কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে ৫ টি বাক্য যদি বিসিএস কিংবা সরকারি ও বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় বলতে বলা হয়, তাহলে আপনি কি বলবেন? বাঙালি জাতি হিসাবে আমাদের প্রত্যেক এর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে পাঁচটি টি বাক্য জানা উচিত।
২০ মে ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই মহামানব। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী ও সত্যের পূজারী। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে তিনি খুব বেশি পড়ালেখা না করলেও, তার জ্ঞানের পরিধি ছিল আকাশ সমান। বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি বা গীতিকার বলা হয় এই ধূমকেতু কে।
দুখু মিয়া থেকে মহামানব হওয়া কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে ৫ টি বাক্য কি হতে পারে চলুন জেনে নেই।
কাজী নজরুল ইসলাম কে ছিলেন ?
কাজী নজরুল ইসলাম যে শুধু মাত্র আমাদের জাতীয় কবি সেটা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু এর বাইরেও তিনি ছিলেন একজন কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, ও সম্পাদক। ছোট বেলা থেকেই তিনি মেধাবী হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামের ছোট্ট এই বালক একদিন পুরো বাংলা সাহিত্য বদলে দিবে কে সেটা জানতো। সত্য কে ধারণ করা, মিথ্যা কে ভয় না পাওয়া, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সবাই কে তার কবিতার মাধ্যমে এক জোট করা সহ কি করেনি এই মহামানব। তাহলে চলুন এই বিখ্যাত মহামানব কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে ৫ টি বাক্য জেনে নেই-
কাজী নজরুল সম্পর্কে ৫ টি বাক্য
- কাজী নজরুল ইসলামের ছদ্মনাম নাম ছিল ধূমকেতু।
- কাজী নজরুল ইসলাম ৪ হাজারের বেশি গানের সংকলন করেন।
- ১৩৯ লাইনের বিদ্রোহী কবিতা দিয়ে তিনি ব্রিটিশদের পতনের সূচনা শুরু করেন।
- তিনি ১৯৪৫ সালে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক, ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক, এবং পদ্মভূষণ মর্যাদায় ভূষিত হন।
- ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সে তার মৃত্যুর পর তার কথা মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর মসজিদ এর পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে ৫ টি বাক্য এই বিষয়ে আপনার মনে কতিপয় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর-
নজরুল কে কবে বাংলাদেশ এর নাগরিত্ব দেওয়া হয় ?
১৮ ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭৬ সালে কাজী নজরুল ইসলাম কে বাংলাদেশ সরকার নাগরিত্ব প্রদান করেন।
রাজবন্দীর কারাবন্দি কেন লেখা হয়েছিল ?
তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার নজরুল কে গ্রেফতার করলে নজরুল এই গ্রন্থ টি লিখে। এই গ্রন্থের মাধ্যমে পুরো বাংলা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল জাগরণের।
উপসংহার
শুধু বাংলাদেশ নয় তিনি পুরো বাঙালি জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তার আদর্শ, কবিতা, গান, উপন্যাস, গল্প, নাটক আজও চর্চা হয় প্রতি টা শিক্ষা অঙ্গনে। তিনি অমর হয়ে আছেন প্রতিটা বিদ্রোহের মাঝে। সত্যের এই কান্ডারি জীবনের প্রতিটা সময় ভেবেছেন গরিব সাধারণ মানুষদের কথা। লিখেছেন সেই বঞ্চিত মানুষদের হাহাকারের কথা। তাই তিনি সেরার থেকো সেরা। তিনি শিখিয়েছেন মিথ্যার সামনে নত না হয়ে সত্যের অহংকার করতে। সবার উপর মানুষ সত্য তার উপরে নাই। এছাড়াও আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করতে ১০ টি তরল পদার্থের নাম পড়তে পারেন।
“কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে ৫ টি বাক্য” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ
Kazi nazrul islam 5 sentence