Skip to content
Home » পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

What does it take to get a passport

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে পাসপোর্ট করার আগে তা অবশ্যই জানতে হবে। পাসপোর্ট একটি দেশের নাগরিকের পরিচয় বহন করে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে পাসপোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নাগরিককে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে  ভ্রমন করতে দেয়া হয়। তাই বৈধভাবে পৃথিবীর যে কোনো দেশে ভ্রমণের অন্যতম প্রধান শর্তই হলো পাসপোর্ট। এটি একজন নাগরিকের স্বীকৃতির সবচেয়ে বড় দালিলিক প্রমাণপত্রও বটে। সব দেশই তাদের নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট অনুমোদন করে থাকে। কিন্তু সব দেশের পাসপোর্ট একই মর্যাদা বহন করে না। পাসপোর্ট সম্পর্কে আরও এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা সবার জানা নেই। আপনি এক দেশ থেকে অন্য আরেক টি দেশে যেতে চাইবেন ঠিক তখনি সর্বপ্রথম আপনাকে পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে পুরনো MRP পাসপোর্ট এর পরিবর্তে ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। আপনি চাইলেও এখন আর এমআরপি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না। পাসপোর্ট রিনিউ অথবা নতুন করে ইস্যু করার ক্ষেত্রে আপনাকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হয়। বর্তমানে দালাল ছাড়া অনলাইন এর মাধ্যমে আপনারা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে সহজেই পাসপোর্ট আবেদন করা সম্ভব। তবে পাসপোর্টের ধরন অনুযায়ী কাগজপত্র ভিন্ন হয়। 

পাসপোর্ট কি?

পাসপোর্ট এর বাংলা অর্থ ভ্রমণ নথি বা দলিল। যা সাধারণত একটি দেশের সরকারকর্তৃক জারি প্রদান করা হয়। যেখানে পাসপোর্ট বহনকারী সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য লেখা থাকে। সরকারের বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এটি প্রদান করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে এবং যা একটি আন্তর্জাতিক পরিচয়পত্র হিসাবে গন্য করা হয়ে থাকে। পাসপোর্ট হলো আপনার নিজস্ব পরিচয়পত্র যেটা অন্য দেশে গেলে আপনার পরিচয় বহন করবে। সাধারনত নিজের পরিচয় দিতে পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমনের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় প্রত্যয়িত করে থাকে। একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম,  ছবি, স্বাক্ষর, জন্মের তারিখ ও স্থান এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে। ২০০৮ এর নিয়ম অনুসারে এই পর্যন্ত ৬০ টি দেশ বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট চালু করেছে এবং এপ্রিল ২০১৭ অনুযায়ী এই সংখ্যা ৯৬ এ দাঁড়িয়েছে।

পাসপোর্ট এর ধরন সমূহ

সাধারণত আমরা পাসপোর্ট আবেদনের ভিত্তিকে ৩ ভাগে ভাগ করতে পারি। শিশুদের পাসপোর্ট, প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট ও সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট। বয়স ভেদে পাসপোর্ট এর আবেদনের ক্ষেত্রে আলাদা ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। আবেদনকারীর বয়স অনুসারে পাসপোর্ট এর প্রকার ভিন্ন ভিন্ন হয়। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সরকারি কাজে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তখন অতিরিক্ত কাগজ হিসেবে NOC এবং GO প্রয়োজন হয়। এই ধরনের পাসপোর্টকে বলা হয় Government Order পাসপোর্ট । তাই বলা যায় বাংলাদেশে নিচে উল্লেখিত তিন ধরনের পাসপোর্ট প্রচলিত রয়েছে।

  1. শিশুদের পাসপোর্ট।
  2. প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট।
  3. সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?

পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমত আপনাকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে। ৫ বছর অথবা ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন পড়ে। আবার যাদের বয়স ২০ বছরের কম তাদের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিতে হয়। এছাড়াও পিতা মাতার আইডি কার্ড সহ নাগরিক সনদপত্র প্রয়োজন হবে। পেশা প্রমান এর জন্য স্টুডেন্ট হলে শিক্ষাকার্ড এবং চাকরিজীবী হলে চাকরির কার্ড প্রয়োজন। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য NOC এবং GO প্রয়োজন। অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফি পরিশোধ করে, চালান রশিদ ও 3R Size এর ছবি প্রয়োজন হবে। পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে চলুন এই সম্পর্কে নিচে উল্লেখিত তথ্য থেকে বিস্তারিত জেনে নেই।

১। শিশুদের পাসপোর্ট এর আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (আবেদন কারীর বয়স ৬ বছরের কম হলে)

যাদের বয়স ৬ বছরের কম। সেক্ষেত্রে কিন্তু সেই মানুষের জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্টস দেয়ার প্রয়োজন হবে। আর সেইসব ডকুমেন্ট দেওয়ার পর সেই ছয় বছর বয়সী কম মানুষের পাসপোর্ট করতে পারবেন। সেই প্রমান সম্বলিত কাগজগুলো সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং এই ডকুমেন্ট গুলোর সাহায্যে আপনি ছয় বছর এর কম বয়সী মানুষের পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

  • শিশুর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • গার্ডিয়ান হিসেবে পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। এর সাথে সাথে সেই জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি টি সঙ্গে রাখতে হবে।
  • অনলাইন আবেদন রেজিস্ট্রেশন ফরম
  • অনলাইন আবেদনের কপি
  • আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফ্ট করে এ চালানের কপি
  • টিকা কার্ড (প্রয়োজনের ক্ষেত্রে)
  • সম্প্রতি তোলা 3R Size এর এক কপি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালার ছবি লাগবে। এবং সেই ছবি টি অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে।
  • এই মানুষটির ছবির পাশাপাশি উক্ত মানুষটির পিতা এবং মাতার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
  • অবশ্যই তার পেশা ইন্ডিকেট করে দিতে হবে। তবে পেশার ক্ষেত্রে কোন প্রকার প্রমাণপত্র বা ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন নেই।

শিশুদের পাসপোর্ট আবেদন করতে অবশ্যই পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের কপি অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র প্রয়োজন হবে। যেহেতু শিশুর (২০ বছরের নিচে) ভোটার আইডি কার্ড নেই, সেহেতু অবশ্যই গার্ডিয়ানের ডকুমেন্টস প্রয়োজন।তবে ১৮ বছরের উপরে যাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে তারা গার্ডিয়ানের ডকুমেন্টস ব্যতীত পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। সাধারণত তাদেরকে প্রাপ্তবয়স্ক ক্যাটাগরির মধ্যে বিবেচনা করা হয়।

২। প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

যখন একজন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স ২০ বছর এর বেশি হবে। তখন সেই ব্যক্তির আবেদন করার সময় বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে।তো আপনার বয়স যদি ২০ বছর এর বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট এর জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। তা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবং এই ডকুমেন্ট গুলো প্রদান করার মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।আর সেই পাসপোর্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো হলঃ

  • জাতীয় পরিচয় পত্র তথা NID কার্ডের ফটোকপি।
  • ইউনিয়ন অথবা পৌরসভার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র
  • অনলাইন আবেদন রেজিস্ট্রেশন ফরম
  • অনলাইন আবেদনের কপি।
  • আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফ্ট করে এ চালানের কপি
  • সেই ব্যক্তি বর্তমান সময়ে কোন পেশার সাথে যুক্ত আছে। তা অবশ্যই প্রমাণপত্র প্রদান করতে হবে। আবেদনকারী স্টুডেন্ট হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রাপ্ত স্টুডেন্ট কার্ড প্রদান করতে হবে।
  • অথবা আবেদনকারী চাকরিজীবী হলে চাকরির কার্ড
  • আর ফটোকপির দোকান থেকে নিজের প্রত্যায়ন পত্র লাগবে।
  • আপনি যদি বিবাহত হোন তাহলে কাবিন নামার ফোটোকপি লাগবে।
  • সম্প্রতি তোলা 3R Size এর এক ছবি লাগবে। তবে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালার ছবি লাগবে। এবং সেই ছবি টি অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে।

সাধারণত যাদের ভোটার আইডি কার্ড আছে তাদেরকে প্রাপ্তবয়স্কদের তালিকায় ধরা হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে। তাছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে গার্ডিয়ানের ডকুমেন্টস প্রয়োজন নেই।

৩| সরকারি চাকরিজীবীদের পাসপোর্ট আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকের থেকে (NOC ও GO) এই ২টি ডকুমেন্ট বেশি প্রয়োজন হয়। যারা রাষ্ট্রীয় কাজে সরকারি আদেশে দ্রুত দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করে তাদের ক্ষেত্রে GO (Government Order) প্রয়োজন হয়। এবং সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করলে তার মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তর থেকে NOC (No Objection Certificate) ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে জমা দিতে হয়। এই ডকুমেন্টগুলো ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের আর কোন ডকুমেন্টস এর আর প্রয়োজন নেই।

  • আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের কপি।
  • নাগরিক সনদপত্র।
  • অনলাইনে আবেদন রেজিস্ট্রেশন ফরম।
  • আবেদনের পরে অনলাইন আবেদনের কপি।
  • ব্যাংক ড্রাফট এর রশিদ।
  • সম্প্রতি তোলা 3R Size এর এক কপি ছবি লাগবে। তবে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর কালার ছবি লাগবে। এবং সেই ছবি টি অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে।
  • NOC (No Objection Certificate)
  • বা GO (Government Order)

বাংলাদেশ সরকার কয় ধরনের পাসপোর্ট প্রদান করে?

বাংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনের পাসপোর্ট হয়ে থাকে। যথাক্রমে লাল, নীল ও সবুজ মলাটের পাসপোর্ট। লাল মলাট হচ্ছে কূটনৈতিক পাসপোর্ট। নীল মলাট হচ্ছে সরকারি কর্মজীবীদের পাসপোর্ট। আর সবুজ মলাটের পাসপোর্ট হচ্ছে সর্ব সাধারণের জন্য। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ ও বিশ্বের ১২০ তম দেশ হিসেবে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের যাত্রা শুরু হয়। ই-পাসপোর্ট চালুর আগে থেকেই তিন রঙের পাসপোর্ট চালু রয়েছে বাংলাদেশে। আসুন জেনে নিই কোন রঙের পাসপোর্ট কাদের জন্য

১। সাধারন পাসপোর্ট (সবুজ পাসপোর্ট)

সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ মলাট) এটা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ নিয়মিত নাগরিকদের জন্য জারি প্রদান করা হয়। যেমন ছুটি, অধ্যয়ন, ব্যবসা,  চিকিৎসা,ভ্রমণ ইত্যাদির জন্য প্রদান করা হয়। জন্ম ও বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য সবুজ পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। এই রঙের পাসপোর্টে বিদেশে গমনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের কোস প্রকার ভিসার প্রয়োজন হয়।

২। নীল পাসপোর্ট

দাপ্তরিক পাসপোর্ট (নীল মলাট) সরকারি কর্মকর্তা, সরকারী কর্মচারী ও সরকারী ব্যবসায়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। নীল রঙের পাসপোর্টকে বলা হয় অফিসিয়াল পাসপোর্ট। সরকারি কাজে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হলে এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করতে হয়। এই পাসপোর্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসের অনুমোদন বা গভর্নমেন্ট অর্ডার (GO) প্রয়োজন হয়। নীল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অন্তত ২৭ দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন।

৩। লাল পাসপোর্ট

লাল পাসপোর্টকে বলা হয় ডিপ্লোম্যাটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তাদের স্পাউস অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রী। এছাড়াও উচ্চতর আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারা লাল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। লাল পাসপোর্ট যাদের আছে তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোনো ভিসা প্রয়োজন হয় না। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেয়ে থাকেন। কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল মলাট) বাংলাদেশি কূটনীতিকদের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনৈতিক কুরিয়ার জারি করা হয়। 

৪। বিশেষ পাসপোর্ট

এটি ভারত-বাংলাদেশ বিশেষ পাসপোর্ট নামেও পরিচিত ছিলো যা বাংলাদেশী নাগরিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছিল। এটি শুধুমাত্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের জন্য বৈধ ছিল। পরবর্তীতে ICAO এর নিয়ম পরিবর্তনের কারণে এই পাসপোর্টের ইস্যু ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। 

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট কত প্রকার?

 পাসপোর্ট হলো একজন নাগরিকের অন্যদেশে নিজের পরিচয়ল আর এগুলি হল কূটনৈতিক পাসপোর্ট, দাপ্তরিক পাসপোর্ট এবং নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট।

পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ কত টাকা?

৪৮ পৃষ্ঠার একটি ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করার জন্য খরচ হলো সর্বনিম্ন ৪০২৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮৬২৫ টাকা। ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করার জন্য খরচ হবে ২০২৩ সালে নিয়ম অনুসারে সর্বনিম্ন ৫৭৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০৩৫০ টাকা।

উপসংহার

অনেক আগে পাসপোর্টে কোনো প্রকার ছবি লাগতো না। তাই প্রথম ছবিযুক্ত পাসপোর্টের রীতি চালু হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটু পর। যখন এক জার্মান গুপ্তচর আমেরিকান পাসপোর্ট নিয়ে ব্রিটেনে ঢুকে পড়েছিলেন। ঐ ধরনের জালিয়াতি ঠেকানেোর জন্যই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে পাসপোর্টে ছবি লাগানোর নিয়ম চালু হয়। এক সময় পাসপোর্টে ব্যবহার করা যেতো পারিবারিক ছবি। পাসপোর্টের জন্য এখনকার মতো ধরা-বাধা নিয়মের কোনো ছবি প্রয়োজন ছিল না। যে কোনো ধরনের ছবি ব্যবহার করা যেতো।  এমনকি পারিবারিক ছবি হলেও চলতো। বর্তমানে শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক দিয়ে পৃথিবীর সবার উপরে রয়েছে সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট। ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের সুযোগের দিক দিয়ে এখন পৃথিবীর সব থেকে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টটি। ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা এখন বিনা ভিসায় ১৫৯টি দেশ ভ্রমণের সুবিধা ভোগ করছে। পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এটা এখন অনেক বড় একটি ঝামেলা বললে চলে। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে মানুষের মৌলিক অধিকার ৬টি কি কি সম্পর্কে পড়তে পারেন।

“পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *