Skip to content
Home » কিশোরগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত

কিশোরগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত

What Is Kishoreganj Famous For

কিশোরগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত তার বিস্তারিত তথ্য থাকছে আমাদের আজকের পোস্টে। সুতরাং আপনি যদি কিসোরগঞ্জ বিখ্যাত হওয়ার কারণ না জেনে থাকেন তবে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পুরো পোস্টটি পড়ে নিন। বাংলাদেশের মধ্যে বিখ্যাত সবকিছুর দিক থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা অন্যতম। এই জেলা হাওর অঞ্চল, খাবার, দর্শনীয় স্থান ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের জন্য বিশেষভাবে খ্যাত।

কিশোরগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত

কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি জেলা। এটি ঢাকা বিভাগের একটি অংশ। কিশোরগঞ্জ জেলার মোট আয়তন ২৬৮৮.৫৯ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৩৭ লক্ষ। অনেকের মতে কিশোরগঞ্জকে হাওরের রাজধানী বলা হয়। বেশি কথা না বাড়িয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত তা বিস্তারিত জেনে নিন।

কিশোরগঞ্জ জেলার নামকরণ ও ইতিহাস

এ পর্যায়ে আমরা কিশোরগঞ্জ জেলার নামকরণ ও ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। তো প্রিয় পাঠক সাথেই থাকুন।

কিশোরগঞ্জ জেলার নামকরণ

কিশোরগঞ্জ জেলার নামকরণের উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত মত হল, এই জেলার নামকরণ হয়েছে নন্দকিশোর প্রামাণিকের নামানুসারে। ষষ্ঠ শতকে বত্রিশের বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। এই গঞ্জটিই পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। অন্য একটি মত হল, এই জেলার নামকরণ হয়েছে “কিশোর” শব্দ থেকে। “কিশোর” শব্দের অর্থ হল যুবক। এই অঞ্চলটি প্রাচীনকাল থেকেই যুবকদের একটি জনপ্রিয় আবাসস্থল ছিল। তাই এই অঞ্চলের নাম রাখা হয় “কিশোরগঞ্জ”।

কিশোরগঞ্জের ইতিহাস

কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সুপ্রাচীন। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই একটি সুগঠিত গোষ্ঠী বসবাস করত। একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে পাল, বর্মণ ও সেন শাসকরা এ অঞ্চলে রাজত্ব করে। তাদের পর ছোট ছোট স্বাধীন গোত্র কোচ, হাজং, গারো এবং রাজবংশীরা এখানে বসবাস করে। ১৪৯১ সালে ময়মনসিংহের অধিকাংশ অঞ্চল ফিরোজ শাহ-এর অধীনে থাকলেও কিশোরগঞ্জ সেই মুসলিম শাসনের বাইরে রয়ে যায়। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা জয় করে। ১৭৬৬ সালে কিশোরগঞ্জকে ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত করা হয়। ১৮৩১ সালে কিশোরগঞ্জকে একটি মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে কিশোরগঞ্জকে একটি জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কিশোরগঞ্জের মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে অনেক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ মুক্ত হয়।

বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা

কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা। এটি একটি নদীমাতৃক জেলা। ব্রহ্মপুত্র, সুরমা, কালভার ও ভৈরব নদী জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলার আয়তন ২৬৮৮.৫৯ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে নরসিংদী জেলা এবং দক্ষিণ-পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা, গাজীপুর জেলা। পশ্চিমে ভারতের আসাম প্রদেশ। কিশোরগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। এ জেলায় প্রধানত মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী লোক বাস করে। কিশোরগঞ্জ জেলার প্রধান প্রধান শহরগুলি হল কিশোরগঞ্জ সদর, ভৈরব, বাজিতপুর, হোসেনপুর, কটিয়াদি, মিঠামইন, ইটনা, নিকলী, করিমগঞ্জ ও বাজিতপুর। কিশোরগঞ্জ জেলার প্রধান প্রধান শিল্পগুলি হল খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চামড়াজাত পণ্য, পোশাক শিল্প, কৃষি যন্ত্রপাতি, সিমেন্ট, ওষুধ ও রাসায়নিক শিল্প। কিশোরগঞ্জ জেলার প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলি হল ধান, পাট, রসুন, আলু, গম, চা, মাছ, মাংস ও মধু।

কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ

কিশোরগঞ্জের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন:

  • কবি দ্বিজ বংশীদাস, মনসামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা।
  • উপেন্দ্র কিশোর রায়, শিশু সাহিত্যিক।
  • সুকুমার রায়, শিশু সাহিত্যিক।
  • মনির উদ্দীন ইউসুফ, বিখ্যাত ফার্সীগ্রন্থ শাহনামা অনুবাদক।
  • অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক, নিরোদ চন্দ্র চৌধুরী – বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।
  • শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্টপতি ছিলেন।
  • মরহুম হামি উদ্দিন আহমেদ (খানসাহেব) – সাবেক পূর্ব পাকিস্থানের প্রথম কৃষিমন্ত্রী। ঢাকা, ময়মনসিংহ বাসরোড প্রতিষ্ঠাতা। কিশোরগঞ্জের ভাটি অঞ্চলে সেচপ্রথা প্রচলনকারী – বোয়ালিয়া, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ।
  • মরহুম জিল্লুর রহমান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রায় ৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন – ভৈরব, কিশোরগঞ্জ।
  • মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব এডভোকেট আব্দুল হামিদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার – মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ।
  • কেদারনাথ মজুমদার, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ।
  • ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ও বিপ্লবী মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী।

এছাড়াও, কিশোরগঞ্জের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলার বিখ্যাত খাবার

বন্ধুরা এতক্ষণে নিশ্চয় কিশোরগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এখন চলুন এই জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জেনে নিই।

চ্যাপা 

চ্যাপা হল একটি মুখরোচক খাবার যা কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে পরিচিত। চ্যাপা তৈরি করা হয় শুঁটকি, চালের গুঁড়ো, ময়দা, মসলা ও লবণ দিয়ে। চ্যাপাকে সাধারণত ভাজা বা ভেজে খাওয়া হয়।

মালাইকারি

মালাইকারি হল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা কিশোরগঞ্জের জনপ্রিয় খাবার। মালাইকারি তৈরি করা হয় মাছ, মালাই, মসলা ও লবণ দিয়ে। মালাইকারিকে সাধারণত ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়।

মৈশালি

মৈশালি হল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা কিশোরগঞ্জের জনপ্রিয় খাবার। এটি তৈরি করা হয় আলু, ডাল, সবজি, মাছ, মাংস, মসলা ও লবণ দিয়ে। মৈশালিকে সাধারণত ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়।

কিশোরগঞ্জের পনির

কিশোরগঞ্জের পনির হল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে পরিচিত। কিশোরগঞ্জের পনির তৈরি করা হয় গরু ও মহিষের দুধ দিয়ে। কিশোরগঞ্জের পনিরকে সাধারণত ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়।

কিশোরগঞ্জের রসগোল্লা

কিশোরগঞ্জের রসগোল্লা হল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে পরিচিত। কিশোরগঞ্জের রসগোল্লা তৈরি করা হয় ছানা, চিনি, দুধ ও মসলা দিয়ে। কিশোরগঞ্জের রসগোল্লাকে সাধারণত মিষ্টি হিসেবে পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও, কিশোরগঞ্জ জেলায় আরও অনেক বিখ্যাত খাবার রয়েছে, যেমন: কিশোরগঞ্জের মাংসের ঝোল, মাছের ঝোল, মিষ্টি ও কিশোরগঞ্জের ফলমূল। কিশোরগঞ্জ জেলার খাবারগুলির স্বাদ ও গুণমানের জন্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম রয়েছে।

কিশোরগঞ্জের দর্শনীয় স্থানসমূহ

কিশোরগঞ্জ একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এটি হাওর অঞ্চলের জন্য বিখ্যাত। কিশোরগঞ্জে ছোট বড় প্রায় ১২২ টি হাওর রয়েছে। কিশোরগঞ্জে উৎপাদিত ধানের এক পঞ্চমাংশ আসে এই হাওর অঞ্চল থেকে। কিশোরগঞ্জের দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

জঙ্গলবাড়ি দুর্গ

এটি বাংলার বারো ভুঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর বাসস্থান ছিল। এই বাসস্থানটি অতি প্রাচীন হলেও অনেকের মন জয় করে নিয়েছে।

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান

এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান। এখানে একসাথে কয়েক লক্ষ মানুষ একত্রে নামাজ পড়তে পারেন।

শহীদী মসজিদ

এটি ১৭৮৮ সালে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। মসজিদটি অতি প্রাচীন, এখানে একসাথে অনেক সংখ্যক মুসল্লি নামাজ আদায় করতেন এবং অদ্যবধি করছেন।

চন্দ্রাবতী মন্দির

এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর স্মরণে নির্মিত একটি মন্দির। এটি হিন্দুদের প্রার্থনার জন্য একটি প্রাচীন নিদর্শণ।

নরসুন্দা লেকসিটি

এটি কিশোরগঞ্জ শহরের একটি মনোরম লেক। জনপ্রিয় এই লেকটি দেখার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান।

শেখ মাহমুদ শাহ মসজিদ

এটি ১৬০০ সালে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।  এই মসজিদটি মুসল্লিদের জন্য প্রার্থনার এক অনন্য স্থান।

কিশোরগঞ্জ জেলার বিখ্যাত হাওর

আপনি জেনে খুশি হবেন কিশোরগঞ্জ জেলা হাওর অঞ্চলের জন্য বিখ্যাত। জেলার মোট আয়তনের প্রায় অর্ধেকই হাওর। কিশোরগঞ্জ জেলার বিখ্যাত হাওরগুলি হল:

হাকালুকি হাওর

হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর। এটি কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার সীমান্তে অবস্থিত। হাকালুকি হাওরের আয়তন প্রায় ২০,৪০০ হেক্টর। হাকালুকি হাওরে প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

টাঙ্গুয়ার হাওর

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাওর। এটি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। টাঙ্গুয়ার হাওরের আয়তন প্রায় ৯,৭২৭ হেক্টর। টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ৬০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

ইটনা হাওর

ইটনা হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় অবস্থিত। ইটনা হাওরের আয়তন প্রায় ৫০৩ বর্গ কিলোমিটার। ইটনা হাওরে প্রায় ৫০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

নিকলী হাওর

নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলায় অবস্থিত। নিকলী হাওরের আয়তন প্রায় ২১৪.৪০ বর্গকিলোমিটার। নিকলী হাওরে প্রায় ৪০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

ধনপুর হাওর

ধনপুর হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় অবস্থিত। ধনপুর হাওরের আয়তন প্রায় ৫৮.০০ কিলোমিটার। ধনপুর হাওরে প্রায় ৩০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

এই হাওরগুলির পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ জেলায় আরও অনেক ছোট ছোট হাওর রয়েছে। এই হাওরগুলি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাওরগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে ধান, পাট, গম ও মাছ উৎপাদিত হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি

কিশোরগঞ্জ জেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী কিশোরগঞ্জের নীলগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রামায়ণ রচনা করেন, যা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য। কিশোরগঞ্জ জেলার আরেক বিখ্যাত কবি হলেন দ্বিজ বংশীদাস। তিনি মনসা মঙ্গল কাব্যের রচয়িতা। মনসা মঙ্গল কাব্য বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কাব্য। কিশোরগঞ্জ জেলায় আরও অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন উপেন্দ্র কিশোর রায়, সুকুমার রায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, কেদারনাথ মজুমদার, রণজিৎ দাস, জ্যোতির্ময় দত্ত প্রমুখ। কিশোরগঞ্জ জেলার সংস্কৃতিও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কিশোরগঞ্জের লোকজ সংস্কৃতি বাংলা সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিশোরগঞ্জের লোকজ সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে বাউল গান, জারী গান, ভাটি বাংলার গান, পালাগান, নৌকা বাইচের গান, সার্কাস, ঢাক বাজনা, নাচ, যাত্রা ইত্যাদি। কিশোরগঞ্জ জেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ

কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা যেটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। প্রিয় পাঠক, আপনার মনে যদি কিশোরগঞ্জ নিয়ে আরও প্রশ্ন থাকে থাকে তাহলে নিচের তথ্যগুলো দেখুন।

কিশোরগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত?

কিশোরগঞ্জ বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা যা হাওর অঞ্চলের জন্য বিখ্যাত। জেলার মোট আয়তনের প্রায় অর্ধেকই হাওর।

কিশোরগঞ্জ জেলা কবে স্বাধীন হয়?

দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকা স্বাধীন হলেও কিশোরগঞ্জ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বরে।

উপসংহার

কিশোরগঞ্জ শুধু হাওরের জন্যই বিখ্যাত নয় বরং শত শত মহান ব্যক্তির স্মৃতি বিজড়িত একটি জেলা। এই জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো হাজারো মানুষের মন জয় করেছে সর্বদাই। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে ফরিদপুর কিসের জন্য বিখ্যাত সম্পর্কে পড়তে পারেন।

কিশোরগঞ্জ কিসের জন্য বিখ্যাত‘ সম্পর্কিত পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে আমরা বিরতি নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *