সেরা ১০ টি ইসলামিক বই শীর্ষক আজকের প্রবন্ধে আপনাকে স্বাগতম। বিভিন্ন বই পড়ে আমরা যেমন জ্ঞানার্জন করি ঠিক তেমনই ইসলামিক বইগুলো আমাদের ইসলাম ধর্মীয় জ্ঞানার্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রতিটি ইমানদারের জন্যে নিয়মিত ইসলামিক বই পরার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরী। প্রতিটি মুসলমানেরই এমন ইসলামিক বই পড়া উচিত যে বই গুলো পড়ে ইসলামের ইতিহাস এবং আল্লাহর বিবিধ উপদেশ সম্পর্কে জানা যায়। ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য খুবই প্রসিদ্ধ এবং সম্বৃদ্ধ। রাসুল সা. এর জন্ম থেকে তাঁর নবুওয়াত প্রাপ্তির আগে ও পরের সমগ্র জীবনী জানা প্রতিটি মুসলমানেরই ইমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য। ইমান আকিদার পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমল। আমল যদি কুরআন সুন্নাহর আলোকে না হয়, তাহলে তা আল্লাহর কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবেনা। তাই আমলের জন্য খুবই অপরিহার্য হলো বেশি বেশি ইসলামিক বই পড়া।
ইসলামিক বই কাকে বলে?
বিশেষ করে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে, ইসলামের একমাত্র পবিত্র গ্রন্থ কোরান। হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর কাছে তেইশ বছরের মধ্যে আস্তে আস্তে অবতীর্ণ হয়েছিল গ্রন্থটি। যার শুরু হয়েছিল হেরা পর্বত থেকে। প্রিয় নবীর মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরিরা একটি পাণ্ডুলিপিতে এই গ্রন্থটি সংকলন করেছিলেন। ইসলাম সস্পর্কিত বইকেই ইসলামিক বই বলে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন স্কলারের ইসলামিক বই পাওয়া যায়।
সেরা ১০ টি ইসলামিক বই
মানুষ সৃষ্টির পর থেকে আল্লাহ তায়ালা তাদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সময় ফেরেশতাদের মাধ্যমে নির্দেশনা প্রেরন করেছেন। যা পরবর্তীতে একত্র করে বই আকারে প্রকাশ করা হয়। ধর্মপ্রান মুসলমানরা এই সমস্ত বই পড়ে তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করেন। এরকম হাজারো বই রয়েছে যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম দিয়ে ইসলামিক স্কলারগন প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে থেকে সেরা ১০ টি ইসলামিক বই নিয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
১। উসূলুল ঈমান
ইসলামের যে পাঁচটি মূল স্তম্ভ রয়েছে তার মধ্যে ঈমান হচ্ছে প্রথম স্তম্ভ। ঈমান বা আক্বিদা যদি বিশুদ্ধ না হয় তাহলে একজন মানুষের সমস্ত কথা আর কাজ বাতিল বলে বিবেচিত হয়। ঈমান-আক্বিদা মানে শুধু আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসকেই বুঝায় না বরং ঈমান একটি ব্যাপক বিষয়ের নাম বুঝায়। অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি এবং কর্মে বাস্তবায়নকে ঈমান বলে থাকে। ঈমানের ৬টি রুকন আছে যেগুলোর প্রতি ঈমান আনা আমাদের উপর ফরজ কাজ | ঈমান এবং আক্বিদার মূলনীতি নিয়ে মদীনার একদল বিশেষজ্ঞ আলেমদের লেখা বই হলো এই উসূলুল ঈমান। সেরা ১০টি ইসলামিক বই এর মধ্যে এটি একটি বই যা আমাদের প্রত্যেকের পড়া খুবই জরুরি।
২। আর রাহীকুল মাখতুম (সীরাতে রাসুল)
এটি একটি অনবদ্য সীরাত বই। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাত পর্যালোচনায়, সীরাতের ঘটনামালার সুসংহত ও মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় গ্রন্থটি সত্যিই এক নজিরবিহীন রচনা বিশেষ। বইটি নির্ভরযোগ্যতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড রক্ষা করে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র সীরাত উপস্থাপন করেছে যা পাঠকের সামনে উজ্জ্বল করে দেয় সীরাতুল মুস্তাকীমের নিশানাসমগ্রকে। গ্রন্থের শুরুতে রাসূল এর আবির্ভাবের পূর্বে পৃথিবীতে বিরাজমান বিভিন্ন অবস্থা ও পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন। এবং রাসূল এর দাওয়াতের বিভিন্ন কৌশল ও পর্যায় ব্যাখ্যা হতে শুরু করে, বদর, ওহুদসহ বিভিন্ন যুদ্ধ এবং মক্কা বিজয়, বিদায় হজ্জ, রাসূল এর ওফাত পর্যন্ত সমস্ত ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনার পর রাসূল এর পরিবারের পরিচিতি, রাসূল এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও শারীরিক সৌন্দর্য বর্ণনার এক ব্যতিক্রমী উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে লেখক গ্রন্থটির ইটি টানেন।
৩। ফয়জুল কালাম (হাদিস ও সুন্নাত)
ফয়জুল কালাম কিতাবটি হলো বিষয় ভিত্তিকি একটি হাদীস সংকলনের বই। এখানে মুফতিয়ে আজম আল্লামা ফয়জুল্লাহ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ৯১৪ খানা হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন। হাদীসের এই কিতাবটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারনে ইহা কাওমি মাদরাসার পাঠ্য কিতাবের মর্যাদা পেয়েছে।মুফতি ফয়জুল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি রচিতে এটি একটি অমর গ্রন্থ ফয়জুল কালাম। কিতাবটির গ্রহণযোগ্যতা সর্বজন স্বীকৃত। হাদিসের বিষয় ভিত্তিক সংকলন এবং তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বইটির সৌন্দর্যকে অনেকখানি বৃদ্ধি করেছে। বইটিতে প্রতিটি হাদিসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ অংশে হাদিসের প্রতিটি অংশ পাঠককে বুঝিয়ে দিতে চেষ্টার কোন ত্রুটি করা হয়নি। লক্ষাধিক হাদিসের মধ্যে বাছাই করে এই হাদিসগুলোকে তিনি একত্র করেছেন যাতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এর দ্বারা সুফল লাভ করতে পারে।
৪। সচ্চরিত্রতা ও চারিত্রিক গুণাবলী
বইটি লিখেন শাইখ আব্দুল হামিদ আল ফাইযী আল-মাদানি। এ বইটিতে মূলত আদব ও আখলাক এবং চরিত্র বিষয়ে লিখা হয়েছে। আমাদের অনেকেরই দেখা যায় যে, ঈমান আছে এবং নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত সালাতও আদায় করে কিন্তু আচার ব্যবহারে কঠোর, রুঢ়তা, বদমেজাজ এবং গালাগাল মিশ্রিত হয়। যা মূলত ঈমানের দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে থাকে। মানব চরিত্রের বিভিন্ন দিক যেমনঃ বিনয়, উদারতা, তাক্বওয়া, সহিষ্ণুতা, ধৈর্য্যশীলতা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চারিত্রিক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের আচরণগত সমস্যা সংশোধনের মাধ্যমে পূর্ণ ঈমানদার হওয়ার জন্য এই বইটি আমাদের অবশ্যই পড়া উচিত। তাই সেরা ১০টি ইসলামিক বই এর মধ্যে বলা চলে এই বইটি।
৫। রিয়াদুস সালেহীন ১ম-৪র্থ খণ্ড (হাদিস ও সুন্নাত)
এই কিতাব সাধারণ মুসলমানের দীনী ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে আসছে বহুদিন থেকে। এই কিতাব আরব ও অনারব নির্বিশেষে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে দীনী শিক্ষালয়ের মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ঘরে, মজলিসে ও মসজিদে দীনী তা‘লীমের হালকায় এ কিতাবের সম্মিলিত পাঠ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই চালু আছে।
৬। প্যারেন্টিং
“প্যারেন্টিং” নিয়ে আমাদের সমাজে পিতা-মাতাগন কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজনই মনে করেন না। প্রত্যেক অবিবাহিত ছেলে মেয়েই ভাবে “প্যারেন্টিং বিষয়টা খুবই সহজ অথচ খোঁজ নিলে দেখা যায় প্যারেন্টিং নিয়ে রয়েছে যত সমস্যা। যারা নিজেদের চেয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত এবং সন্তানকে দুনিয়ার পাশাপাশি আখিরাতের জীবনেও নিরাপদ রাখতে চান মূলত তাদের জন্যই এই বইটি। বর্তমানের এই যুগ চাহিদাকে সামনে রেখে শিশুদের লালন পালনের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো একজন শিক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরার প্রয়াসেই এই বই লেখা।
৭। বেলা ফুরাবার আগে (আত্ম-উন্নয়ন)
বেলা ফুরাবার আগে বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয় একটি ইসলামিক বই। বাংলাদেশে ইসলামিক বইয়ের জগতে বর্তমানে জনপ্রিয় উদীয়মান একজন তরুণ লেখক এই আরিফ আজাদ। ‘বেলা ফুরাবার আগে’ বইটি আরিফ আজাদের লেখা। বইটির মূল কেন্দ্র চরিত্রে আছে যুবক শ্রেনী। যদিও লেখকের মতে, বেলা ফুরাবার আগে বইটি সকল শ্রেনীর মানুষের জন্যই গুরুত্বপূর্ন। এই ছোট জীবনে অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়া, ছোট ছোট দুঃখ কষ্টতেই সৃষ্টিকর্তাকে ভুলতে বসার মতো বিষয়গুলো নিয়ে লেখা হয়েছে এই বইটি। এছাড়াও নিজেকে ঢেলে সাজানোর পদ্ধতিও বাতলে দিয়েছেন এই বইটিতে।
৮। প্রোডাক্টিভ মুসলিম (আত্ম-উন্নয়ন)
প্রোডাক্টিভ মুসলিম মূলত একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে আত্মনির্মাণ,আত্ম-জাগরণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার নানা বিষয়। এতে রয়েচে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহারঃ আমাদের মেধা, সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার উন্নয়ন, ব্যক্তিগঠন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল ও পরিকল্পনা। ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের সংমিশ্রনে রচিত এই বইটিতে যে প্রোডাক্টিভ লাইফ-স্টাইলের মডেল তুলে ধরা হয়েছে তা একজন মানুষকে পৃথিবীর জীবনের সাফল্যের শেকড় ছুঁয়ে দিয়ে নিজেকে পরকালীন জীবনের শিখরে পৌঁছে দিতে এক আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে।
৯। তাফসীরে ইবনে কাছীর – ১ম খণ্ড (অনুবাদ ও তাফসীর)
রিয়াওয়াত ভিত্তিক এই তাফসীর বইটি সর্বাধিক উপকারী। তাফসীর ইবনে কাছীরের মূল বৈশিষ্ট্যি হল কুরআনের তাফসীর করতে কুরআনের ব্যাবহার করা হয়েছে। তারপর হাদীস এনেছে , তার পড় সাহাবীদের আছার, তারপর তাবেয়ীদের বক্তব্য এনেছেন। হাদীস বলার ক্ষেত্রে হাদীসের মান তুলে ধরা হয়েছে। এতে ফিকহি মাসালা নিয়েও মূলত আলোচনা করা হয়ছে । তাফসির ইবনে কাসির কালজয়ী মুহাদ্দিস মুফাসসির যুগশ্রেষ্ঠ মনিষী আল্লামা হাফিয ইবনু কাসীরের একনিষ্ঠ নিরলস সাধনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের অমৃত ফল এটি। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে, সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষায়তনের গ্রন্থাগারেও বইটি সুপরিচিত,সমাদৃত, বহুল পঠিত এবং হাদীস-সুন্নাহর আলোকে এক স্বতন্ত্র মর্জাদার অধিকার লাভ করেছে।
১০। তাসাউফ ও আত্নশুদ্ধি (আধ্যাত্মিকতা ও সুফিবাদ)
তাসাওউফ বা আত্মশুদ্ধি মুমিন জীবনের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আত্মিক উন্নতি ছাড়া মুমিন নিজেকে নফসের ধোঁকা থেকে, শয়তানের কবজা থেকে হেফাজত করতে পারে না। মুমিনের আত্মিক উন্নতির এই মাধ্যমই হচ্ছে ‘তাসাওউফ’ বা ‘আত্মশুদ্ধি’। নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে পারলেই একজন মানুষ মুমিন হিসেবে নিজেকে স্রষ্টার সামনে উপস্থাপন করতে পারবে। রবের পক্ষ থেকে মুক্তির আশা করতে পারবে। এছাড়া শয়তান এবং নফসের আধিপত্য তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবে। অন্তরের সেসব ব্যাধি এবং তার চিকিৎসা নিয়েই মূলত রচিত এ বইটি।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
সেরা ১০ টি ইসলামিক বই এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।
ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই কি?
কুরআন হল ইসলামের কেন্দ্রীয় ধর্মীয় গ্রন্থ। যা মুসলমানরা আল্লাহর কাছ থেকে একটি উপহার বলে বিশ্বাস করে। কুরআনকে অধ্যায়ে (সূরা) বিভক্ত করা হয়েছে যা পরে আয়াতে বিভক্ত করা হয়েছে (আয়া)। আল কোরআন হচ্ছে মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ বা বই যার রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহর হাতে।
ইসলামের বয়স কত বছর?
ইসলামের সঠিক বয়স নির্ধারন করা কঠিন। তবে অনেক ধর্মপ্রান সলমানরা বিশ্বাস করে যে ইসলাম ১৪০০ শত বছর আগে আরবের মক্কায় প্রকাশিত হয়েছিল। ইসলামের নিয়ম-কানুন অনুসারীদের বলা হয় মুসলমান। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে একমাত্র আল্লাহ তাদের সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিকর্তার আরবি শব্দ হল আল্লাহ।
উপসংহার
একজন মুমিনের কিশোর এবং যৌবনের সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারন যেকোনো মানুষ এই বয়সেই নফসের কারণে অসংখ্য পাপে জড়িয়ে পড়ে। তাই কিশোর ও যুবকদের নিজেদেরে এই বয়সে নফসকে নিয়ন্ত্রণ করা একটি ইমানি দায়িত্ব। গোপন পাপ মানুষকে ধ্বংস করে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করে জাহান্নামে নিয়ে যায়। আল্লাহর কাছে যৌবনের ইবাদতই সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্যতা পায়। তাই যুবকদের যৌবন সম্পর্কে বেশী সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। সতর্কতার প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে যুবকদের জন্য বেশি বেশি বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক বই পড়া।
কোরআন এবং বিশুদ্ধ ও গ্রহনযোগ্য মানের হাদিস হলো ওহী। তাই কোরআন এবং বিশুদ্ধ হাদিস থেকে যে শিক্ষা পাওয়া যায় সেটাই হলো আসল শিক্ষা। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক বই রয়েছে। কিন্তু কোরআন এবং সুন্নাহর বিশুদ্ধ তথ্য এবং ব্যাখ্যাভিত্তিক বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। যে ইসলামিক বই পড়ার মাধ্যমে আপনি সঠিক ইসলাম কে জানতে ও বুঝতে পারবেন এবং ওহীর জ্ঞানে আলোকিত হতে পারবেন এমন সেরা ১০ টি ইসলামিক বই অবশ্যই সংগ্রহ করে আমাদের পড়া উচিত। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে ডিগ্রি ১ম বর্ষের বইয়ের তালিকা সম্পর্কে পড়তে পারেন।
“সেরা ১০ টি ইসলামিক বই” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।