Skip to content
Home » শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার

10 Uses Of Internet In Education

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার বা শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়ে থাকে। শিক্ষা ও দৈনন্দিন জীবন উভয় ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেলেও আলাদা করে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন।

আপনি, আমি সকলেই হয়তো ঠিকভাবেই লক্ষ্য করেছি যে করোনার লকডাউনের কারণে সমস্ত অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষাদানের প্ল্যাটফর্মের সাথে বিশ্ববাসী ঠিক কতটা নতুনভাবে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করছিলো। কিভাবে এসব অনলাইন মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে চলছিলো তুমুল আলোচনা এবং গবেষণা। যার ছোঁয়া সরাসরি শিক্ষা বিষয়ক ক্যাটাগরিতেও পড়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল জীবনশৈলীর প্রতি মনোনিবেশ করার সুযোগ পেয়েছে এবং এখনো পাচ্ছে।

সুতরাং আমরা কিন্তু চাইলেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতা বৃদ্ধিকরণে এই ইন্টারনেটকে বুলেট রূপে ব্যবহার করতে পারি। এক্ষেত্রে আলাদা করে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে হবে, গবেষণা করতে হবে এবং প্ল্যান করে সে অনুযায়ী আগাতে হবে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব

শুরুতেই বলে রাখি, আমরা হয়তো ঢালাও ভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকার কথা অস্বীকার করতে পারবো না। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অসুবিধার কথাও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। মূলত ২০১৯ সালের দিকে করোনা মহামারির কারণে ইন্টারনেটের গুরুত্বটা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু ঘরবন্দি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি দুরত্ব তৈরি হচ্ছে, মূলত সেই দূরত্ব দূর করতেই প্রয়োজন পড়েছিলো ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার। বেড়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং মোবাইলের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস করার প্রবণতা। এখনো পর্যন্ত সেই রেশ রয়েও গেছে! এদিকে আবার বিভিন্ন গবেষণা Facebook এবং YouTube সহ অনলাইনে ভিডিও টিউটোরিয়াল ভিত্তিক ক্লাসের প্রতি ইতিবাচক মন্তব্য বের করতেও দ্বিধাবোধ করছেন না। সবমিলিয়ে আজকের দিনে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করার বিষয়টি মোটেও অযৌক্তিক কোনো আলোচনা হতে পারে না।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে যারা এখনো জানেন না, চলুন তাদের জ্ঞাতার্থেই জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য বইপুস্তক ফ্রি করে দেওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষার প্রসার বিস্তৃত করে শিক্ষার্থীদের ঠিক কতটা উপকৃত করেছে।

  1. বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক পাঠদানের বিষয়টি বেশ ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠেছে এবং একই সাথে এটি বেশ গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছে।
  2. এই সময়টাতে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরণের ই-লার্নিং টুলস কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়….এসমস্ত বিষয় পূর্বের তুলনায় বেশ খোলাসা হয়ে উঠেছে।
  3. শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং এর ফলে শিক্ষার্থীরা সরাসরি টেকনোলজি বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে।
  4. এই ডিজিটাল যুগে এসে কলেজ-ভার্সিটি ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু করার ফলে শিক্ষার্থীরা গোড়া থেকেই নিজেদের আইটি সেক্টরের সাথে যুক্ত করার সুযোগ পাচ্ছে।
  5. শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বিশেষ করে স্কুল লেভেলের পড়াশোনা করছে বা যাদের প্রচুর রিসার্চ করার প্রয়োজন পড়ে তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগলের সাহায্য নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে।
  6. ইন্টারনেটের কল্যাণে শিক্ষার্থীরা নিজেদের একাডেমিক পড়াশোনাকে আরো সহজ করতে টেন মিনিট স্কুলের মতো ভিন্নধর্মী প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
  7. ভিডিও এবং ছবির সাহায্যে শিক্ষকেরা কঠিন টপিকগুলিকে আরো সহজে উপস্থাপন করতে পারছে।
  8. শিক্ষাব্যবস্থার অংশ হিসাবে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইন্টারনেট।
  9. শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে নতুন নতুন স্কিল তৈরি করতে পারছে।
  10. খুব কম সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নিয়ে একটি সুন্দর প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারছে ঘরে বসেই।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার জানার পরও নিশ্চয় আরও কিছু প্রশ্ন হয়তো আপনার মনে উঁকি দিচ্ছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল প্রশ্ন এবং উত্তরসমূহ-

শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা কি কি?

শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা হলো শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের প্রতি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া, তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হওয়া, শারীরিকভাবে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার ফলে দুরত্ব সৃষ্টি হওয়া এবং পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগী মনোভাব তৈরি হওয়া।

শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট ভালো নাকি খারাপ?

ইন্টারনেট হল শিক্ষার সহজ হাতিয়ার। নতুন বিষয় শেখার সুবিধার্থে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসের শিক্ষার বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে YouTube ও Facebook থেকে ভিডিও দেখতে পারে। যা শিক্ষা কে সহজ ও বোধগম্য করে।

উপসংহার

মনে রাখবেন আমাদের সকলেরই উচিত শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার মাথায় রাখার পাশাপাশি এক অপকারিতা সম্পর্কেও সচেতন থাকা। কারণ ইন্টারনেটের সুষ্ঠু এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যতে একটি অন্ধ জাতি তৈরি হবে। যার বোঝা আমাদের নিজেদেরই বয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা যেমন চাইলেই এখন অনেক কাজ খুব দ্রুততার সাথে ইন্টারনেট এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে পারি, ঠিক তেমনই ইন্টারনেট চাইলেই আমাদের সুন্দর জীবনকে এক ক্লিকেই ধ্বংস করে দিতে পারে। সুতরাং সচেতন থাকুন এবং ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে শিক্ষক সম্পর্কে ৫টি বাক্য পড়তে পারেন।

“শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ১০টি ব্যবহার” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *