তথ্যের উৎস কত প্রকার ও কি কি শীর্ষক আজকের প্রবন্ধে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিদিন আমরা প্রচুর তথ্য পেয়ে থাকি। এই তথ্যের পরিমান প্রতিনিয়তই আবার বাড়ছে। কিছু তথ্য সঠিক আবার কিছু তথ্য সঠিক নয়। তথ্য আমাদের নতুন কিছু শিখতে ও কী করতে হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের সঠিক তথ্য জানতে হবে এবং সকলের সাথে আবার সেই তথ্য বিনিময় করতে হবে। তথ্য বিনিময় হলো একটি উপায় যার মাধ্যমে কোনো তথ্য পরিচিতজন, পরিবার এবং অন্যান্য মানুষের সাথে আদান প্রদান করা হয়ে থাকে। তথ্য বিনিময় আমাদের ভালোভাবে বাঁচতে, নিরাপদ থাকতে এবং বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে থাকে। জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা হলেই সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পাবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
তথ্য বা উপাত্ত কি?
সাধারনত তথ্য বলতে বোঝায়, কোন বিষয় সম্পর্কে জানা বা গবেষণা করার জন্য অথবা কোন সমস্যা সমাধান করার জন্য অনুসন্ধান কার্যের মাধ্যমে ঐ বিষয় সম্পর্কে বা গবেষণার বিষয় সম্পর্কিত অথবা সমস্যা সম্পর্কিত যা কিছু সংগ্রহ করা হয় তাকেই তথ্য বা উপাত্ত বলা হয়৷ পরিসংখ্যানিক গবেষণা কাজের প্রধান ও অত্যাবশ্যক হল তথ্য৷ সহজভাবে বললে, তথ্য বলতে কোন বিষয়, ঘটনা, বা কাজের সম্পর্কে যে সকল উপাদান বা বিবরন থাকে তাকেই তথ্য বলা হয়। তথ্য হল যেকোন মাধ্যমে প্রকাশিত বা সংরক্ষিত উপাদান যা কোন বিষয়ের সম্পর্কে জ্ঞান।
তথ্য সংগ্রহ কি?
অনুসন্ধান ক্ষেত্রে হতে কোন খবর বা সংখ্যাবাচক তথ্য সংগ্রহ বা আহরণই হল তথ্য সংগ্রহ৷ পরিসংখ্যানের প্রথম এবং প্রধান কাজই হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা৷ তথ্য সংগ্রহ থেকেই একজন পরিসংখ্যানবিদের কাজ শুরু হয়ে যায়৷ তথ্য প্রাথমিকভাবে কোন একটি বিশেষ স্থানে সুসংগঠিত অবস্থায় পাওয়া যায় না৷ এর বিচ্ছিন্নভাবে বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করে। এগুলো অনুসন্ধান ক্ষেত্রের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। তথ্য সংগ্রহের পূর্বে প্রত্যেকটি অনুসন্ধানের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার পরিধি কি কি তথ্য সংগ্রহ করতে হবে ইত্যাদি জানা প্রয়োজন৷ তা না হলে সময় ও অর্থের অপচয় হবে কিন্তু প্রকৃত তথ্য হাতে আসবে না।
তথ্যের উৎস কত প্রকার ও কি কি?
তথ্য আমাদের জীবনের গরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বর্তমানে তথ্য ছাড়া কোন কাজই করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তথ্য সম্পর্কে জানা আমাদের অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তথ্য্য আবার সঠিক হতে হবে। সঠিক তথ্য যেমন উপকারি তেমনি ভুল তথ্য আবার আমাদের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তাই তথ্য কোন উৎস থেকে সংগৃহীত হচ্ছে তা নিশ্চিত হতে হবে। তাই তথ্যের উৎস কত প্রকার ও কি কি তা আমাদের আগে জানতে হবে। তথ্যের উৎসের ভিত্তিতে তথ্যকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। তাহলো যথাক্রমে প্রাথমিক বা মূল তথ্য এবং মাধ্যমিক বা পরোক্ষ তথ্য।
১। প্রাথমিক তথ্য বা মূল তথ্য
কোন বিশেষ উদ্দেশ্য বা গবেষণার জন্য অনুসন্ধান ক্ষেত্র বা তথ্য বিশ্বের প্রতিটি অবস্থান থেকে সরাসরি যে তথ্য সংগ্রহ করা হয় তাকেই প্রাথমিক তথ্য বলা হয়ে থাকে। সংগৃহীত এ সকল তথ্যের উপর কোন ধরনের পরিসাংখ্যানীয় পদ্ধতি প্রয়োগের পূর্ব পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য বলে বিবেচনা করা হয়৷ যে তথ্য পরোক্ষ উৎস থেকে যেমন কোন তথ্য কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংগৃহীত হবার পর সেখান থেকে সংগ্রহ করা হয় বা কোন প্রকাশনা হতে সংগ্রহ করা হয় তখন তাকে মাধ্যমিক তথ্য বা পরোক্ষ তথ্য বলা হয়৷ অথবা গবেষণার জন্য কোন সংস্থা কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য যা প্রথমবারের মত সংগৃহীত নয় বা যে তথ্যের উপর কমপক্ষে একবার পরিসংখ্যানীয় কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে তাকে মাধ্যমিক তথ্য বলা হয়৷
প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিসমূহ
তথ্য সংগ্রহ উপায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে তথ্য পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্য, ব্যবহৃত পরিমাপের একক, তথ্যের নির্ভুলতা ,তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি ও প্রশ্নপত্রের উৎকর্ষতা ইত্যাদি সম্পর্কে ভালাভাবে অবগত হতে হবে৷ এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের ব্যয়, সময় অনুসন্ধানকারীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ এবং প্রশ্নপত্রের মান ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে৷ প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- সরাসরি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ: এ পদ্ধতিতে গবেষক বা অনুসন্ধানকারী ব্যক্তিগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন৷ অনুসন্ধানকারী নিজে কার্যক্ষেত্রে গিয়ে উত্তরদাতার সাথে সাক্ষাৎ করে বা পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন৷ এভাবে সংগৃহীত তথ্য বেশ সঠিক হয় বা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। কিন্তু এতে বেশ সময় লাগে এবং খরচও বেশি৷ ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না বা করার সময় থাকে না।
- পরোক্ষ অনুসন্ধান: যেসব কঠিন বিষয়ে তথ্যদাতা গণনাকারীকে তথ্য সরবরাহ করতে চান না বা তথ্যদাতা সঠিক তথ্য দিবেন না বা দিচ্ছেন না বলে মনে হয়, সেক্ষেত্রে পরোক্ষ অনুসন্ধানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। এরূপ ক্ষেত্রে ঘটনার সাথে জড়িত বা তথ্য সম্বন্ধে সঠিকভাবে অবগত আছে এমন বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ পরিচিত কোন ব্যক্তির নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে৷ কোন কোন উত্তরদাতা ব্যক্তিগত দুর্বলতা বা রেষারেষির দরুন অনেক সময় ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন৷ সুতারাং তার জবাবের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য প্রত্যক্ষ প্রমাণ দরকার হয়৷ এরূপ ক্ষেত্রে বা এ পদ্ধতিতে একজনের বিবৃতির উপর নির্ভর করা যায় না৷ তাই এ পদ্ধতিতে তথ্য সঠিক আছে কিনা তা শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় না।
- ডাক মারফত প্রশ্নপত্র সংগ্রহ পদ্ধতি: এ পদ্ধতিতে গবেষণার বিষয়বস্তুর উপর একটি সুন্দর ও সহজ প্রশ্নপত্র তৈরি করে ডাকযোগে উত্তরদাতার নিটক পাঠানো হয়৷ উত্তরদাতা প্রশ্নপত্রটি পূরণ করে ফেরত পাঠান৷ এতে সময় ও খরচ উভয়ি কম লাগে৷ অনেক সময় উত্তরদাতা প্রশ্নের অর্থ বুঝতে না পারলে ক্রটিপূর্ণ উত্তর দেন৷ আবার কেউ কেউ প্রশ্নপত্রটি ফেরতে পাঠান না অথবা উত্তরপত্র অসম্পন্ন করে পাঠান৷ সাধারণত মতামত যাচাই জাতীয় অনুসন্ধানে এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷
- গণনাকারীর মাধ্যমে অনুসন্ধান: এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহকারী প্রয়োজনীয় তথ্যের একটি প্রশ্নমালা নিয়ে উত্তরদাতার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে উত্তর লিপিবদ্ধ করে থাকে ৷ ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে৷ এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করতে অনেক সময় লাগে এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়৷ অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য ও প্রশ্নের জটিলতা বিশদভাবে বিশ্লেষণ করে উত্তরদাতাকে বুঝিয়ে দিতে না পারলে উত্তরদাতা অনেক সময় সঠিক তথ্য দিতে পারে না। তাই প্রশ্নপত্র বেশ সহজ ও সাবলীল , বাস্তবমুখী এবং গণনাকারীকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হওয়া হয়ে হয়। তা না হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- টেলিফোন সাক্ষাৎকার: অনেক সময় জরুরি ভিত্তিতে স্বল্প পরিসরের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য টেলিফোন সাক্ষাৎকার পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে৷ এতে সময় ও খরচ উভয়ি কম লাগে৷ তবে তথ্য সংগ্রহকারীর কথাবার্তা মার্জিত বা ভদ্র হওয়া বাঞ্ছনীয়৷ উত্তরদাতার টেলিফোন না থাকলে বা সে উপস্থিত না থাকলে তথ্য সংগ্রহ করতে অসুবিধা হয় বা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- তথ্য সংগ্রহকারীর সরাসরি পর্যবেক্ষণ: এ পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণকারী গবেষণার প্রশ্নপত্র নিয়ে কার্যক্ষেত্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন৷ এ পদ্ধতিতে কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে হয় না৷ ব্যক্তিগত বিচার বুদ্ধি ও পর্যবেক্ষণ দ্বারা অর্জিত জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করা হয়৷ আর এ পদ্ধতিতে ব্যক্তিগত দুর্বলতা ও পক্ষপাতিত্বের বা ঈর্ষাজনিত কারণে ভুল তথ্য পরিবেশনের সম্ভাবনা থাকে। ব্যাপক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না৷
- স্থানীয় উৎস: এ পদ্ধতিতে স্থানীয় প্রতিনিধি বা সংবাদদাতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে৷ বিশেষ করে অঞ্চলভিত্তিক তথ্য যেমন, শস্যের উৎপাদন ,বন্যা পরিস্থিতি , অগ্নি ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎসের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যদিও শতভাগ সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা কম।
২। মাধ্যমিক বা পরোক্ষ তথ্য
মাধ্যমিক বা পরোক্ষ তথ্য সংগ্রহের কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। যে কেউ প্রাথমিক তথ্য বাতিত মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে সেটি মূলত মাধ্যমিক বা পরোক্ষ তথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। নিচে মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিগুলো তুলে ধরা হলো
মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিসমূহ
প্রকৃতপক্ষে মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের কোন পদ্ধতি নেই৷ মাধ্যমিক তথ্য সাধারণত বিভিন্ন প্রকাশনা, প্রতিবেদন ,গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও জার্নাল ইত্যাদি থেকে সংগ্রহীত হয়ে থাকে৷ মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের প্রধানত উৎস দুটি, তাহলো প্রকাশিত উৎস এবং অপ্রকাশিত উৎস
ক। প্রকাশিত উৎস
বিভিন্ন প্রয়োজন ও অবস্থার উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে সকল পরিসংখ্যান প্রকাশনা বা সংকলন প্রকাশ করেন মূলত সেগুলোই হল মাধ্যমিক তথ্য সংগ্রহের প্রকাশিত উৎস৷ প্রকাশিত উৎস সাধারনত তিন প্রকারে ভাগ করা যায়ঃ
- সরকারি উৎস: সরকার তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নানা ধরনের প্রয়োজন ও পরিকল্পনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করে থাকে৷ এসকল তথ্যসমূহ রিপোর্ট বা প্রতিবেদন আকার প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ ,বাংলাদেশ পে কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন উল্লেখ্যযোগ্য৷ আর এ সকল বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যসমূহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিকট মাধ্যমিক তথ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷
- আধা সরকারি উৎস: দেশের বিশ্ববিদ্যলয়সমূহ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা, বাংলাদেশ বিমান, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংক, মৎস্য উন্নয়ন বোর্ড প্রভৃতি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ও গবেষণা কাজের জন্য নানা ধরনের জরিপ কাজের মাধ্যমে পরিসংখ্যানিক তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোর্ট বা প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে থাকে৷ আর এ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত তথ্যসমূহ অন্য কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণা বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করলে সেগুলো সেই সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য মাধ্যমিক তথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
- বেসরকারি উৎস: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ বিশ্বব্যাংক খাদ্য ও কৃষিসংস্থা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন এনজিও ফার্ম প্রভৃতি তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের জরিপ কাজের মাধ্যমে পরিসংখ্যানিক তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করে থাকে৷ এ সকল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংগ্রহীত ও প্রকাশিত তথ্য অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য অথবা যে কোন গবেষকের জন্য মাধ্যমিক তথ্য হিসেবে বিবেচিত হবে৷
খ। অপ্রকাশিত তথ্য
অনেক পরিসংখ্যানিক তথ্য আছে যা কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন গবেষক কর্তৃক সংগৃহীত হয়েছে কিন্তু প্রকাশিত হয়নি শুধু ফাইলবন্ধী করা রাখা হয়েছে।এ সকল পরিসংখ্যানিক তথ্যসমূহকেই অপ্রকাশিত তথ্য বলা হয়ে থাকে৷ আর এ সকল অপ্রকাশিত তথ্য অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা গবেষক ব্যবহার করলে সেগুলো মাধ্যমিক তথ্য হিসেবেই বিবেচিত করা হবে।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
তথ্যের উৎস কত প্রকার ও কি কি এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।
তথ্যের মূল উৎস কি?
সাধারনত প্রাথমিক উৎসকেই তথ্যের মূল উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যা কোনও ঘটনা ঘটার সময়ে সৃষ্ট হয়েছিল বা যা ঐ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ বর্ণনা করলে সেটিও প্রাথমিক উৎস এর মধ্যে পড়ে। এর বিপরীতে মাধ্যমিক উৎসে প্রাথমিক উৎসের উপরে তথ্য প্রদান করা হয়।
তথ্যের প্রয়োজন কেন?
বর্তমান সময় তথ্যের সময়। তথ্যই শক্তি। যার কাছে সঠিক তথ্য বেশি সেই তো মেধাবি। আমাদের সুন্দরভাবে বাঁচতে, নিরাপদ জীবন-যাপনে, সঠিক সিন্ধান্ত গ্রহনে ও অনিশ্চত বিপদ থেকে বাঁচতে অবশ্যই তথ্যের প্রয়োজন।
উপসংহার
তথ্য মানব সভ্যতার উন্নয়নের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে। সঠিক তথ্য ব্যতীত কোনো পরিকল্পনাই সফল হয় না। চাকরি, শিক্ষা-চিকিৎসা, উৎপাদন-বিপণন, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-সমরনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই সঠিক তথ্যের প্রয়োজন। তথ্য ব্যতীত মানব জীবন এক প্রকার অচল বলা হয়। বর্তমান সময়কে বলা হয় তথ্যের যুগ। তাই তো বলা হয় ‘তথ্যই শক্তি’। আর সেই তথ্যের প্রবাহ অবারিত না হলে কোনো সঠিক পরিকল্পনাই গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। তাই বিশ্বব্যাপী স্লোগান উঠেছে তথ্য প্রকাশ করতে হবে এবং তথ্য আদানপ্রদানের মাধ্যমে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে তথ্য অধিকার আইন প্রনয়ন করা হয়েছে। তথ্যের উৎস কত প্রকার ও কি কি তা জানা আমাদের জরুরী না হলেও জ্ঞান রাখা ভালো। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে তথ্য সংগ্রহের ৫ টি উৎসের নাম সম্পর্কে পড়তে পারেন।
“তথ্যের উৎস কত প্রকার ও কি কি” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।