Skip to content
Home » পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি?

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি?

Seventh wonders of the world

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি এ বিষয়টি অনেক সময়ই হয়তো আমাদের মনে জাগে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসাধারণ স্থাপত্য ও নিপুণ শিল্পকর্ম মানুষের মনে বিস্ময় ও রহস্যের জন্ম দেয়। সময়ের ধারায় অনেক নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, কিছু স্থাপনা তাদের অসাধারণ সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য আজও টিকে আছে। আর ২০০০ সালে, সুইস সংস্থা নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পৃথিবীর নতুন সাতটি আশ্চর্য নির্বাচন করেন।

নির্বাচিত এই তালিকায় স্থান পেয়েছে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সভ্যতার নিদর্শন, যা প্রত্যেকেই নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত, এই স্থাপনা গুলো মানব সভ্যতার অগ্রগতি, স্থাপত্যশৈলীর বৈচিত্র্য এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির মিশ্রণের প্রতীক।

তাই আজকের আলোচনায় আমরা এই নতুন সাত আশ্চর্যের বিস্তারিত জানবো। প্রতিটি স্থাপনার নির্মাণ ইতিহাস, তাদের স্থাপত্যশৈলীর বৈশিষ্ট্য এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য্য সম্পর্কে জানব। তো আর দেরী না করে চলুন পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি?

মানব সভ্যতার দীর্ঘ ইতিহাস জুড়ে স্থাপত্য ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা ও কল্পনাশক্তিকে প্রকাশ করেছে মানুষ। সময়ের সাথে সাথে কিছু স্থাপনা তাদের অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। তাই এই আলোচনায় আমরা সেই সাতটি অসাধারণ স্থাপত্যের ব্যাপারে জানবো। নিম্নে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি এই বিষয়ে তুলে ধরা হল-

১। তাজমহল

ভারতের আগ্রা শহরের যমুনা নদীর তীরে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে ‘তাজমহল’। শতাব্দী ধরে এই স্থাপত্য তার অপূর্ব সৌন্দর্য্য দিয়ে বিশ্বকে মুগ্ধ করে আসছে। তাই অনেকে মনে করেন, পৃথিবীর অন্য কোন স্থাপত্যের সাথে এর তুলনা করা যায় না।

পুরোপুরি সাদা মার্বেল পাথরে নির্মিত তাজমহল, পূর্ণিমার রাতের আলোয় যেন মুক্তার মত ঝলমলে করে ওঠে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মরণে এই অসাধারণ স্থাপত্য নির্মাণ করেন। তাজমহল নির্মাণে তৎকালীন মোট ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। নির্মাণকাজে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক ২২ বছর ধরে পরিশ্রম করেছিলেন। অবশেষে ১৬৪৮ সালে সম্পন্ন হয় স্বপ্নের তাজমহল।

মোগল স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন হিসেবে তাজমহল বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এর নির্মাণে পারস্য, তুর্কি, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায়। ২১৩ ফুট উঁচু এই স্থাপত্যের চারটি মিনারের উচ্চতা ১৬২.৫ ফুট। তাজমহল নির্মাণে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম ও সামগ্রী ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও হাতি দিয়ে আনা হয়েছিল।

২। পেত্রা

জর্ডানের দক্ষিণ-পশ্চিমে, হুর পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে আছে এক অসাধারণ নগরী, যা গোলাপি রঙের বেলে পাথরের নির্মাণ কাজের জন্য ‘রোজ সিটি’ নামে পরিচিত। ‘পেত্রা’ নামের এই প্রাচীন শহরটি কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, বরং এর সমৃদ্ধ ইতিহাস ও রহস্যময় পরিবেশের জন্যও পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

খ্রিস্টপূর্ব ৩১২ সালে নাবাতীয়নরা এই অঞ্চলে বসবাস শুরু করে এবং পেত্রাকে তাদের রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলে। প্রাকৃতিকভাবে দুর্গম এই শহরটি ছিল তাদের বাণিজ্যপথ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষার জন্য কৌশলগত স্থান। পেত্রার স্থাপত্যশৈলী নাবাতীয়নদের নিপুণ কারুশিল্পের প্রমাণ বহন করে।

পেত্রার সবচেয়ে বিখ্যাত নিদর্শন হল ‘খাজনেহ’, যা একটি বিশাল সমাধি। এছাড়াও ‘রয়্যাল টম্বস’, ‘দ্য থিয়েটার’, ‘দ্য সি’, ‘দ্য হাই প্লেস’ এর মতো আরও অনেক আকর্ষণীয় স্থাপত্য রয়েছে। প্রত্যেকটি স্থাপত্য নির্মাণের জন্য বেলেপাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে, যা পেত্রাকে আরও রহস্যময় করে তুলতে পেরেছে।

৩। কলোসিয়াম

ইতালির রাজধানী রোম শহরের হৃদস্থলে অবস্থিত কলোসিয়াম, যা কেবল একটি প্রাচীন স্থাপত্য নয়, বরং রোমান সাম্রাজ্যের ঐতিহাসিক গৌরব ও নির্মমতার প্রতীক। সময়ের সাথে সাথে এর কাঠামোগত অংশ বিশেষ ধ্বংস হলেও, আজও এটি দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপত্য হিসেবে।

সম্রাট টাইটাসের নির্দেশে ৮০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এই বিশাল স্তম্ভটি, রোমান প্রকৌশলের অসাধারণ দক্ষতার নিদর্শন। মূলত মঞ্চনাটক, গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াই, জীবজন্তুর লড়াই এবং বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য এটি ব্যবহার করা হতো।

ইতিহাসবিদদের মতে, উদ্বোধনী দিনে কলোসিয়ামে হাতি, গণ্ডার, সিংহ, ভাল্লুক, বন্য মহিষ সহ প্রায় ৯ হাজার প্রাণী হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, রোমানদের বিনোদনের জন্য যুদ্ধবন্দিদের মধ্যে মরণপণ লড়াই, এবং গ্ল্যাডিয়েটরদের তীব্র লড়াই এই স্থাপত্যটিকে রক্তাক্ত করে তুলেছিলো।

জানা যায়, উক্ত সময়ে রোমের শাসক জুলিয়াস সিজার ৩০০ গ্ল্যাডিয়েটরের লড়াই উপভোগ করেছিলেন। হলিউড চলচ্চিত্র “গ্ল্যাডিয়েটর” এই ঐতিহাসিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল।

২১৭ খ্রিস্টাব্দে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কলোসিয়াম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ৪৪৩ ও ১৩৪৯ খ্রিস্টাব্দে দুটি ভূমিকম্পে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ষষ্ঠ শতাব্দীতে এটি সমাধিক্ষেত্রে রূপান্তরিত হয়। দ্বাদশ শতাব্দীতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এটি দুর্গে পরিণত হয়।

তবে কলোসিয়াম ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও, এর অতীতের ঐশ্বর্যের ঝলক এখনও টিকে আছে। চারতলা বিশিষ্ট বৃত্তাকার ছাদবিহীন এই স্থাপত্যটি ১৮৯ মিটার দীর্ঘ, ১৫৬ মিটার চওড়া এবং এর মূল এলাকা ছয় একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।

৪। চিচেন ইৎজা

মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে, ঘন জঙ্গলের আঁধারে লুকিয়ে আছে এক অসাধারণ স্থাপত্যকীর্তি – চিচেন ইৎজা। মায়া সভ্যতার হারানো এই নগরী, কেবল তার বিশাল পিরামিড ও মন্দিরের জন্যই বিখ্যাত নয়, বরং এর রহস্য ও রোমাঞ্চ সত্যিই আপনাকে মুগ্ধ করে দিবে।

ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত, চিচেন ইৎজা ছিল মায়া সভ্যতার উত্তরাংশের একটি প্রধান কেন্দ্র। আর ‘ইৎজার কুয়োর মুখে’ এই অর্থ বহন করে চিচেন ইৎজা নামটি, যা প্রকাশ করে সুপেয় জলের উৎসের গুরুত্বকে। ঐতিহাসিক ধারণা অনুযায়ী, ‘টোলটেক’ নামক জাতি মায়াদের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয় এবং শহরটিকে নিজস্ব রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

চিচেন ইৎজার সবচেয়ে বিখ্যাত নির্মাণ হল এল কাস্টিলো, যা কুকুলকান পিরামিড নামেও পরিচিত। মোট 91 টি ধাপে সাজানো এই পিরামিডটি সূর্য দেবতা কুকুলকানকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। বসন্ত ও শরৎকালে, সূর্যের আলো পিরামিডের ধাপ গুলোতে এমনভাবে পড়ে যেন সাপ নিচে নেমে আসছে – এই অসাধারণ দৃশ্য ‘দ্য ফেদারড সার্পেন্ট ডিসেন্ট’ নামে পরিচিত।

৫। ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার

ব্রাজিলের রিও ডি জানেইরো শহর কেবল তার সুন্দর সমুদ্র সৈকত, কার্নিভাল উৎসব এবং উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য বিখ্যাত নয়। শহরটির আকাশে যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল ‘ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার’ মূর্তি, যা শুধু একটি পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে নয়, বরং ব্রাজিলের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে দাড়িয়ে আছে।

তিজুকা ন্যাশনাল পার্কের করকোভাদো পাহাড়ের ৭০০ মিটার (২,৩০০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত এই মূর্তিটি ১৩০ ফুট (৪০ মিটার) লম্বা এবং ৯২ ফুট (২৮ মিটার) প্রসারিত হাত দিয়ে যেন রিও শহরকে আলিঙ্গন করে রেখেছে। ৬৩৫ মেট্রিক টন ওজনের এই মূর্তিটি তৈরি করতে কংক্রিট ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্রান্সের বিখ্যাত ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি এর নকশা করেছিলেন এবং ১৯৩১ সালের ১১ অক্টোবর এর উদ্বোধন করা হয়।

৬। গ্রেট ওয়াল অব চায়না

চীনের মহাপ্রাচীর, পৃথিবীর সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে একটি,যা শুধুমাত্র একটি প্রাচীর নয়, বরং ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং মানব দক্ষতার এক অসাধারণ নিদর্শন। ২১,১৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর কেবল চীনের সীমান্ত রক্ষা করেনি, বরং দেশের ঐক্য ও শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

খ্রিস্টপূর্ব ২২১ সালে, চীনের প্রথম সম্রাট, কিন শি হুয়াং, উত্তরের যাযাবরদের হাত থেকে সাম্রাজ্য রক্ষা করার জন্য এই প্রাচীর নির্মাণের নির্দেশ দেন। ধারণা করা হয়, প্রায় ১০ লক্ষ শ্রমিক প্রচন্ড পরিশ্রমে এই বিশাল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩ লক্ষ শ্রমিক দুর্ঘটনা ও অসুস্থতায় প্রাণ হারিয়েছেন। মিং রাজবংশের সময় (১৩৬৮-১৬৪৪) এই প্রাচীরের উল্লেখযোগ্য সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়।

৭। মাচু পিচু

একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে লুকিয়ে থাকা, ইনকা সভ্যতার হারানো শহর – মাচু পিচু। ১৯১১ সালে মার্কিন প্রত্নতত্ত্ববিদ হিরাম বিংহ্যামের আবিষ্কারের পর থেকে, এই ধ্বংসাবশেষ দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্র এবং পেরুর সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।

মাচু পিচু কেবল পাথরের স্তূপ নয়, এটি একটি রহস্য, একটি বিস্ময়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৪৩০ মিটার (৭,৯৭০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত, পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকার ওপর সুরক্ষিত পর্বতচূড়ায় অবস্থিত এই শহরটি ১৫ শতকের ইনকা সভ্যতার স্থাপত্যশৈলীর এক অসাধারণ নিদর্শন।

ইতিহাসবিদদের ধারণা, ইনকা সম্রাট পাচাকুতিক এই শহরটি নির্মাণ করেছিলেন তার অবকাশ যাপন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য। ধ্রুপদী ইনকা স্থাপত্যের নিখুঁত নিদর্শন, মসৃণ পাথরের দেয়াল, ছাদবিহীন মন্দির, রহস্যময় স্তম্ভ – সব মিলিয়ে মাচু পিচু এক অপার্থিব সৌন্দর্য্যের অধিকারী।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি – তা নিয়ে আপনার মনে আরো অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। সে গুলোর মধ্যে কিছু প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

পৃথিবীর প্রাচীনতম সপ্তম আশ্চর্য কোনটি?

যদি আমরা নির্মাণের সূচনার তারিখ বিবেচনা করি, তাহলে ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান সম্ভবত সবচেয়ে পুরানো হিসাবে বিবেচিত হবে। খ্রিস্টপূর্ব 8ম শতাব্দীতে নির্মিত, এই বাগান গুলো ছিল বহুস্তরবিশিষ্ট সবুজ অঞ্চল যা সেচের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলো।

বর্তমানে পৃথিবীর আশ্চর্য কয়টি?

২০০০ সালে, একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হয় বিশ্বের নতুন সাত আশ্চর্য। তবে এই তালিকায়ও স্থান পায়নি প্রাচীনকালের ধ্বংসপ্রাপ্ত আশ্চর্য গুলো।

উপসংহার

পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি- তা নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। আপনার জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য রাতের আকাশে কি কি দেখা যায়১০ টি নদীর নাম নিয়ে লেখা পোস্টগুলো পড়তে পারেন।

“পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য গুলো কি কি?” বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তাহলে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *