নাম এবং পারিবারিক সম্পর্কসহ আইন সম্মত পরিচিতি সংরক্ষণের ব্যাপারে শিশুর অধিকার রয়েছে।

৩। শিশুর স্বাধীনভাবে মত বা ভাব প্রকাশের অধিকার রয়েছে।

৪। শিশুর চিন্তা, বিবেক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার লাভের অধিকার রয়েছে।

৫। শিশুদের সংঘবদ্ধ হবার এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যাতে কেউ বাধা দিতে পারবে না।

৬। কোন শিশুর নিজস্ব গোপনীয়তা, আবাস কিংবা পত্র যোগাযোগের উপর স্বেচ্ছাচারী অথবা বেআইনী হস্তক্ষেপ কিংবা আক্রমণের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার রয়েছে।

৭। যে শিশু স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ভিত্তিতে তার পারিবারিক পরিবেশ থেকে বঞ্চিত অথবা যে শিশুকে তার সর্বোত্তম স্বার্থে ঐ পরিবেশে থাকতে দেয়া যাবে না, সেই শিশু রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ সুরক্ষা ও সহায়তার লাভের অধিকারী হবে।

৮। পঙ্গু শিশুর রাষ্ট্র কর্তৃক বিশেষ যত্ন লাভের অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্র তাকে পুনর্বাসন করবে।

৯। শিশুর সর্বোচ্চ অর্জনযোগ্য মানের স্বাস্থ্যলাভ এবং ব্যাধির চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের সুবিধা ভোগের অধিকার রয়েছে।

১০। শিশুর মানসিক, আত্মিক, নৈতিক, শারীরিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত জীবনমানের অধিকার রয়েছে।

১১। শিশুর শিক্ষালাভের অধিকার রয়েছে।

১২। প্রতিটি শিশুর অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি লাভের অধিকার রয়েছে।

১৩। বয়স অনুযায়ী উপযুক্ত খেলাধুলা, শিশুর বিশ্রাম ও অবকাশ যাপন ও বিনোদনমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ এবং সাংস্কৃতিক জীবন ও সুকুমার শিল্পে অবাধে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

শিশু অধিকার গুলো কি কি এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।

শিশু অধিকার সনদ বলতে কি বুঝায়?

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (সাধারণত সংক্ষেপে সিআরসি বা ইউএনসিআরসি) একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি যা শিশুদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নাগরিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার নির্ধারণ করে থাকে।

শিশু কত বছর পর্যন্ত?

সাধারনত শিশু আইন অনুযায়ী অনুর্ধ্ব ১৮ (আঠার) বছর বয়স পর্যন্ত সকল বাচ্চাকে শিশু হিসাবে গণ্য করা হবে। অর্থ্যাৎ পতিটি বাচ্চা যাদের বয়স ১ থেকে ১৮ বছরের নিচে তারা প্রত্যেকেই শিশু হিসাবে গন্য হবে।

উপসংহার

শিশুকে আমরা যে নামেই চিহ্নিত করে থাকি না কেন একটি মানবশিশু জন্মের মাধ্যমেই এই পৃথিবীতে তার কিছু অধিকার সৃষ্টি হয়ে যায়। যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব একসময়ের শিশু থেকে বেড়ে ওঠা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ও সেই মানুষ দ্বারা পরিচালিত সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ছাড়পত্রে তাই লিখেছেন-‘এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান, জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপপিঠে, চলে যেতে হবে আমাদের। চলে যাব তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’।

সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় একজন শিশু যদি পরিপূর্ণ অধিকার ভোগ করতে পারে তবেই আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সকল ক্ষেত্রেই পরিপূর্ণতা পাবে এবং কবি সুকান্তের রেখে যাওয়া অঙ্গীকারও আমরা বাস্তবায়ন করে সকল শিশুর অধিকার নিশ্চিত করেই তাদেরই জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে পারব নিশ্চয়ই। শিশু অধিকার গুলো কি কি তা আমাদের জানতে হবে ও সেই অধিকারগুলো রক্ষা করতে হবে। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে মানুষের মৌলিক অধিকার ৬টি কি কি সম্পর্কে পড়তে পারেন।

“শিশু অধিকার গুলো কি কি” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *