Skip to content
Home » জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্য

জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্য

5 Sentences About National Flag

জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্য বিসিএস সহ বিভিন্ন চাকুরী বা একাডেমিক পরীক্ষায় প্রায়ই এসে থাকে। এছাড়া বাঙালী জাতি হিসেবে আমাদের সকলের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে জানা উচিত। ৯ মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধিকার আন্দোলনে বিজয় লাভ করে। একটি স্বাধীন দেশ লাভের পাশাপাশি এই দিনে আমরা একটি জাতীয় পতাকা লাভ করি। এই জাতীয় পতাকা আমাদের জন্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় সম্পদ। দেশের একজন নাগরিক হিসাবে আমাদের উচিত প্রতিটি জাতীয় উপকরণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা। তারই রেশ ধরে আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সাজিয়েছি জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্যের সাহায্যে। সেই সাথে থাকছে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আর কথা বাড়াবো না! চলুন এবারে মূল আলোচনায় প্রবেশ করি।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম আইডিয়া পাওয়া যায় ১৯৭০ সালের ৭ জুন তারিখে। সে-সময় রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে ছাত্র নেতারা একটি পতাকা বানায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ আমাদের জাতীয় পাতাকাটুকু পেয়েছি। মোট কথা সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা থেকেই জন্ম নিয়েছে আমাদের আজকের এই লাল-সবুজের পতাকা।

জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্য নিয়ে যারা বিস্তারিত আলোচনা চাচ্ছেন কেবলমাত্র তাদের জন্যেই আমাদের আজকের এই লেখাটি। সুতরাং সকল তথ্য একসাথে এবং সঠিকভাবে পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার পরিচিতি কি?

জাতীয় পতাকার সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক নিয়ে তৈরি করা আয়তক্ষেত্রের পতাকাই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। আকারের দিক দিয়ে আয়তকার বর্গের মাঝে একটি লাল বৃত্তের দারুণ পতাকা এটি। বলে রাখা ভালো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা যে লাল-সবুজের বর্তমান রূপের হবে তা ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে গৃহীত হয়েছিলো। তবে বর্তমান পতাকাটি আবিষ্কৃত হয়েছে বা নিজের যাত্রা শুরু করেছে ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি তারিখ থেকে। এই দিনে বাংলাদেশের পতাকা থেকে হলুদ রংয়ের মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর মূল কারণ হলো এই পতাকার উভয় পাশে সঠিকভাবে হলুদ রং এর মানচিত্রটি ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অসুবিধা দেখা দিচ্ছিলো।

জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্য

অবশেষে চলে এলাম আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মূল অংশে। যেখানে আমরা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সুতরাং যারা কোনো তথ্য মিস করতে চান না তারা আমাদের সাথেই থাকুন। আশা করি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।

  1. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গাঢ় সবুজ রংয়ের মাঝখানে টকটকে লাল রঙের বৃত্তের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।
  2. মোটরযান, রেলগাড়ি অথবা নৌযানের খোল, সম্মুখভাগ ঢাকার জন্য কখনোই জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাবে না।
  3. সবসময় বাংলাদেশের পতাকা ভবনের ডানদিকে উত্তোলন করতে হবে।
  4. ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের পাতাকা থেকে মানচিত্র বাদ দেওয়া হয়।
  5. বাংলাদেশের বর্তমান পতাকা তৈরি হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পতাকা নির্ধারণের মাধ্যমে

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ

জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্য এই বিষয়ে আপনার মনে কতিপয় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর-

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিবস কবে?

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিবস হিসাবে বছরের ২ মার্চকে বেশ আনন্দের সাথেই পালন করে থাকি আমরা। এই বিশেষ দিনটিকে উদযাপনের অন্যতম কারণ হলো এই দিনে ডাকসুর সহসভাপতি আ স ম আবদুর রব প্রথমবারেন মতো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তলন করেন।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইন করেন ছাত্রনেতা ও স্বভাব আঁকিয়ে শিবনারায়ণ দাস ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের ১১৬ নাম্বার রুমে। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে পাহাড়পুর সম্পর্কে ১০টি বাক্য পড়তে পারেন।

উপসংহার

জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ৫টি বাক্য‘ এবং এই পতাকা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে আপনাদের কিছুটা হলেও উপকৃত করতে পেরেছি। যেকোনো বিষয় নিয়ে এই ধরণের তথ্যবহুল আলোচনা পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। নিজে ভালো থাকুন এবং সঠিক তথ্যের সাথে থেকে তা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন। আপনার শুভ কামনায় আমরা আছি সবসময়। খোদা হাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *