Skip to content
Home » সততা সম্পর্কে ১০টি বাক্য

সততা সম্পর্কে ১০টি বাক্য

10 Sentences About Honesty

সততা সম্পর্কে ১০টি বাক্য আজকের এই অসাধুতার যুগে এসে আমাদের সকলের চিন্তাকে করবে পরিপূর্ণ, চরিত্রকে করবে ফুলের মতো পবিত্র এবং সমাজকে করবে অন্যায়, অত্যাচারমুক্ত শান্তির স্থান। মূলত সততার বিশেষ্য পদ হলো সাধুতা। কেউ সততা দেখালে, প্রকাশ করলে কিংবা মেনে চললে তা হয়ে উঠে সাধুতার অংশ। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে সততা নিয়ে চর্চা করা মানেই সময় অপচয়ের উপায় খুঁজে নেওয়া। অথচ এই সততার সাথেই সমাজের প্রতিটি বিষয় জড়িত। হতে পারে তা অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়। 

বর্তমানে মিথ্যা বলাটা অনেকের জন্য ফ্যাশন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অসৎ কার্যকলারের পরিমাণ হু হু করে বেড়ে চলেছে। জীবনের বাঁকে বাঁকে আমরা কত মিথ্যার সাহায্যে যে কত অসৎ কাজে সাপোর্ট করে চলেছি তার কোনো ইয়ত্তা নেই। আবার অন্যদিকে এর দ্বারা গোটা সমাজ অশান্তি, রিজিকের সংকীর্ণতার মধ্যে নিপতিত হলে শেষে গিয়ে আমরাই পড়ছি বিপাকে। অফিসার কিংবা কর্মী, শিক্ষক বা ছাত্র, ধনী হোক বা গরিব, পিতামাতা হোক বা সন্তান আমাদের পরিচয় যেটিই হোক, আমাদের প্রত্যেককেই নিজেদের সকল কর্মকান্ডের ব্যাপারে সৎ থাকতে হবে।

সততার পরিচিতি কি? 

সততা হলো ৩ অক্ষরের একটি অর্থবহ শব্দ। যার দ্বারা সমাজের সামগ্রিক ন্যায়, ভালো দিক এবং ইতিবাচক পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়ে থাকে। মানবজীবনে এই সততা বিশেষ ও শ্রেষ্ঠ গুণ হিসাবে কাজ করে থাকে। যার মাঝে এই বিশেষ গুণ থাকে তাকে বলা হয় সৎ। বলে রাখা ভালো কেবল সৎ ব্যাক্তিদের সহায়তাই পুরো সমাজ পাল্টে দেওয়া সম্ভব। কারণ সমাজের বিভিন্ন অগ্রগতি মূলত থেমে থাকে এর মধ্যকার অন্যায়, অনিয়মের কারণে। ইমান ও ইসলামের পূর্ণতা দান করতেও সততা প্রয়োজন। মোটকথা যেখানে সততা আছে সেখানে প্রশান্তি এবং পূর্ণতা আনয়ন সম্পূর্ণরূপে সম্ভব। তাছাড়া মনুষ্যত্ব্যের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে এই সততা। মনে রাখবেন কোনো সমাজ দুর্নীতিগ্রস্থ হলে এর পেছনে সততার অভাববোধকে প্রাধান্য দিতে হবে। অন্যদিকে বৈষয়িকভাবে দরিদ্র থাকলেও তার দ্বারা অন্ততপক্ষে সমাজের কোনো ক্ষতি সাধিত হবে না। সে যাইহোক। নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে আমাদের সৎ থাকতে হলে নিয়ম ভেঙে কিছু সুবিধা ভোগ করার লোভ ছাড়তে হবে, অযোগ্য ব্যাক্তি হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠার ইচ্ছাকে মাড়াতে হবে, মিছে সম্মান নষ্ট হবার ভয়ে মিথ্যে কথা বলার অভ্যাসকে বিদায় জানাতে হবে। 

সততা সম্পর্কে ১০টি বাক্য 

সততা সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানা থাকলে যেকোনো প্রতিযোগিতা কিংবা পরীক্ষায় এগিয়ে থাকা যায়। সৎ লোকের জীবনবোধ অসৎ লোকের জীবনবোধের মাঝে পার্থক্যটুকু ধরতে প্রয়োজন সততা সম্পর্কে সঠিক ধারণা। কারণ এই যুগে এসেও আমাদের সততাকেই সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসাবে ধরে নিতে হবে। তাছাড়া মাথায় রাখতে হবে সমাজে সুখ ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়োজন সততার শিক্ষা, প্রয়োগ এবং চর্চা। সততা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য হলো: 

  1. সৎ লোকেরা হয়তো সংজ্ঞবদ্ধ থাকতে পারে না, তবে অসৎ লোকেরা সবসময় সংজ্ঞবদ্ধ থাকে। 
  2. জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ লেগে থাকার পেছনে অসৎ কার্যক্রমই দায়ী। যা নির্মুল করতে পারলে দ্রুত সমাজ পরিবর্তন সহজ হয়ে যাবে। 
  3. মহান স্রষ্টা দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেন, যারা নিজেদের জীবনে সবসময় সৎ থাকতে পছন্দ করে এবং সক্ষম হয়। 
  4. ইমান ও ইসলামের পূর্ণতা দান করার পেছনে সততার গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। 
  5. যেকোনো শ্রেণী পেশার মানুষ অর্থ্যাৎ সকল রাজনীতিবিদ, বিচারক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকতা, ব্যবসায়ী, কৃষিজীবী, পেশাজীবী, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবীর উচিত নিজ নিজ ক্ষেত্রে সর্বদা সৎ থাকা।
  6. নৈতিকতাকে সর্বদা নীতির বাহ্যিক রূপ হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। যা সৎ থাকার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ গুণ হিসাবে কাজ করে। 
  7. সততার কাজ হলো মানবের চিন্তাচেতনায়, বিবেকে, মগজে এবং সমাজে নৈতিকতাকে জিতিয়ে দেওয়া। 
  8. আমাদের ভেতরকার লালনকৃত নীতি-নৈতিকতাকে স্বীকৃতি দানে প্রয়োজন সততা। 
  9. ব্যক্তির আচার-আচরণে, কাজকর্মে যদি সততা প্রকাশ না পায় তবে সততার কোনো মূল্যই থাকে না। 
  10. প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য জীবনে সততাকে গুরুত্ব দিয়ে নৈতিকতার পতাকা উড়াতে সাহায্য করা। 

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ

সততা সম্পর্কে ১০টি বাক্য এ সম্পর্কে জানার পরও নিশ্চয় আরও কিছু প্রশ্ন হয়তো আপনার মনে উঁকি দিচ্ছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল প্রশ্ন এবং উত্তরসমূহ-

সততা কাকে বলে?

এককথায় সততা হলো নৈতিক নীতি। এই সততা ব্যক্তিচরিত্রের আরোপিত একটি বিশেষ গুণ। এই গুণের অস্তিত্ব থাকে চিন্তায় ও মননে। অন্যদিকে কারো মানসিক বা নৈতিক চরিত্র খারাপ হলে তাকে অসৎ ব্যাক্তি বলা হয়। আর উক্ত ব্যাক্তির মাঝে থাকা অনৈতিকতার গুণকে অসৎ গুণ বলা হয়ে থাকে। মোটকথা কোনো ব্যাক্তির মাঝে নৈতিক চরিত্র ভালো হলে তার মাঝে সততা কাজ করে এবং এর কারণেই তাকে সৎ ব্যাক্তি বলা যায়। 

সততা কেন প্রয়োজন?

মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ গুণ হিসাবে সমাজকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চালিয়ে নিতে প্রয়োজন সৎ ব্যাক্তির এবং সততার মতো শ্রেষ্ঠ গুণের। তাছাড়া নিরাপত্তা, সুখ-শান্তি, উন্নতির ভিত্তি হলো সততা এবং সৎ মানুষ। মোটকথা সমাজ পরিবর্তনে, দেশের দূর্নীতি দমনে মানবচরিত্রের শ্রেষ্ঠ গুণ হিসাবে সততার ভুমিকা অপরিসীম। 

উপসংহার

সততার প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব বুঝতে কেবল সততা সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানাটাই যথেষ্ট নয়। বরং এই গুণটিকে আমাদের বাস্তবজীবনে চর্চা করতে হবে। আমাদের প্রতিটি কথায় এবং কাজে সততার আলো ছড়াতে হবে। যেহেতু সততা একক কোনো গুণ নয়, সেহেতু বিভিন্ন কাজকর্মে বিভিন্নভাবে এই সততার পরিচয় দিতে হবে। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে ফুলের নাম বাংলা ও ইংরেজী এ সম্পর্কে পড়তে পারেন।

প্রিয় পাঠক, ‘সততা সম্পর্কে ১০টি বাক্য‘ পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। নিজে সৎ উপায়ে জীবন যাপন করুন এবং অন্যকে সৎ হতে উৎসাহিত করুন। তবেই কেবল মানবসমাজের নিরাপত্তা, সুখ-শান্তি এবং উন্নতির ভিত্তি তৈরি হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *