Skip to content
Home » ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা

ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা

List Of Best Government Colleges In Dhaka

ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা সম্পর্কে জেনে আপনি আপনার পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারেন। ঢাকায় ভালো কলেজে পড়ার ইচ্ছা কার না থাকে? প্রয়োজন শুধুমাত্র সঠিক গাইড লাইন মেনে চলা। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। পড়াশোনার মানের দিক ও পড়াশোনা ভালো পরিবেশের দিক থেকে আমরা সবাই সব সময় রাজধানীকে বেছে নেই। কারন এখানের কলেজ গুলো থেকে মানসম্মত শিক্ষার বেশি সুবিধা পাওয়া যায় । 

ভালো ও মানসম্মত পড়াশোনার জন্য দেশের সরকারি কলেজ সমূহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। ঢাকার মধ্যে অনেকগুলি সরকারি কলেজ রয়েছে যেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষস্থানীয় কলেজের তালিকায় রয়েছে। ভালো ফলাফল ও উন্নত শিক্ষা পরিবেশের জন্য একটি মানসম্মত কলেজ বেছে নেওয়া খুবই কার্যকরী সিদ্ধান্ত। তাই পড়াশোনা শুরুর আগেই চিন্তা করতে হয় আমি কোন কলেজে পড়বো বা ভর্তি হবো। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে অনেকেই আর সরকারী কলেজে পড়তে চান না।

সরকারি কলেজ কি?

সরকারি কলেজ সাধারনত সকল সরকারি নীতিমালা অনুসরন করে পরিচালিত হয়। এছাড়া সরকারি কলেজগুলো পড়ালেখার খরচও অনেক সাশ্রয়যোগ্য কারন শিক্ষা খরচের সিংহভাগ সরকার বহন করে থাকে। সাধারণত সরকারি কলেজ গুলোর ক্যম্পাস খেলার মাঠ, ছাত্রাবাস, সহ একটি আদর্শ ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে সকল সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন তার সবই থাকে সরকারি কলেজ গুলোতে। দক্ষ ও শিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করা হয়ে থাকে। শিক্ষক দক্ষ ও যোগ্য হলেও সরকারী চাকুরী করায় তারা ছাত্র/ছাত্রীদের সঠিক পাঠদান করেন না বা টাকা বিনিময়ে প্রাভেট শিক্ষাদানে বেশি আগ্রহী বলে অভিযোগ আছে। তাই বর্তমানে ছাত্র/ছাত্রীরা প্রাইভেট কলেজের দিকে বেশি ঝুঁকে যাচ্ছে।

ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা

বাংলাদেশে হাজার হাজার সরকারি কলেজ রয়েছে। সকল কলেজের পাঠ্যক্রম পদ্ধতি একই থাকলেও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার রয়েছে পার্থক্য। যার ফলে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত পড়াশোনা ও সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা লুফে নিতে সেরা সরাকারি কলেজগুলোতে ভর্তির চেষ্টা করে থাকে। যার মধ্যে ঢাকা শহরের সরকারি কলেজগুলো অন্যতম। কলেজ একাধিক হলেও ছাত্র/ছাত্রী বেশি হওয়ায় মেধার ভিত্তিতে চান্স নিতে হয় এসব কলেজে।  নিচে কয়েকটি ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা ও তার সংক্ষিপ্ত বিবরন উল্লেখ করা হলো।

কলেজের নামস্থাপিত স্থানজেলা
ঢাকা কলেজ১৮৪১নিউমার্কেট, মিরপুর রোড,ধানমন্ডিঢাকা
কবি নজরুল সরকারি কলেজ১৮৭৪লক্ষ্মীবাজার,পুরান ঢাকাঢাকা
সরকারি বাংলা কলেজ১৯৬২দারুসালাম সড়ক, মিরপুর-১,মিরপুরঢাকা
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ১৯৪৯লক্ষ্মীবাজার,পুরান ঢাকাঢাকা
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ১৯৬৩বকশীবাজার,পুরান ঢাকাঢাকা
সরকারি সঙ্গীত কলেজআাঁগারগাও,শের-ই- বাংলা নগরঢাকা
সরকারি বিজ্ঞান কলেজ১৯৫৪তেজগাঁও,ফার্মগেটঢাকা

১। ঢাকা কলেজ 

ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের একটি প্রাচীনতম ও ঐতিহাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কলেজটি মূলত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এই কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছেই অবস্থিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা কলেজের অবদান ছিলো সবচেয়ে বেশি। তৎকালীন শহীদুল্লাহ হল (ঢাকা হল), কার্জন হল জমি এবং নিজস্ব শিক্ষক-ছাত্র ইত্যাদি প্রদানের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই কলেজটি বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হওয়ায় গ্রাম থেকে আসা অনেকের স্বপ্ন থাকে ঢাকা কলেজে পড়ার। তবে ঢাকা কলেজে শুধুমাত্র ছেলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবেন এখানে মেয়েদের কোন সুযোগ নেই। উচ্চমাধ্যমিক এ তথা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সুযোগ রয়েছে এই কলেজটিতে। ঢাকা শহরের মধ্যে ঢাকা কলেজ একটি নামকরা শীর্ষস্থানীয় কলেজ। 

২। কবি নজরুল সরকারি কলেজ

কবি নজরুল সরকারি কলেজ (সরকারি কবি নজরুল কলেজ হিসেবেও পরিচিত) হলো বাংলাদেশের একটি প্রাচীনতম শীর্ষস্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটির নামকরন করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের নামানুসারে। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৮৭৪ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত খুব সুনামের সাথে পাঠদান পরিচালনা করে চলেছে। ১৯৯২ সাল থেকে এর বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চালু ছিল। কিন্তু এই কলেজটি ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়।

কবি নজরুল সরকারি কলেজটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় অবস্থিত। এই কলেজে ছেলে ও মেয়ে উভয় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকে। কবি নজরুল সরকারি কলেজে রয়েছে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে তথা উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করার সুযোগ। 

৩। সরকারি বাঙলা কলেজ 

সরকারি বাংলা কলেজ একটি সুপরিচিত কলেজ। বাংলাদেশের ঢাকা শহরে অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ যা ১৯৬২ সালের ১ অক্টোবর তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষাকে মাধ্যম হিসেবে পরিচয় করার চাহিদা থেকে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কলেজটি ঢাকা শহরের ২৫ একর জমির উপর মিরপুরে অবস্থিত। 

বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিকসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। ১৯৮৫ সালে কলেজটিকে সরকারিকরণ করা হয় এবং ১৯৯৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত করে কলেজটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম যাত্রা শুরু করে। তবে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ হতে কলেজটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত করা হয়। ছেলে ও মেয়ে উভয় শিক্ষার্থীরা কলেজটিতে লেখাপড়া করতে পারে। কলেজটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দারুস সালাম রোড-১২১৬ এর পাশে অবস্থিত। কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিকেও পড়ার সুযোগ রয়েছে তথা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী ।

৪। সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ

এটি একটি সরকারী কলেজ। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত একমাত্র ঐতিহ্যবাহী একটি সরকারি কলেজ। বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামানুসারে এই কলেজটির নামকরন করা হয়। এই কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যায়নের চালু রয়েছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের মধ্যে অন্যতম একটি কলেজ।  মূলত ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কলেজটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হয়। পুরান ঢাকা শহরের লক্ষ্মীবাজারে  সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজটি  অবস্থিত। এই কলেজে ছেলে মেয়ে উভয় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে এবং উভয়ের জন্যই অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। এই কলেজটিতে শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে  পড়ার সুযোগ রয়েছে। 

৫। বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ

ব্রিটিশ শাসনের শেষদিকে তৎকালীন ইডেন ভবনে ১৯৪০ সালে এই কলেজটি ইডেন স্কুল ও কলেজ নামে যাত্রা শুরু করেছিল। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে এই কলেজটি সাত নম্বর বকশিবাজারে স্থানান্তরিত হয় এবং তখন থেকেই কলেজটি প্রথম সরকারি কলেজ হিসেবে পাঠদান শুরু করে। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত কলেজটি ইডেন কলেজ নামেই পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে আজিমপুরের নতুন ভবনে ডিগ্রী শাখা চালু হলে নতুন ভবনটি ইডেন কলেজ নাম ধারণ করে এবং বকশিবাজারের এই কলেজটি গভ: ইন্টারমিডিয়েট কলেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। 

১৯৬৮ সালে এখানে ডিগ্রী কোর্স চালু হলে ১৯৬৯ সালের শেষদিকে এই কলেজের নামকরন করা হয় ঢাকা গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ। তারপর ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম বদরুন্নেসা আহমেদ এর মৃত্যুর পর তার নামানুসারে কলেজটির পুনরায় নামকরণ করা হয় বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ। নারী জাতির কল্যাণের জন্য বেগম বদরুন্নেসা অনেক গঠনমূলক কাজ করে গেছেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সমাজ সেবার জন্য রাণী এলিজাবেথ করোনেশর মেডেল এবং ১৯৯৯ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা দিবস পদক লাভ করেন। 

১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে কলেজটিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভূক্ত করা হয়। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নির্দেশে এই কলেজসহ আরও ৬টি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভূক্ত করা হয়। এই কলেজ থেকে শুধুমাত্র মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারবে। 

৬। সরকারি সংগীত কলেজ

ঢাকা শহরের একটি ভিন্নধর্মী কলেজ হলো সংগীত কলেজ। বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় অবস্থিত এটি একটি বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কলেজটিতে শুধুমাত্র বাংলাদেশে সঙ্গীত বিষয়ে পড়ানো হয়। এবং একমাত্র সংগীত বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ‘ইন্টারমেডিয়েট অব মিউজিক’ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সঙ্গীতের ৫ টি বিষয়ে ‘স্নাতক’ও ‘স্নাতক’ (সম্মান) শ্রেণীর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় এই কলেজটিতে। এই কলেজে ছেলেমেয়েরা উভয় পড়াশোনা করতে পারবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে। এখানে সাংস্কৃতিকের উপর বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। যারা সংগীত পিয় তাদের জন্য এই কলেজটি উপযুক্ত।

৭। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ

এটি ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কলেজের নাম প্রথমে ইন্টারমেডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজ ছিল। ৯ একর ভূমির উপর এই কলেজটি স্থাপিত। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে পাঠ্যক্রম চালু আছে। এই সরকারি বিজ্ঞান কলেজটিতে শুধুমাত্র একটি বিভাগে পড়ানো হয়। 

মূলত বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার, বিজ্ঞানমনস্ক ‍প্রজন্ম গড়ে তুলা বা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্নিত করার উদ্দেশ্যেই এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আর সেই বিভাগটি হলো বিজ্ঞান বিভাগ। আর এই কলেজে যদি আপনি পড়তে চান তাহলে আপনার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ হওয়া লাগবে। তা না হলে আপনি আবেদেই করতে পারবেন না। এখানে শুধুমাত্র ছেলে  শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে এবং শুধুমাত্র কলেজটিতে  উচ্চমাধ্যমিক রয়েছে তথা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যক্রম সীমাবদ্ধ।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।

৭ কলেজে আসন সংখ্যা কত?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজে সায়েন্স, বিজনেস স্টাডিজ এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা হলো ২৬,১৬০টি । বিজ্ঞান ইউনিটে রয়েছে 6,500টি আর বাণিজ্যে হলো 5,310টি এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানে 14,350টি আসন রয়েছে।

ঢাকা কলেজে ভর্তির জন্য কত নম্বর লাগবে?

ঢাকা শহরের অন্যতম সেরা সরকারি কলেজ হলো ঢকা কলেজ। সবাই চায় এই কলেজে পড়াশোনার করার জন্য। ঢাকা কলেজে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি হবার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনের জন্য একজন ছাত্রের বিজ্ঞান বিভাগে CGPA 5.00, বাণিজ্য বিভাগে CGPA 5.00 এবং মানবিক বিভাগে CGPA 4.50 নির্ধারন করে দেয়।

উপসংহার

গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরের সরকারি কলেজসমূহের পড়াশুনার মান ভালো। জীবন যাপনের সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকায় সকল দক্ষ ও শিক্ষিত শিক্ষকরা ঢাকারা কলেজে যোগদান করে। পাশাপাশি খরচের পরিমানও কম এবং উন্নত ও মানস্মত শিক্ষা প্রদান করা হয় তাই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শীক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন সরকারি কলেজ সমূহে ভর্তির আবেদনের জন্য প্রথম লিস্টে রাখে। তাছাড়া মানসম্মত পড়াশোনার জন্য দেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানই শীক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত। তাই প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী দূর-দূরান্ত থেকে পড়াশোনার জন্য ঢাকা শহরে পাড়ি জমায়। শুধু আবেদন করলেই আবার চান্স পাওয়া যায় না। এখানে মেধার ভিত্তিতে আসন বন্টন করা হয়। তাই যারা স্কুল জীবনে ভালো ফলাফল করে তারাই মূলত ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করে থাকে। আর ভর্তির আগে তারা খোঁজে বেড়ায় ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ১০ টি জেলা সম্পর্কে পড়তে পারেন।

“ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

1 thought on “ঢাকার সেরা সরকারি কলেজের তালিকা”

  1. নিজাম উদ্দিন

    সরকারি কলেজের সংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। আরো বেশি থাকলে পাঠকের জন্য সুবিধা হতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *