বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি সেতু সম্পর্কে যারা জানেন না মূলত তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই পোস্ট। কেননা এই পোস্টে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেতু সম্পর্কে তুলে ধরবো। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের অত্যন্ত উপকারে আসবে। তো প্রিয় পাঠক, আপনি যদি এই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পুরো পোস্টটি পড়ে নিন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি সেতু
বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে বিচিত্রের শেষ নেই। এমনি বৈচিত্র্যময় দশটি সেতু নিয়ে আমাদের আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি সেতু সারা বিশ্বে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই।
১.তানইয়াং-খুনশান মহাসেতু (১৬৪.৮ কিলোমিটার)

তানইয়াং-খুনশান মহাসেতু হল বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু। এটি চীনের জিয়াংশু প্রদেশে অবস্থিত এবং বেইজিং-সাংহাই উচ্চ-গতির রেলপথের অংশ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি সেতু এর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় সেতু। সেতুটি ১৬৪.৮ কিলোমিটার (১০২.৪ মাইল) দীর্ঘ এবং ৩৬টি স্প্যান রয়েছে। সেতুটি ২০১১ সালে খোলা হয়েছিল এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সেতুগুলির মধ্যে একটি, এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২.চাংহুয়া-কোয়াশিউং রেলসেতু (১৫৭.৩১৭ কিলোমিটার)

চাংহুয়া-কোয়াশিউং রেলসেতু হল তাইওয়ানের চাংহুয়া এবং কোয়াশিউং শহরকে সংযুক্তকারী একটি রেলসেতু। এটি তাইওয়ান হাই-স্পিড রেল নেটওয়ার্কের অংশ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম রেলসেতু। সেতুটি ১৫৭.৩১৭ কিলোমিটার (৯৭.৭৫২ মাইল) দীর্ঘ এবং ২০০৪ সালে নির্মিত হয়েছিল।
সেতুটি তাইওয়ানের উত্তর-দক্ষিণ রুট জুড়ে অবস্থিত। এটি চাংহুয়া শহরের উত্তরে একটি টার্মিনাল থেকে শুরু হয় এবং কোয়াশিউং শহরের দক্ষিণে একটি টার্মিনালে শেষ হয়। সেতুটি তাইওয়ানের উপকূলরেখা বরাবর অবস্থিত এবং এটি তাইওয়ানের সমতল ভূখণ্ড এবং পর্বতমালার মধ্য দিয়ে চলে।
সেতুটি ৫১২টি পিলারের উপর নির্মিত হয়েছে এবং এটিতে ১৩টি প্রধান সেতু রয়েছে। সেতুটি তাইওয়ানের ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অবস্থানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে।
৩.তিয়ানজিন গ্র্যান্ড ব্রিজ, চীন (১১৩.৭ কিলোমিটার)

তিয়ানজিন গ্র্যান্ড ব্রিজ হল চীনের তিয়ানজিন শহরের কাছে অবস্থিত একটি রেলওয়ে সেতু। এটি বেইজিং-সাংহাই উচ্চ-গতির রেলপথের অংশ। সেতুটি ১১৩.৭ কিলোমিটার (৭০.৬ মাইল) দীর্ঘ এবং ৩৬টি স্প্যান রয়েছে। এটি ২০১১ সালে খোলা হয়েছিল এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। তিয়ানজিন গ্র্যান্ড ব্রিজটি একটি বিশাল প্রকৌশল প্রকল্প। এটি নির্মাণ করতে প্রায় ১০,০০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়েছিল এবং এটি প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছিল। সেতুটি একটি দ্বিতল সেতু, উপরের তলায় রেলপথ এবং নিচের তলায় সড়কপথ রয়েছে।
৪. ক্যাংডে গ্র্যান্ড ব্রিজ (১০৬ কিলোমিটার)

ক্যাংডে গ্র্যান্ড ব্রিজ হল চীনের হেনান প্রদেশের ক্যাংডে শহরকে সংযুক্তকারী একটি সেতু। এটি হুয়াংশে নদীর উপর নির্মিত হয়েছে। সেতুটি ১০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। সেতুটি ক্যাংডে শহরের উত্তরে একটি টার্মিনাল থেকে শুরু হয় এবং শহরের দক্ষিণে একটি টার্মিনালে শেষ হয়। সেতুটি ক্যাংডে শহরের পশ্চিম উপকূল বরাবর অবস্থিত এবং এটি হুয়াংশে নদীর মধ্য দিয়ে চলে। সেতুটি ৩০৯২ টি পিলারের উপর নির্মিত হয়েছে এবং এটিতে ৭৮টি প্রধান সেতু রয়েছে। সেতুটি চীনের ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অবস্থানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি ৮.০ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে।
৫. ওয়েনান উইহি গ্র্যান্ড ব্রিজ (৭৯.৭৩ কিলোমিটার)

ওয়েনান উইহি গ্র্যান্ড ব্রিজ চীনের শেনঝেন এবং গুয়াংঝো শহরকে সংযুক্তকারী একটি সেতু। এটি চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত উইহি নদীর উপর নির্মিত হয়েছে এবং এটি বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম সেতু। সেতুটি ৭৯.৭৩ কিলোমিটার (৪৯.৫ মাইল) দীর্ঘ এবং ২০০৮ সালে নির্মিত হয়েছিল। সেতুটি শেনঝেন শহরের উত্তরে একটি টার্মিনাল থেকে শুরু হয় এবং গুয়াংঝো শহরের দক্ষিণে একটি টার্মিনালে শেষ হয়। সেতুটি শেনঝেন শহরের পূর্ব উপকূল বরাবর অবস্থিত এবং এটি উইহি নদীর মধ্য দিয়ে চলে। সেতুটি ৪,৩৪০টি পিলারের উপর নির্মিত হয়েছে এবং এটিতে ৫৩টি প্রধান সেতু রয়েছে। সেতুটি চীনের ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অবস্থানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি ৭.০ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে।
৬. বাং না এক্সপ্রেসওয়ে (৫৫ কিলোমিটার)

বাং না এক্সপ্রেসওয়ে হল থাইল্যান্ডের একটি 55 কিলোমিটার (34 মাইল) দীর্ঘ ছয়-লেনের উঁচু হাইওয়ে। এটি একটি টোল রোড এবং থাইল্যান্ডের এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন জাতীয় মহাসড়ক রুট 34 এর উপরে চলে। সেতুটি চুয়ান লিকপাই মন্ত্রিসভার উপ-প্রধানমন্ত্রী সুকাভিচ রঙ্গসিতপোলের কৃতিত্ব। সেতুটি ১৯৯৫ সালের ১০ ডিসেম্বর নির্মাণ শুরু হয়েছিল এবং ২০০০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করা হয়েছিল। এটি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু ছিল, এবং এটি এখনও এ দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু।
বাং না এক্সপ্রেসওয়ে ব্যাংককের পূর্বে বাং না থেকে চোন বুরি শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ব্যাংককের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বন্দর শহর ল্যাম্বুংকে সংযুক্ত করে। এটি ব্যাংককের যানজট কমাতে এবং দক্ষিণ থাইল্যান্ডে যোগাযোগকে সহজ করতে সাহায্য করেছে। বাং না এক্সপ্রেসওয়ে তার নকশা এবং নির্মাণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে। একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এটি প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীদের মনে প্রশান্তির সঞ্চার করে। বাং না এক্সপ্রেসওয়ে হল একটি ঝুলন্ত সেতু, যার অর্থ এটি দুটি টাওয়ারের মধ্যে ঝুলন্ত একটি প্যানেল দ্বারা সমর্থিত। সেতুটিতে মোট ৫৯টি পিলার রয়েছে, প্রতিটি ৮০ মিটার (২৬২ ফুট) উঁচু। সেতুটিতে প্রতিটি দিকে তিনটি লেনের রাস্তা রয়েছে।
৭. বেইজিং গ্র্যান্ড ব্রিজ, চীন (৪৮ কিলোমিটার)

বেইজিং গ্র্যান্ড ব্রিজ, চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি ট্রেন সেতু। এটি বাইশেন নদীর উপর দিয়ে নির্মিত হয়েছে এবং বেইজিংকে হেবেই প্রদেশের বাইশেন শহরের সাথে সংযুক্ত করে। সেতুটি ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। সেতুটি ২০১০ সালে নির্মাণ শুরু হয়েছিল এবং ২০১১ সালে খোলা হয়েছিল। এর নির্মাণে প্রায় ১০,০০০ শ্রমিক কাজ করেছিল এবং এর জন্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হয়েছিল। সেতুটি ৬ টি ট্র্যাক ধারণ করতে পারে এবং এটি প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার (২১৭ মাইল) বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এটি বেইজিং থেকে বাইশেন শহরের মধ্যে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। বেইজিং গ্র্যান্ড ব্রিজ চীনের পরিবহন অবকাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
৮.কিংডাও হাইওয়ে ব্রিজ, চীন (দৈর্ঘ্য ৪২.৫ কিলোমিটার)

কিংডাও হাইওয়ে ব্রিজ চীনের শানডং প্রদেশের কিংডাও শহরের কাছে ডাংশিয়া নদীর উপর নির্মিত একটি ঝুলন্ত সেতু। এটি চীনের দীর্ঘতম সেতুগুলির মধ্যে একটি এবং এটি বিশ্বের দশম দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪২.৫ কিলোমিটার (২৬.৪ মাইল) এবং প্রস্থ ৩০ মিটার (৯৮ ফুট)।
সেতুটিতে দুটি টাওয়ার রয়েছে, প্রতিটি ৪০০ মিটার (১,৩১২ ফুট) উঁচু। সেতুটি প্রতিদিন প্রায় ১০০,০০০ যানবাহন এবং ১০,০০০ জন যাত্রী বহন করে। কিংডাও হাইওয়ে ব্রিজ হল একটি ঝুলন্ত সেতু, যার অর্থ এটি দুটি টাওয়ারের মধ্যে ঝুলন্ত একটি প্যানেল দ্বারা সমর্থিত। সেতুটিতে মোট ২৭০টি পিলার রয়েছে, প্রতিটি ৮০ মিটার (২৬২ ফুট) উঁচু। সেতুটিতে প্রতিটি দিকে চারটি লেনের রাস্তা রয়েছে।
৯.লেক পন্টচারট্রেন কজওয়ে,যুক্তরাষ্ট্র (৩৯ কিলোমিটার প্রায়)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা রাজ্যের নিউ অরলিন্স থেকে লেক পন্টচারট্রেন দ্বীপের সাথে সংযুক্ত একটি সেতু। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম কজওয়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম সেতু। কজওয়েটি ১৯৫৬ সালে নির্মাণ শুরু হয়েছিল এবং ১৯৬৯ সালে খোলা হয়েছিল। এর নির্মাণে প্রায় ৫০০০ শ্রমিক কাজ করেছিল এবং এর জন্য প্রায় ১৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছিল। কজওয়েটি ২৪ মাইল (৩৯ কিলোমিটার) দীর্ঘ এবং এটি ২৩ টি স্প্যান নিয়ে গঠিত। কজওয়েটিতে দুটি লেন রয়েছে।
১০. ম্যানচ্যাক সোয়াম্প ব্রিজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩৬.৭ কিলোমিটার)

ম্যানচ্যাক সোয়াম্প ব্রিজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি কজওয়ে। এটি ম্যানচ্যাক জলাভূমির উপর দিয়ে নির্মিত হয়েছে এবং লুইসিয়ানা রাজ্যের টেনেসা এবং জর্জিয়া কাউন্টিগুলিকে সংযুক্ত করে। সেতুটি ৩৬.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। সেতুটি ১৯৬৯ সালে জনসাধারণের জন্য প্রথম খোলা হয়েছিল। এর নির্মাণে প্রায় ১০,০০০ শ্রমিক কাজ করেছিল এবং এর জন্য প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছিল।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ
বিশ্বের চমৎকার সব সেতু হাজার হাজার নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের নজর কাড়ে। আর এগুলো পরিদর্শণের জন্য প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যায়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি সেতু সম্পর্কে জানার পরও নিশ্চয় আরও কিছু প্রশ্ন হয়তো আপনার মনে উঁকি দিচ্ছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল প্রশ্ন এবং উত্তরসমূহ-
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতুর নাম কি?
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতুর নাম হল দানইয়াং কুনশান গ্র্যান্ড ব্রিজ। এটি চীনের বেইজিং-সাংহাই হাই-স্পিড রেলওয়ের একটি অংশ। ২০১১ সালের জুন মাসে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়। প্রায় ১৬৪.৮ কিলোমিটার (১০২.৪ মাইল) দীর্ঘ এ সেতুটি তৈরি করতে সময় লেগেছে চার বছর।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সেতুর নাম কি?
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সেতুর নাম হল ফ্লাইং ফ্রোগ সেতু। এটি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা শহরে অবস্থিত একটি ছোট্ট সেতু যা পোকামাকড়ের জন্য নির্মিত।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেতুর নাম কি?
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেতুর নাম নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ জনপ্রিয়তার অনেকগুলি পরিমাপ রয়েছে। তবে, কিছু সেতু রয়েছে যা তাদের আর্কিটেকচার, ইতিহাস বা সাংস্কৃতিক গুরুত্বের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত এবং প্রিয়।
উপসংহার
এই সেতুগুলির মধ্যে বেশিরভাগই চীনে অবস্থিত। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই সেতুগুলো পরিদর্শনের জন্য আসেন। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ১০ টি জেলা সম্পর্কে পড়তে পারেন।
‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি সেতু‘ এর মধ্যে কোনটি আপনার চমক নাড়িয়েছে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিন আপনার মূল্যবান মতামত। সুতরাং বলায় যায় চীন বিশ্বের সেতু নির্মাণে সবচেয়ে এগিয়ে। চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু নির্মাতা দেশ। চীন প্রতি বছর অসংখ্য সেতু নির্মাণ করে। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।