Skip to content
Home » বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫টি বাক্য

বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫টি বাক্য

5 Sentences About Begum Rokeya

বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫টি বাক্য সম্পর্কিত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হতে পারে আপনার বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, উপস্থাপনা কিংবা বক্তৃতার চরম সহায়ক। চলুন আজকে বেগম রোকেয়া সম্পর্কিত এমনকিছু তথ্য ও বাক্য নিয়ে আলোচনা করা যাক যা হয়তো আপনি পূর্ব থেকে জানতেন না কিংবা জানার চেষ্টা করেননি।

৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে সম্ভান্ত এক মুসলিম পরিবারে অতি সাধারণ এক মেয়ের জন্ম হয়। তবে সে-সময় কেউই জানতো না এই সাধারণ মেয়েই এক সময় অসাধারণ হয়ে উঠবে। নিজেকে শিক্ষিত করবার বড় স্বপ্ন নিয়ে দিনাতিপাত করলেও তা পাত্তা দেননি বাবা জহীরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের। পরবর্তীতে তিনি তার ভাইবোন এবং স্বামীর সহযোগিতায় হয়ে উঠেন বিখ্যাত লেখিকা, নারী আন্দোলনের অগ্রদূত, মহীয়সী, সমাজ সেবিকা।

যারা বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫টি বাক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা আমাদের সাথেই থাকুন। আর কিছু অংশ পরই আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

বেগম রোকেয়া কে ছিলেন?

বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫টি বাক্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার করবার পূর্বে চলুন জেনে নিই কে এই বেগম রোকেয়া। বাংলার বেশ পুরোনো যুগে পিছিয়ে নারীদের এগিয়ে নেবার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন এই বেগম রোকেয়া। বাবার বাড়িতে বড় ভাইবোনদের সাহায্যে অল্প বিস্তর পড়াশোনা করতে করতে একসময় পড়লো ১৬ বছরে। সে-সময় তার বাবা-মা বিহারের ভাগলপুর নিবাসী উর্দুভাষী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে তিনি স্বামীর হাত ধরেই সাহিত্য চর্চায় অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেন এবং একইসাথে বড় বড় সাহিত্যিকদের সংস্পর্শে যেতে শুরু করেন৷

বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫টি বাক্য

বেগম রোকেয়া একজন বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক এবং নারী জাগরণের অগ্রদূত ও পথিকৃৎ। এই মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫ টি বাক্য জেনে নেওয়া যাক-

  1. বেগম রোকেয়া যখন ১৬ বছর বয়সী ছিলেন তখন থেকেই তিনি বিহারের ভাগলপুর নিবাসী উর্দুভাষী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে সংসার-জীবন শুরু করেন।
  2. ১৯০৫ সালে বেগম রোকেয়া প্রথমবারের মতো ইংরেজি রচনা “সুলতানাজ ড্রিম বা সুলতানার স্বপ্ন” প্রকাশ করেন।
  3. বেগম রোকেয়ার প্রথম প্রকাশিত রচনা ছিলো “পিপাসা”।
  4. বেগম রোকেয়ার বড় বোন করিমুন্নেসা ছিলেন বিদ্যোৎসাহী, সাহিত্যানুরাগী শিক্ষালাভ, সাহিত্যচর্চা এবং সামগ্রিক মূল্যবোধ গঠনে আগ্রহী ।
  5. মৃত্যুর পর বেগম রোকেয়াকে উত্তর কলকাতার সোদপুরে দাফন করা হয় এবং এখনো তিনি সোদপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ

বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫টি বাক্য এই বিষয়ে আপনার মনে কতিপয় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর-

বেগম রোকেয়ার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি?

সকলের মতে বেগম রোকেয়ার লেখা অবরোধবাসিনী শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে। ভারতবর্ষের অগ্রণী নারীবাদী লেখিকার এই বই প্রকাশ প্রায় ১৯৩১ সালের দিকে।

বেগম রোকেয়ার জীবনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি ছিলো?

বেগম রোকেয়ার জীবনে তার স্বামীর অবদান সবচেয়ে বেশি ছিলো। কারণ সাখাওয়াত হোসেনের সংস্পর্শে এসেই তিনি নিজেকে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পেরেছেন এবং সাহিত্য ভান্ডারে নিজের কতৃত্ব সৃষ্টি করতে পেরেছেন।

উপসংহার

বেগম রোকেয়া ছিলেন উপমহাদেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের অগ্রোন্মুখ যোদ্ধা। তার এই নিরব যুদ্ধ সরব হয়ে উঠেছে আজকের এই নারী-শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীর সঠিক অধিকার নিশ্চিতকরণে। কেবল সমাজ উন্নয়নেই নয়! তার অবদান সাহিত্য ক্ষেত্রেও ছিলো লক্ষ্য করার মতো। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে নিজের সম্পর্কে ৫ টি বাক্য বাংলায় পড়তে পারেন।

বেগম রোকেয়া সম্পর্কে ৫টি বাক্য‘ নিয়ে সাজানো আমাদের আজকের এই লেখাটি আপনাদের কেমন লাগলো? আশা করি ভালো লেগেছে। তবুও যদি বেগম রোকেয়া সম্পর্কে আরো কোনো তথ্য জানবার থাকে সেক্ষেত্রে সরাসরি কমেন্ট বক্সের সাহায্য নিতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *