Skip to content
Home » বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প

বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প

10 Mega Projects Of Bangladesh

বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প যেই প্রকল্প গুলোর উপর দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিশেষভাবে নির্ভর করছে। আজকে আমরা এমন ১০ টি মেগা প্রকল্পের বিষয়ে খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করব। তো প্রিয় পাঠক, আপনি যদি বাংলাদেশের এই মেগা প্রকল্পগুলো সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি অত্যন্ত মনোযোগসহ পড়তে থাকুন। আশা করছি পুরো পোস্ট পড়ার পর বাংলাদেশের এই মেগা প্রকল্প গুলো সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তবে শুরুতেই আমরা জেনে নেব মেগা প্রকল্প আসলে কি?

মেগা প্রকল্প কি?

মেগা প্রকল্প হচ্ছে এমন এক ধরনের প্রকল্প যা সাধারণত আকারে বড়, জটিল এবং সেই সাথে ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। আর এই মেগা প্রকল্প গুলো প্রায়শই সরকার এর মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়ে থাকে এবং এগুলির প্রভাব দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনের উপর ব্যাপক হতে পারে। চলুন মেগা প্রকল্পের কিছু উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক-

  • ব্রিজ
  • টানেল
  • বিমানবন্দর
  • মহাসড়ক
  • রেলপথ
  • বিদ্যুৎ কেন্দ্র
  • জল সরবরাহ প্রকল্প
  • স্যানিটেশন প্রকল্প
  • শিল্প প্রকল্প
  • শিক্ষা প্রকল্প
  • স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প

বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প

মেগা প্রকল্প কি এ বিষয়ে নিশ্চয় ধারণা পেয়েছেন? আমাদের আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত জানবো। সুতরাং মেগা প্রকল্প নিয়ে আপনার মনের অজানা সকল প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন।

১. পদ্মা সেতু মেগা প্রকল্প

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি ৬.১৫ কিলোমিটার (৩.৮৫ মাইল) দীর্ঘ, চার-লেন সড়ক ও রেল সেতু। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প এর মধ্যে এটি অন্যতম একটি। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং ব্যয়বহুল প্রকল্প। এটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয় ২০২২ সালের ২৫ জুন।

ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করেছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। পদ্মা সেতুর ফলে এই অঞ্চলে শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দারিদ্র্য হ্রাস করবে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও আধুনিকায়ন করবে, যা দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে পারে। সুতরাং বলা যেতে পারে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য একটি অসাধারণ অর্জন।

২. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেগা প্রকল্প

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে রূপপুরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রই হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় কোম্পানি রোসাটম। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিট থাকবে এবং প্রতিটি ইউনিট ৯৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২৩ সালের মধ্যে চালু করা হবে বলে আমরা আশা করছি।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এটি দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে। এটি দেশের দারিদ্র্য হ্রাস এবং জীবনমানের উন্নয়নেও সহায়তা করবে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, অর্থনীতি এবং জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

৩. মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মেগা প্রকল্প

মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত। সেই সাথে এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে জাপানের কোম্পানি তোশিবা। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিট থাকবে এবং প্রতিটি ইউনিট ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এটি ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এটি দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলে এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে। এই মেগা প্রকল্পটি দেশের দারিদ্র্য হ্রাস এবং জীবনমানের উন্নয়নেও সহায়তা করবে।

৪. পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর মেগা প্রকল্প

পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের একটি বন্দর। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে কলাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের বৃহত্তম গভীর এই সমুদ্র বন্দরটি নির্মাণ করছে চীনের কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। বর্তমানে প্রচলিত বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প এর মধ্যে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্ধর অনন্য একটি। বন্দরটিতে দুটি টার্মিনাল থাকবে এবং প্রতিটি টার্মিনাল ১০ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আশা করছে বন্দরটি ২০২৩ সালের মধ্যে চালু হবে।

পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সেই সাথে এই প্রকল্পটি দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্দরটি চালু হলে এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে। এটি দেশের দারিদ্র্য হ্রাস এবং জীবনমানের উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আবার এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

৫. রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মেগা প্রকল্প

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের একটি কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে ভারতের কোম্পানি ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিট থাকবে এবং প্রতিটি ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এই মেগা প্রকল্পটি চালু হলে এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।

৬. কর্ণফুলী টানেল মেগা প্রকল্প

কর্ণফুলী টানেল বাংলাদেশের একটি টানেল। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তলদেশে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম টানেল। টানেলটি নির্মাণ করছে চীনের কোম্পানি চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশন। টানেলটিতে দুটি লেন থাকবে এবং প্রতিটি লেন ৬ টি যানবাহন বহন করতে সক্ষম হবে। টানেলটি ২০২৩ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্ণফুলী টানেল বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি চট্টগ্রাম মহানগরীকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। টানেলটি চালু হলে এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে। সেই সাথে এটি বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

৭. এলএনজি টার্মিনাল মেগা প্রকল্প

এলএনজি টার্মিনাল মেগা প্রকল্প হল বাংলাদেশের একটি প্রকল্প যেখানে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি এবং পরিশোধনের জন্য একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। টার্মিনালটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে মহেশখালী দ্বীপে অবস্থিত। টার্মিনালটি নির্মাণ করছে চীনের কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। আমরা সবাই আশাবাদী যে টার্মিনালটি ২০২৩ সালের মধ্যে চালু হবে।

এলএনজি টার্মিনাল বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এটি দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। টার্মিনালটি চালু হলে এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।

৮. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টানেল মেগা প্রকল্প

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টানেল হল বাংলাদেশের একটি টানেল যা চট্টগ্রাম মহানগরীকে কক্সবাজার জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এটিও কিন্তু বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প এর মধ্যে অনেক ব্যয়বহুল এবং জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত হবে এবং এর দৈর্ঘ্য হবে ৩.৪ কিলোমিটার। টানেলটি ২০২৩ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টানেল বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি চট্টগ্রাম মহানগরীকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। টানেলটি চালু হলে এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে। এই প্রকল্পটি দেশের দারিদ্র্য হ্রাস এবং জীবনমানের উন্নয়নেও সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

৯. ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক মেগা প্রকল্প

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক বাংলাদেশের একটি চার-লেন সড়ক যা ঢাকা মহানগরীকে চট্টগ্রাম মহানগরী এবং কক্সবাজার জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করে। সড়কটি ১,০১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এর নির্মাণ ব্যয় ১০,০০০ কোটি টাকা। সড়কটি ২০২৩ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি ঢাকা মহানগরীকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। সড়কটি চালু হলে এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।

১০. ঢাকা মেট্রোরেল মেগা প্রকল্প

ঢাকা মেট্রোরেল হল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নির্মাণাধীন একটি দ্রুতগতির মেট্রো রেল ব্যবস্থা। এটি একটি ৫১.৮ কিলোমিটার (৩২.২ মাইল) দীর্ঘ লাইন হবে, যা ৬টি লাইনে বিভক্ত হবে। লাইনগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তরা-মতিঝিল-গুলশান লাইন, মিরপুর-মতিঝিল-গুলশান লাইন, পূর্বাচল-মতিঝিল-গুলশান লাইন, তেজগাঁও-মতিঝিল-গুলশান লাইন, বনানী-মতিঝিল-গুলশান লাইন এবং গুলশান-মতিঝিল-গুলশান লাইন।

ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য চীনা কোম্পানি চায়না রেলওয়ে গ্রুপ (সিআরআরসি) কে ঠিকাদার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১১,৬৮৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০১৯ সালে শুরু হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ

মেগা প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি হতে পারে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে। তবে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ-

মেগা প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি ধরণের প্রভাব ফেলবে?

মেগা প্রকল্পগুলো জিডিপি বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে সেই সাথে এগুলো নির্মাণ এবং পরিচালনার জন্য প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ফলে এই দেশ অর্থনীতিতে একধাপ এগিয়ে যাবে এটা বলার অপেক্ষায় রাখে না।

বর্তমান বাংলাদেশে কতগুলো মেগা প্রকল্প চালু আছে?

বর্তমান বাংলাদেশে ১০ টি মেগা প্রকল্প চালু আছে। এই মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে কিছু প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। মোটামুটি সবগুলোই চলমান রয়েছে।

উপসংহার

এই প্রকল্পগুলি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে এগুলি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে বহুমুখী করে তুলবে। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে বাংলাদেশ সম্পর্কে ৫ টি বাক্য পড়তে পারেন।

বাংলাদেশের ১০ টি মেগা প্রকল্প‘ সম্পর্কে আপনি বিস্তর ধারণা পেয়েছেন। আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে দয়া করে কমেন্ট বক্সে লিখে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *