Skip to content
Home » ১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম

১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম

10 Output Device Names

১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম হয়তো অনেকেই জানেন না। তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের এই পোস্ট লেখা। আউটপুট ডিভাইস কি এবং আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি আউটপুট ডিভাইসের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে আজকের আলোচনায়। সুতরাং আপনি যদি আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস করতে না চান তাহলে পোস্টটি অত্যন্ত মনোযোগ সহ পড়ুন। আশা করছি পুরো পোস্টটি মনোযোগসহ পড়লে আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা আপনি পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন আলোচনার শুরুতে আমরা আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে জেনে নিই।

আউটপুট ডিভাইস কি?

আউটপুট ডিভাইস হচ্ছে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের একটি অংশ যা কম্পিউটারে প্রক্রিয়াকৃত তথ্যকে মানুষের বোধগম্য হিসেবে রূপান্তর করে এবং প্রদর্শন করে। আরো সহজে বললে, যে সকল ডিভাইস কাজের ফলাফল প্রদর্শণ করে সেগুলই সাধারণত আউটপুট ডিভাইস। আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে রয়েছে মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, হেডফোন, প্রজেক্টর, টাচস্ক্রিন, এবং ব্রেইল রিডার। আউটপুট ডিভাইসগুলো কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য তথ্য প্রদর্শন এবং শোনানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর ফলে আমরা খুব সহজেই কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো ব্যবহার করতে পারি।

১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম

আমরা এখানে ধারাবাহিকভাবে ১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম এবং তাদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য জেনে নেব। উল্লেখ্য যে, এই ডিভাইসগুলো প্রায়শই আমরা ব্যবহার করে থাকি। 

মনিটর

Monitor

মনিটর এমন একটি আউটপুট ডিভাইস যা ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারের বিভিন্ন তথ্য দেখার সুযোগ তৈরি করে। আর এই মনিটরগুলি বিভিন্ন আকার ও রেজোলিউশনে পাওয়া যায়। সবচেয়ে সাধারণ মনিটর হল এলসিডি (তরল স্ফটিক প্রদর্শন) মনিটর, যা সাধারণত টিভিতে ব্যবহৃত একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তবে এলসিডি মনিটরগুলো টিউব-ভিত্তিক মনিটরের চেয়ে কম ব্যয়বহুল। টিএফটি ও এলইডি মনিটরগুলো এলসিডি মনিটরের চেয়ে একটু বেশি বাজেটের এবং সেই সাথে অধিক কার্যকর। 

প্রিন্টার

Printer

প্রিন্টার এমন একটি আউটপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার থেকে তথ্য গ্রহণ করে এবং এটিকে কাগজে বা অন্য কোনও মাধ্যমে রূপান্তর করে। কি চমৎকার তাই না? প্রিন্টারগুলি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। ১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম সম্পর্কিত এই পোস্টের বহুল ব্যবহৃত একটি ডিভাইস হচ্ছে প্রিন্টার। প্রিন্টারের সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলির মধ্যে রয়েছে ইঙ্কজেট প্রিন্টার, লেজার প্রিন্টার, ডট-মেট্রিক প্রিন্টার ইত্যাদি।

প্রিন্টার কেনার সময়, আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কোন কাজের উদ্দেশ্য প্রিন্টারটি ক্রয় করছেন। আপনি যদি কম দামে একটি ভালো প্রিন্টার খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ইঙ্কজেট প্রিন্টার বেটার হতে পারে। আবার আপনি যদি খুব দ্রুত প্রিন্ট করতে চান এবং উচ্চমানের প্রিন্টার খুঁজে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য লেজার প্রিন্টার সেরা পছন্দ হতে পারে। 

স্পিকার

Speaker

মোটামুটি আমাদের সকলের খুবই পরিচিত একটি আউটপুট ডিভাইস হচ্ছে স্পিকার। স্পিকার বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে শব্দে রূপান্তর করে। স্পিকারগুলো সাধারণত বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, যেমন সঙ্গীত শোনা, ভিডিও দেখা এবং ঘোষণা করা। স্পিকার সাধারণত, একটি বৈদ্যুতিক সিগন্যাল ব্যবহার করে একটি ডায়াফ্রামকে স্পন্দিত করে শব্দে রূপান্তর করে। ডায়াফ্রামটি বাতাসে তরঙ্গ তৈরি করে যা আমাদের শোনার অনুভুতি দেয়।

হেডফোন

১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম এর মধ্যে হেডফোন এমন একটি আউটপুট ডিভাইস যা আমাদের কানে শব্দ প্রচার করে। এগুলো সাধারণত, ভিডিও দেখার পাশাপাশি সঙ্গীত শোনা এবং গেম খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। দুই ধরনের হয়ে থাকে ওয়্যারযুক্ত হেডফোন, ওয়্যারলেস হেডফোন।

মাইক্রোফোন

Microphone

মাইক্রোফোন ডিভাইসটি শব্দ শক্তিকে বৈদ্যুতিক সংকেততে রূপান্তরিত করে। মাইক্রোফোনগুলি বিভিন্ন ধরনের হয়-মাইক্রোফোনের সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে, কনডেন্সার মাইক্রোফোন, ডায়নামিক মাইক্রোফোন, রিবন মাইক্রোফোন।

প্রজেক্টর

Projector

প্রজেক্টর হল এমন একটি ডিভাইস যা একটি ছোট চিত্রকে একটি বড় পর্দায় ফুটিয়ে তোলে। যেমন, ইনসেট প্রজেক্টর, থিয়েটার প্রজেক্টর, লেজার প্রজেক্টর। ১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম এর মধ্যে এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রজেক্টরগুলি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। একটি প্রজেক্টরের সাহায্যে শিক্ষকরা বড় আকারে পাঠ্য, ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শন করতে পারেন, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়বস্তু বুঝতে সহজ করে তোলে।

প্রজেক্টরগুলি ব্যবসায়িক উপস্থাপনা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। একটি প্রজেক্টরের সাহায্যে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, বিক্রয় উপস্থাপনা এবং অন্যান্য তথ্য বড় আকারে প্রদর্শন করতে পারেন, যা তাদের শ্রোতাদের বোঝার জন্য সহজ করে তোলে। কি চমৎকার সিস্টেম তাই নাহ্! আবার প্রজেক্টরগুলি বিনোদনের জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। একটি প্রজেক্টরের সাহায্যে আমরা আমাদের প্রিয় চলচ্চিত্র, টিভি শো এবং খেলাগুলি বড় পর্দায় দেখতে পারি।

গ্রাফিক্স টাচস্ক্রিন

Graphics Touchscreen

গ্রাফিক্স টাচস্ক্রিন হল একটি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে যা উচ্চ রেজোলিউশন এর গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে। যে সকল ডিভাইসে গ্রাফিক্স প্রয়োজন রয়েছে সেই ডিভাইসের এপ্লিকেশনগুলোর জন্য আদর্শ, যেমন 3D গেমিং, ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিক ডিজাইন।

গ্রাফিক্স টাচস্ক্রিনগুলো সাধারণত টিএফটি (তরল স্ফটিক ট্রানজিস্টর) প্যানেল ব্যবহার করে, যা উচ্চ-মানের চিত্র প্রদর্শণ করতে সক্ষম। এগুলো সাধারণত মাল্টি-টাচ সমর্থন করে, যা একই সময়ে একাধিক আঙুল ব্যবহার করে ইনপুট করতে দেয়। ওয়াও!

3D প্রিন্টার

3D Printer

একটি ত্রিমাত্রিক মডেল থেকে কোন নকশা ফুটে তোলার অনন্য এক নাম হচ্ছে 3D প্রিন্টার। এটি সাধারণত, একটি ডিজিটাল 3D মডেল ব্যবহার করে যা একটি 3D প্রিন্টার ফাইল (.stl ফাইল) নামে পরিচিত। 3D প্রিন্টারগুলো বিভিন্ন ধরণের উপকরণ ব্যবহার করতে পারে, যেমন প্লাস্টিক, ধাতু, কাগজ এবং কাঁচ। তবে আপনি কাজের জন্য ফিলামেন্ট-ভিত্তিক 3D প্রিন্টার বিবেচনা করতে পারেন। আবার, আপনি যদি একটি বড় 3D প্রিন্টার খুঁজে থাকেন যা উচ্চ-মানের ছবি তৈরি করতে পারে, তাহলে আপনি প্লাস্টিক-ভিত্তিক 3D প্রিন্টার আপনার জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে।

মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার

Multimedia Player

মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার মাল্টিমিডিয়া ফাইলগুলো প্লে করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন অডিও, ভিডিও এবং ছবি। এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, টেলিভিশন, ডিজিটাল অডিও প্লেয়ার এবং অন্যান্য ডিভাইসে পাওয়া যায়।

তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল, মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ারগুলি বিভিন্ন ধরণের ফাইল ফরম্যাট সমর্থন করে, যেমন MP3, AAC, WMA, AVI, MP4, MPEG, GIF, JPEG এবং PNG। এগুলো সাধারণত বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্য প্রদান করে, যেমন দ্রুত অগ্রগতি, পিছিয়ে যাওয়া, পুনরাবৃত্তি এবং র‍্যান্ডম প্লে।

ব্রেইল প্রদর্শন

Braille Display

এই ডিভাইস ব্রেইল পদ্ধতিতে পাঠ্য প্রদর্শন করে। সাধারণত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এটি আদর্শ একটি মাধ্যম। এগুলো আকারে সাধারণত ছোট, পোর্টেবল ডিভাইস থেকে শুরু করে বড় এবং ডেস্কটপ ডিভাইস পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে এই ডিভাইসগুলো সাধারণত ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত থাকে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ

আউটপুট ডিভাইস নিয়ে আমরা তো অনেক কিছুই জানলাম। এবার চলুন তো এই বিষয়ে আরো একটু নতুন তথ্য জেনে নেওয়া যাক- আমাদের নিত্য দিনের ব্যবহার করা আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে নতুন তথ্য দেখে নিন।

পেনড্রাইভ কি ইনপুট নাকি আউটপুট ডিভাইস?

পেনড্রাইভ তথ্য ইনপুট দেয় এবং একইসাথে ফলাফল প্রদর্শণেও সহায়তা করে। তাই পেনড্রাইভকে একইসাথে ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস বলা হয়ে থাকে।

মডেম কি ধরনের ডিভাইস?

‘‘মডুলেশন এবং ডিমডুলেশন’’ এর সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে মডেম। এটি একইসাথে ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে তার মানে মডেম একটি ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস।

উপসংহার

আউটপুট ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার থেকে তথ্য দেখতে, শুনতে, মুদ্রণ করতে এবং 3D মডেলগুলো দেখার পাশাপাশি অনুভব করারও সক্ষমতা প্রদান করে। এই ডিভাইসগুলো শিক্ষা, বিনোদন, ব্যবসা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং এগুলোর সুন্দর ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার। উচ্চ স্বরে বাজানো হলে এগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সাবধাণতা অবলম্বন করায় শ্রেয়। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার এ সম্পর্কে পড়তে পারেন।

১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম‘ এ সম্পর্কিত আমাদের আলোচনা আপানাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। চলুন, নিজে সুরক্ষিত থাকি অন্যকে সুরক্ষিত থাকতে সহায়তা করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *