সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি আমাদের সকলের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাংক একটি দেশের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসাবে বিবেচত। ব্যাংক অর্থনীতির উন্নয়নের জন্যই প্রয়োজন। ব্যাংক ব্যবসায় একটি পুরাতন ব্যবসায়। এ ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি হলো অর্থ (টাকা, ডলার ইত্যাদি)। অর্থকে কেন্দ্র করে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালিত হয়। অর্থের প্রচলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্যাংক পদ্ধতির শুরু হয়। মধ্যযুগে ইহুদী ব্যবসায়ীরা এক পক্ষের কাছ থেকে কম সুদের বিনিময়ে অর্থ আমানত হিসাবে গ্রহণ করত এবং অন্য পক্ষের কাছে এই অর্থ অপেক্ষাকৃত বেশি সুদে আবার ধার হিসেবে দিত। এর মধ্য দিয়েই ব্যাংক ব্যবসার জন্ম হয় বলে ধারনা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে ব্যাংক ব্যবস্থা শুধু আমানত নেওয়া ও ঋণ দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। উৎপাদনখাতে বিনিয়োগ আর ব্যাংকের কাজ হলো উক্তরূপ বিনিয়োগের জন্য পুঁজি সংগ্রহ ও সরবরাহ করা।
ব্যাংক কাকে বলে?
ব্যাংক হলো এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা সাধারণ মানুষের সঞ্চয় এবং প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে পুঁজি গড়ে তোলে এবং সেই পুঁজি ব্যবসায়ীদের আবার ঋণ হিসেবে প্রদান করে মুনাফা গ্রহন করে। এই কর্মপ্রক্রিয়ায় ব্যাংক আমানত সরবরাহকারীকে সুদ প্রদান করে এবং ঋণ গ্রহণকারীর নিকট থেকে সুদ আদায় করে থাকে। ব্যাংক এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেটি এক পক্ষের কাছ থেকে আমানত হিসাবে অর্থ জমা রাখে এবং অন্য পক্ষকে আমানতি অর্থ থেকে আবার ঋণ দেয়। ব্যাপক অর্থে, ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যা আমানত গ্রহণ করা, ঋণ দেওয়া এবং ঋণ ও অর্থ সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক কাজ সম্পন্ন করে থাকে। ব্যাংক হলো মধ্যস্থতাকারী ঐ আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে নগদ অর্থ জমা রাখে এবং এদের ঋণদান করে। আর এই উভয়ের সুদের পার্থক্য থেকে মুনাফা আয় করে থাকে।
সরকারি ব্যাংক কাকে বলে?
রাষ্ট্রীয় মালিকানায় গঠিত, পরিচালিত , নিয়ন্ত্রিত ব্যাংককে সরকারি ব্যাংক বলে। আরও সহজ করে বললে, সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যাংককে সরকারি ব্যাংক বলে। অর্থ্যাৎ যে সকল ব্যাংকের সকল ব্যায় ও আয় সরকার বহন ও ভোগ করে তাকেই সরকারি ব্যাংক বলে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত বা সরকারি ব্যাংক পাঁচটি। যেমন, সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংক লিমিটেড।
সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি?
বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংক রয়েছে ৬টি। আর এই ব্যাংকগুলো হলো সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, এবং বেসিক ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়াও সারাদেশে আরো অনেক বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে যারা বাংলাদেশ ব্যাংক এর নির্দেশনায় আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশের এই ব্যাংক গুলো সরকারি মালিকানাধীন বানিজ্যিক ব্যাংক এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। নিচে সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি তার তালিকা আকারে উল্লেখ করা হলো।
সরকারি ব্যাংক এর নাম | প্রতিষ্ঠার সন | ঠিকানা |
---|---|---|
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড | ১৯৭২ | প্রধান কার্যালয়ঃ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা । |
জনতা ব্যাংক লিমিটেড | ১৯৭২ | প্রধান কার্যালয় – ১১০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা । |
অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড | ১৯৭২ | প্রধান কার্যালয় – ৯/ডি, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ |
রুপালি ব্যাংক লিমিটেড | ১৯৭২ | প্রধান কার্যালয় – ৩৪, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ |
বেসিক ব্যাংক লিমিটেড | ১৯৮৮ | প্রধান কার্যালয় – ১৯৫, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ |
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড | ২০০৯ | প্রধান কার্যালয় – ৮, রাজউক এভিনিউ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ |
১। সোনালী ব্যাংক
সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব থেকে বড় একটি বানিজ্যিক সরকারি ব্যাংক। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরে সরকারি ব্যাংক হিসেবে সোনালী ব্যাংকেকে বিবেচনা করা হয়। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের হয়ে অনেক কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক হচো্ছ এই “সোনালী ব্যাংক লিমিটেড” । “বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২” অনুসারে এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যাংকগুলির মধ্যে একটি যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এবং সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সোনালী ব্যাংকের উৎস এবং ইতিহাস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।
- সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংকগুলির মধ্যে একটি যা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বর্তমান অবধি সুনামের সাথে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
- এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সামাজিক উন্নতির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এর মূল উদ্দেশ্য দেশের অর্থনৈতিক স্থিতি উন্নত করা ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ব্যবসায় সম্প্রসারনে কাজ করা।
- রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর ২৬, ১৯৭২ অনুসারে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ।
- ব্যাংক অব ভাওয়ালপুর, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক” এই তিনটি ব্যাংকের সমন্বয়ে মূলত “সোনালী ব্যাংক” প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
- ব্যাংকটির বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ৬০০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪১৩০ কোটি টাকা।
- সুইফট কোড হচ্ছে BSONBDDH ।
২। জনতা ব্যাংক
জনতা ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র মালিকানাধীনি একটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক । “বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২” অনুসারে এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জনতা ব্যাংক একটি মৌখিক সরকারি ব্যাংক যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সামাজিক উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। এই ব্যাংকটি নিরপেক্ষ সামাজিক উন্নতির দিকে গুরুত্ব দেয় এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেবা সরবরাহ করে।
- রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর ২৬, ১৯৭২ অনুসারে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ব্যাংকটির বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ৩০০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২৩১৪ কোটি টাকা ।
- “ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড” এই দুই ব্যাংক এর সমন্বয়ে জনতা ব্যাংক গঠিত হয়েছিল । ব্যাংকটি বর্তমানে সুনামের সাথে আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করে আসছে।
৩। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের সরকারের অন্যতম তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ব একটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক । “বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২” অনুসারে এই অগ্রণী ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। অগ্রণী ব্যাংক বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যাংক যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সহযোগীতার জন্য প্রতিষ্ঠিত এবং সহায়ক ভূমিকা পালন করার জন্য বদ্ধ পরিকর। অগ্রণী ব্যাংক সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো।
- অগ্রণী ব্যাংক বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংকগুলির মধ্যে একটি যা ঢাকা শহরে অবস্থিত।
- এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এর মূল উদ্দেশ্য দেশের অর্থনৈতিক স্থিতি উন্নত করা ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করা।
- রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর ২৬, ১৯৭২ অনুসারে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।
- হাবিব ব্যাংক লিমিটেড ও কমার্স ব্যাংক লিমিটেড” এর বাংলাদেশে অবস্থিত সকল শাখার সমন্বয়ে মূলত অগ্রণী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
- ২০০৭ সালের ১৭ মে এই ব্যাংকটিকে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক সরকারি ব্যাংকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৪। রূপালী ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয়করণ অধ্যাদেশ নম্বর ২৬, ১৯৭২ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় রূপালী ব্যাংক লিমিটেড । রূপালী ব্যাংক একটি অগ্রসর সরকারি ব্যাংক যা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং ব্যবসায়িক উন্নতির লক্ষ্যকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে এবং পেশাদার ব্যবসায়িক সেবা সরবরাহ করে চলেছে। রূপালী ব্যাংক সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে উল্লেখ করা হলো।
- রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর ২৬, ১৯৭২ অনুসারে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ।
- “মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক, অস্ট্রেলেশিয়া ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক” এর সকল সম্পদ ও দায় নিয়ে রূপালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা লাভ করে ।
- ১৯৮৬ সালে এই রুপালী ব্যাংককে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রুপান্তরিত করা হয় ।
৫। বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিষ্ঠায় সহযোগীতা করতে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড গঠন করা হয় । ১৯৮৯ সালে এই বেসিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা লাভ করে । বেসিক ব্যাংক বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যাংক যা অনেক অর্থনৈতিক প্রকল্পে অর্থ প্রদান করে থাকে। নিম্নে বেসিক ব্যাংক সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
- বেসিক ব্যাংক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সরকারি ব্যাংকগুলির মধ্যে একটি যা ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- বেসিক ব্যাংকটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সামাজিক উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এর মূল উদ্দেশ্যই হলো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতি উন্নত করা ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া।
- প্রতিষ্ঠা সাল – ১৯৮৯
- অনুমোদিত মূলধন হচ্ছে ৫৫০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ১০৮৫ কোটি টাকা ।
- ১৯৯২ সালে ব্যাংকটি শতভাগ সরকারি মালিকানায় রুপান্তরিত হয় ।
৬। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড সংক্ষেপে বিডিবিএল বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রয়াত্ত সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক । বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) বাংলাদেশের প্রধান সরকারি ব্যাংকগুলির মধ্যে একটি এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রকল্পে অর্থ প্রদান করে থাকে। ব্যাংকটি ঢাকা শহরে অবস্থিত। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড এর সম্পর্কে কিছু মৌলিক তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হলো।
- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) বাংলাদেশের প্রথম সারির সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
- এটি অর্থনৈতিক উন্নতির প্রয়োজনে অর্থ প্রদান করে এবং অর্থনৈতিক প্রকল্পে মাধ্যমিক ধারা নিতে সাহায্য করে থাকে।
- কোম্পানি আইন ১৯৯৪ অনুসারে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে বিডিবিএল ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় ।
- বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা” কে একীভূত করে বিডিবিএল প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
- ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে বিডিবিএল এর কর্মযাত্রা শুরু হয়।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।
বাংলাদেশ ব্যাংক কি সরকারি ব্যাংক?
বাংলাদেশ ব্যাংক হল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় একটি ব্যাংক এবং এটি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের সদস্যও বটে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ।
ব্যাংক এর কাজ কি ক?
একটি ব্যাংকের প্রধান কাজ হল জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করা এবং সেই আমানতগুলিকে আবার ব্যবসা, কৃষি, শিল্প এবং বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য ঋণ দেওয়া । ব্যাংক আমানতকারীদের কম হারে সুদ দেয় এবং ঋনগ্রহীতাদের কাছ থেকে উচ্চ হারে সুদ গ্রহন করে।
উপসংহার
ব্যাংকের প্রধান কাজই হলো আমানত সংগ্রহ করা এবং সেই সংগৃহীত অর্থ ঋণস্বরূপ আবার তৃতীয় পক্ষকে সুদের বিনিময়ে প্রদান করা’। এই সংজ্ঞা থেকে বোঝা যায় যে, একটি ব্যাংক মূলত জনগন বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে আমানত গ্রহণ, ঋণ দান, এবং চেক প্রচলন করে থাকে। এছাড়া দেশি ও বিদেশি বাণিজ্যের অর্থনৈতিক লেনদেন-এ প্রয়োজনীয় সহায়তাও প্রদান করা ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথমদিকে বিনিময় প্রথা চালু ছিল। পণ্যের বিনিময়ে পণ্য লেনদেন করা হতো। অনেক পরে মুদ্রার প্রচলন ঘটে। প্রাচীনকালে মুদ্রার প্রচলন শুরু হলেও ব্যাংক ব্যবস্থার ধারণাটি জন্ম নেয় অনেক পরে। প্রথমদিকে কিছু মানুষের কাছে কাছে সংরক্ষিত অতিরিক্ত অর্থের নিরাপত্তার প্রয়োজন অনুভূত হয় এবং আবার অন্য কিছু মানুষের ঋণ আকারে অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই যে কোন লেনদেন করার আগে আমাদের জেনে নেওয়াই ভালো ব্যাংকটি কি সরকারি? উপরে তালিকা আকারে সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে ব্যবস্থাপনার মূলনীতিগুলো কি কি সম্পর্কে পড়তে পারেন।
“সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।