উন্নত জাতের ঘাসের নাম মাঝে মধ্যেই খামারিরা জানতে চায়। গবাদিপশুর দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রধান উপাদানই হলো কাঁচা ঘাস। প্রবাদ আছে গাভীর মুখে দিলে ঘাস দুধ পাবে বারো মাস। গবাদিপশুর স্বাস্থ্য রক্ষা, দুধ উৎপাদন ও শরীর বৃদ্ধির জন্য ঘাস গুরুত্বপূর্ণ। দেশি ঘাসের উৎপাদনও কম হয়, তাই উন্নত জাতের অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন ঘাসের চাষ করা এখন সময়ের দাবি। আগেকার দিনে বিশাল আয়তনের প্রাকৃতিক চারণভূমি সে প্রয়োজনীয়তা মেটাত। সময়ের ব্যবধানে বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন খামারে ঝুঁকছেন খারারিরা। সেজন্য গবাদি পশুপালন করতে ঘাস চাষ করার অত্যাবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। উন্নত ঘাসের কারণে এক দশকে মাংস ও দুধের উৎপাদন বেড়েছে বহুগুনে। এখন অধিক গবাদিপশু, চারণভূমির পরিমান কমে যাওয়া, বানিজ্যিকভাবে পশুপালনে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারনে গোখাদ্যের সকল ধরনের খাবারের দাম বহুগুনে বেড়ে গেছে। যা খামারীদের পক্ষে লাভজনক ব্যবসায়ের পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে উন্নত জাতের কাঁচা ঘাস চাষের চাহিদা বেড়ে গেছে।
ঘাস কাকে বলে?
ঘাস বা তৃণ এটি আমাদের সকলের কাছে পরিচিত একাট শব্দ যা একধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদকে বোঝায়। বিভিন্ন ধরনের ফসল যেমন ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি ঘাস বা তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ। এমনকি বাঁশও ঘাস গোত্রভুক্ত উদ্ভিদ। বর্তমানে ঘাসের বাজারদর এবং এর চাহিদা ব্যাপক। এক একর জমিতে ধান চাষ করে যে লাভ পাওয়া যায়, ঘাস চাষ করলে তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেশী লাভ পাওয়া যাবে। কাঁচাঘাসে এক ধরণের পদার্থ আছে যা পশুর প্রজননতন্ত্র সক্রিয় করে এবং গাভীর গর্ভধারণ করা সহজ করে। যার ফলে গাভী সুস্থ সবল বাচ্চা জন্ম দিবে। তাছাড়া কাঁচা ঘাসে খাদ্যের পুষ্টিগুনও থাকে প্রচুর পরিমানে যা গোবাদিপশুর দেহ গঠনসহ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পৃৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা প্রকারের ঘাস চাষ হয়ে থাকে । পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘাসের নাম হলো বাঁশ ঘাস। ঘাসে রয়েছে নানা ধরনে ভিটামিন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, প্রো-ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ই এ, এবং বি-12 এর পাশাপাশি ফলিক অ্যাসিড এবং পাইরিডক্সিন এই খাবারে পাওয়া যায়। ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম,ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ পদার্থও রয়েছে।
উন্নত জাতের ঘাসের নাম
পশুপালনপ্রিয় মানুষরা অর্থ আয়ে যেমন তৎপর তেমনি পশুর খাদ্য উৎপাদনেও সোচ্চার। দেশীয় খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ঝুঁকে পড়েছে উন্নত জাতের ঘাস উৎপাদনের দিকে। অনেকের কাছেই প্রায় শোনা যায় এখন ধান চাষের চেয়ে নাকি ঘাস চাষ বেশি লাভজনক। তার উপর একই জমিতে একবার চাষ করে বার বার ঘাস পাওয়া যায় যা একদিকে যেমন সময়সাপেক্ষ অন্যদিকে সাশ্রয়ী। নিচে কিছু উন্নত জাতের ঘাসের নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরন উল্লেখ করা হলো।
১। ন্যাপিয়ার
নেপিয়ার ঘাস একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ এর অন্তর্ভূক্ত। নেপিয়ার ঘাস গরুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এই ঘাসে খাবারের ছয়টি উপাদানের সুষম চাহিদা পূরণ করে থাকে। অন্যান্য দানাদার খাবার গরুকে বেশি খাওয়ালে তাতে সব খাদ্যগুণ তেমন পাওয়া যায় না। অন্যদিকে খাদ্য হিসেবে শুধু ঘাস দিলে গরুর পরিপাকব্যবস্থা ভালো থাকে। এ জাতের ঘাস রোপণের এক থেকে দুই মাসের মাথায় কাটার মত উপযোগী হয়ে যায়। দ্বিতীয় ধাপে একই গোছা (গোড়া) থেকে পুনরায় চারা গজায়। সে ক্ষেত্রে দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ঘাস কাটার উপযোগী হয়। একটি গোছা থেকে ১২ থেকে ১৫ কেজি ঘাস পাওয়া যায়। একটি বড় গরুর জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ কেজির মত ঘাস প্রয়োজন হয়। একবার বীজ বুনলে বা চারা রোপণ করলে কয়েক বছর অনবরত ঘাস পাওয়া যায়। এই জাতের ঘাস ৪১ দিনে পাঁচ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়।
২। নেপিয়ার পাকচং-১
নেপিয়ার পাকচং একটি হাইব্রীড, দ্রুত বর্ধনশীল এবং উচ্চ ফলন সম্পন্ন ঘাস। এটি গবাদিপশুর জন্য অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্বৃদ্ধ সুস্বাদু ও মিষ্টি প্রকৃতির একটি ঘাস। সাধারণ নেপিয়ার ঘাসে যেখানে মাত্র ৮-১২% ক্রুড প্রোটিন থাকে সেখানে নেপিয়ার পাকচং ঘাসে ১৬-১৮% পর্যন্ত ক্রুড প্রোটিন পাওয়া যায়। নেপিয়ার পাকচং ঘাসে আছে শুস্ক পদার্থ ২৫% ,প্রোটিন ১৬% , ফ্যাট ১% , ফাইবার ২৭% এবং মোটাবলিক এনার্জি ২ মেগাজুল বা কেজি। থাইল্যান্ডের পাকচং এলাকার একদল গবেষক আফ্রিকান নেপিয়ার ঘাসের সাথে মুক্তা বাজরা ঘাসের টিস্যূ কালচার করে এই বিশেষ উচ্চ ফলনশীল জাতের ঘাস উদ্ভাবন করেন।
৩। আলফা আলফা
আলফা আলফা ঠিক তেমনই একটি উৎকৃষ্ট মানের উচ্চফলনশীল ঘাস। এ ঘাসকে পশু খাদ্যের “রাণি” হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আলফা আলফা ঘাসের অপর নাম লুছার্ন। ইহা একপ্রকার লিগুম জাতীয় ঘাস। একবার চাষ করলে ৪ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ঘাস সংগ্রহ করা যায়। এ ঘাসের উৎপত্তি পশ্চিম এশিয়াতে। তবে ইরানে প্রথম চাষ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই চাষ করা হয়ে থাকে। তবে আর্জেন্টিনা, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে এই ঘাস বেশি উৎপাদিত হয়। এ ঘাস অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। এই ঘাসের বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে থাকে। শীতকালের যে কোন সময় বপন করা যায়। তবে অক্টোবর জানুয়ারি হলো বপনের উত্তম সময়।
৪। জার্মন ঘাস
এটিও নেপিয়ার ঘাসের মত বহু বর্ষজীবী ঘাস এর অন্তর্ভূক্ত। এই ঘাস একবার রোপন করলে ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত একটানা ঘাস পাওয়া যায়। এই ঘাসের উৎপাদন খরচ খুবই কম। গরু,ছাগল, ভেড়া, মহিষ সহ সকল তৃণ ভোজি প্রাণির জন্য এই ঘাস খুবই উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য। এই ঘাস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিতি পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও পানামা দেশে এটি জার্মান ঘাস নামে পরিচিত হলেও উত্তর আমেরিকা তে এটিকে রিভার গ্রাস বলে থাকে। ইংল্যান্ডে এটি কে ওয়াটার বার্মুুডা বলে থাকে। স্পেনেেএই ঘাসের নাম পাঁজা পেলু সোহা। জার্মন ঘাস অনেকটা লতা জাতীয় ঘাসের মত দেখতে হয়। এই ঘাস উঁচু, নিচু, ঢালু, জলাবদ্ধ, স্যাঁতস্যাঁতে এবং ফসল হয় না বা পতিতি জমিতেও চাষ করা যায়। গোবর সার বা গোয়াল ঘর পরিষ্কার করা পানি দিয়ে জার্মান ঘাস চাষ পদ্ধতি বেশ জনপ্রীয় হয়ে উঠেছে। গোবর সার বা গোয়াল ঘর পরিষ্কার করা পানি দিয়ে জার্মান ঘাস চাষ পদ্ধতি বেশ জনপ্রীয়। এই পদ্ধতিতে তেমন কোন সারের প্র্রয়োজন হয় না।
৫। বীজ ঘর-১ দূর্বা ঘাস।
রাস্তার ধারে,পুকুর পাড়, বেড়িবাঁধ ও বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি ধরে রাখার জন্য খুবই উপযোগী এই জাতের দূর্বা ঘাস। দূর্বা ঘাসের বৈজ্ঞানিক অথবা উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Cynodon dactylon. দূর্বা ঘাস বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়ে থাকে। যেমন ডগ’স টুথ গ্র্যাস, বাহামা গ্র্যাস, ডেভিল’স গ্র্যাস, কোচ গ্র্যাস, ধুব, বারমুডা গ্র্যাস, দুবো, ইন্ডিয়ান দোয়াব, আরুগাম্পুল, গ্রামা, উইয়্যারগ্র্যাস এবং স্কুট্স গ্র্যাস৷উচ্চ ফলনশীল এই জাতের দূর্বা ঘাস অধিক ফলনশীল। সাধারণত দূর্বা ঘাস দীর্ঘদিন কঠিন বা প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে। মাটিতে হেলে দুলেই বড় হয়ে থাকে। দূর্বা ঘাসে জাদুকরী ভেষজ গুণ বিদ্যমান থাকে। আয়ুর্বেদীয় মতে দূর্বা ঘাস মহৌষধ হিসাবে কাজ করে। দূর্বাঘাস সাধারণত বহুবর্ষজীবী জাতীয় ঘাস। এই ঘাসটি ১০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। দূর্বা অনেকটা খরা সহনশীল জাতীয় ঘাস। অতিরিক্ত পানি ও ছায়া উভয়ই দূর্বা ঘাসের জন্য ক্ষতিকর।
৬। রেড নেপিয়ার ঘাস
লাল নেপিয়ার ঘাসের গুনাগুন হচ্ছে এই ঘাসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন পাওয়া যায়। যার কারণে গাভীর দুধ বেশী পরিমাণে পাওয়া যায়। লাল নেপিয়ার ঘাস দুই মাস পরপরই কেটে বিক্রি করা যায়। এক বিঘা জমিতে ২০০ থেকে ৩০০ মন পর্যন্ত ঘাস পাওয়া যায়। লাল নেপিয়ার হল একটি বহু-কাট হাইব্রিড সবুজ ফডার জাতীয় ঘাস যা ছাগল, গরু, মহিষ, ভেড়া, শূকর, হাঁস-মুরগির মতো প্রাণীর খাবারের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি স্টার্চ, প্রোটিন এবং ভোজ্য তেলের মূল উৎস। রেড নেপিয়ার ভাল মানের গুল্মজাতীয় পশুখাদ্য উৎপাদন করে এবং অত্যন্ত মজাদার। দুগ্ধপোষ্যদের পর্যাপ্ত পরিমাণে লাল নেপিয়ার খাদ্য সরবরাহ করলে পশুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে।
৭। লাল পাকচং-১
লাল পাকচং বা রঙিন নেপিয়ারে ক্রুড প্রোটিনের পরিমাণ ১৫.৭৩% থাকে। এই ঘাস একর প্রতি উৎপাদন হয় প্রায় ১০ থেকে ১২ টন। অধিক প্রোটিন ও উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় এই ঘাস বিশেষ করে খামারিদের কাছে বেমি জনপ্রিয়। সুপার নেপিয়ার ঘাস বা পাকচং ঘাস একটি হাইব্রিড, দ্রুত বর্ধনশীল এবং উচ্চ ফলনশীল বহুবর্ষজীবী জাতীয় ঘাস। এই ঘাস গরু ও ছাগল উভয়ের জন্যই একটি চমৎকার ঘাস। এটি খুবই পুষ্টিকর উপাদান সম্বৃদ্ধ ঘাস। সাধারণ নেপিয়ার ঘাসে 8 থেকে 10% প্রোটিন থাকে যেখানে পাকচং ঘাস বা সুপার নেপিয়ার ঘাসে 17 থেকে 18% অপরিশোধিত প্রোটিন পাওয়া যায়।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
উন্নত জাতের ঘাসের নাম এই বিষয়ে আপনাদের মনে বেশ কিছু পশ্ন থাকতে পারে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও তার উত্তর।
বর্তমানে উচ্চফলনশীল ঘাস উৎপাদনের প্রয়োজন কি?
অতীতে আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবেই চারণভূমি ছিল যেখানে গরু বাছুর অনায়াসেই চড়ানো যেতো। বর্তমানে চারণভূমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্ধিত হারে দুধ ও মাংস উৎপাদনের স্বার্থে গবাদি পশুপালনের প্রয়োজনের তাগিদেই উচ্চফলনশীল আধুনিক সবুজ ঘাসের আবাদ করা প্রয়োজন।
আমাদের দেশে বর্তমানে কি কি বহুবর্ষী ঘাস উৎপাদন করা যায়?
আমাদের দেশে বর্তমানে সরকারী এবং বেসরকারী পর্যায়ে নেপিয়ার, এন্ড্রোপোগন, স্প্লেনডিডা, রোজা, সিগনাল, জাম্বু, পারা ইত্যাদি জাতের ঘাস চাষাবাদ করা হচ্ছে। একদিকে অতিরিক্ত খাদ্যের যোগান দিচ্ছে অন্যদিকে পশুখাদ্যের পুষ্টির অভাব পূরন করছে।
উপসংহার
উপরোক্ত আলোচনা থেকে উন্নত জাতের ঘাসের নাম সমূহ আমরা জানলাম। কাঁচাঘাসে থাকে অধিক পরিমাণে ভিটামিন। যার কারনে গাভীকে বেশি বেশি কাঁচাঘাস খাওয়ালে অধিক দুধ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মাঠেঘাটে অনেক কাঁচাঘাস জন্মাতে দেখা যায়। আবার নিজেদের পতিত জায়গাজমিতেও কৃত্রিম ঘাস পাওয়া যায় যার খরচ খুবই কম। তাই গবাদিপশুকে ঘাস খাওয়ালে অন্যান্য খাদ্য খরচ তুলনামূলক কমে যাবে। আধুনিক পশু পালনের জন্য মোট ব্যবস্থাপনা খরচের প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ খাদ্য খাতে খরচ হয়ে থাকে। পশু পালনের সর্বক্ষেত্রেই লাভ-লোকসান নির্ভর করে অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যের খাদ্য সরবরাহের উপর।
পশুর দৈহিক বৃ্দ্ধি এবং আশানুরূপ দুধ-মাংস উৎপাদনের প্রয়াসেও রসালো খাদ্য সামগ্রীর গুরুত্বও অনেক। বছর ব্যাপী এই ফডার খাদ্য সামগ্রী (পুষ্টিকর কাঁচা ঘাস) সব ঋতুতে সম পরিমানে উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। ঘাস উৎপাদন ছাড়াও ক্রমাগত হ্রাসকৃত চারণ ভূমির প্রাকৃতিক ঘাস খাইয়ে পশুর পুষ্টি চাহিদা মেটানোও সম্ভব হয় না। যার কারণে অধিক ফলনশীল দেশী ও বিদেশী উন্নত ঘাস চাষের প্রচলন শুরু হয়েছে। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে উন্নত জাতের ভুট্টার নাম সম্পর্কে পড়তে পারেন।
“উন্নত জাতের ঘাসের নাম” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।